বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে আরও গুরুতর ও বিপজ্জনক অবস্থার দিকে ঠেলে দেয়ার জন্য সরকার গড়িমসি করছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতার যাতে যথাযথ চিকিৎসা না হয় সে জন্য সরকার নানা ফন্দি আঁটছে। তার চিকিৎসাকে বিলম্বিত করার জন্য মন্ত্রীদের দিয়ে নানা কাহিনি শোনানো হচ্ছে মানুষকে।
তিনি বলেন, বারবার কারাবিধির কথা বলে মন্ত্রীরা খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিষয়টি গায়ের জোরে আটকাতে চাচ্ছেন। কারাবিধি নিয়ে মন্ত্রীদের কথায় মনে হয় তারা যেন ধর্মীয় বাণী আওড়াচ্ছেন, যার বরখেলাপ হলে মহাপাপ হয়ে যাবে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ১৮৯৪ সালে কারাবিধি যখন তৈরি হয় তখন ইউনাইটেড বা স্কয়ার হাসপাতাল ছিল না। কিন্তু এখন বেসরকারি হাসপাতালে সেবার মান উন্নতমানের বলেই মানুষ সেখানে ভিড় করেন। সরকারি হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার থাকলেও সেবার মান নিম্নমানের। যে কারণে মানুষের জায়গা- জমি বিক্রি করে হলেও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যমান কারাবিধিতেই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী স্কয়ারের ন্যায় বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। কিন্তু এ বিষয়টি আইনমন্ত্রী, সেতুমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এড়িয়ে যান। কারণ শেখানো বুলি ছাড়া মন্ত্রীদের করার কিছু নেই।
ব্যক্তিগত চিকিৎসক, উন্নতমানের পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি ইউনাইটেড হাসপাতালে রয়েছে বলেই খালেদা জিয়া সেখানে চিকিৎসা করাতে চান বলে জানান রিজভী।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি স্বাচ্ছন্দ্ব্যবোধ করেন সিঙ্গাপুর অথবা লন্ডনে গিয়ে চিকিৎসা করাতে। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রের যত টাকা খরচ হোক না কেন। কিন্তু খালেদা জিয়া নিজ দেশেরই একটি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে চাচ্ছেন। আর এ জন্য রাষ্ট্রের কোনো টাকা লাগবে না। তার আত্মীয়স্বজনরাই চিকিৎসার ব্যয় বহন করবেন।
সরকার খালেদা জিয়াকে হাতের মুঠোর মধ্যে রাখার নিশ্চিত করতে চায় বলেই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করাতে চায় না বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এ নেতা।
সূত্র: যুগান্তর