জুনায়েদ আব্বাসী
গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ১০ তলা বিলাসবহুল অফিস নির্মাণ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। শনিবার দলটির ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অত্যাধুনিক এই ভবন উদ্বোধন করেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের এই কার্যালয় এতটাই অত্যাধুনিক ও বিলাসবহুল করা হয়েছে যে যা মানুষের কল্পনারও বাইরে। এই ভবন নির্মাণে যে টাকা খরচ হয়েছে তার উৎস নিয়ে রাজনীতিক বিশ্লেষকসহ সাধারণ মানুষের মনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ’র এই ৮ কাঠা জমি ৯৯ বছরের জন্য লিজ নিয়ে এটাতে ১০ তলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ভবনটি নির্মাণে মোট খরচ হয়েছে ১০ কোটি টাকা। আর টাকার উৎস হলো দলের নেতাকর্মীদের দেয়া চাঁদা।
এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিলাসবহুল এই ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে যেসব তথ্য দেয়া হয়েছে তা বাস্তবতার সঙ্গে কোনো মিল নেই। সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা সম্বলিত এমন বিলাসবহুল ও রাজকীয় ভবন নির্মাণ ১০ কোটি টাকায় কোনোভাবেই সম্ভব নয়। ভবনটির ভেতর ও বাইরের দৃশ্য, কারুকার্য, ডেকোরেশন, ফার্নিচার ও নির্মাণ শৈলি দেখে মনে হচ্ছে এখানে পানিরমতো টাকা ঢালা হয়েছে।
প্রথমত: গত বছর ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে তারা একটি অফিস নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলো। মাত্র এক বছরের মধ্যেই এমন একটি ভবন নির্মাণ শেষ করা অস্বাভাবিক বিষয়। এক বছরের মধ্যে শেষ করতে গিয়ে তাদেরকে এখানে প্রচুর পরিমাণ টাকা খরচ করতে হয়েছে।
দ্বিতীয়ত: আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ভবন নির্মাণের খরচ ১০ কোটি টাকা দাবি করা হলেও এখানে কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আর এই টাকা সবই ব্যাংক ও শেয়ারবাজার লুটের টাকা। আর ভবন নির্মাণে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যে টাকা দিয়েছে তাও জনগণের টাকা। বিভিন্ন সরকারি প্রজেক্ট থেকে আত্মসাতের টাকাই মূলত তারা ভবন নির্মাণের জন্য দিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিগত সাড়ে ৯ বছরে আওয়ামী লীগ কী পরিমাণ দুর্নীতি ও লুটপাট করেছে, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ’র এই ভবনই তার বাস্তব প্রমাণ।