অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
দিন যত যাচ্ছে ততই কারাগারে আরও মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। গত ৫ জুন তিনি কারাগারে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গিয়েছিলেন। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তিনি মাইল্ড স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এ ধরণের রোগী যেকোনো সময় বড় ধরণের স্ট্রোক করতে পারে। এজন্য খালেদা জিয়া এখন উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন।
এদিকে, খালেদা জিয়া এবং বিএনপির পক্ষ থেকে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসার দাবি জানিয়ে আসলেও সরকার এসবকে কোনো পাত্তাই দিচ্ছে না। সরকার তার নিজেরমতো করেই খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা করানোর চেষ্টা করছে।
এর আগেও অ্যানালাইসিস বিডির একাধিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, খালেদা জিয়া ও বিএনপির পছন্দ অনুযায়ী সরকার তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে না। সরকার চাচ্ছে চিকিৎসার নাম করে খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিতে। এই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সরকার তাকে দেশের মধ্যে উন্নত কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে না। সরকারের টার্গেট হলো-পরিস্থিতিকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাবে, যখন এদেশের কোনো হাসপাতালে আর খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হবে না।
এখন লক্ষণীয় বিষয় হলো-এতদিন ধরে খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর জন্য সরকার যে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত করে আসছে, সেই চক্রান্তের সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছেন খালেদা জিয়া ও বিএনপির শুভাকাঙ্খী হিসেবে পরিচিত ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
রোববার একটি ইফতার মাহফিলে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে পাঠানোর জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বি.চৌধুরীর এ বক্তব্য নিয়ে এখন রাজনীতিক বিশ্লেষকসহ সচেতন মহলে নানা সন্দেহ সংশয় দেখা দিয়েছে। কারণ, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বি. চৌধুরী একজন ডিগবাজ হিসেবে পরিচিত।
চট্টগ্রামে ১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমানকে গুলি করে হত্যা করা হলেও বি. চৌধুরী তখন ছিলেন সম্পূর্ণ অক্ষত ও নিরাপদে। এ ঘটনার পর থেকে শুধু বিএনপি নেতাকর্মীই নয়, সাধারণ মানুষের মনেও সন্দেহ সংশয় রয়েছে।
এরপর ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর খালেদা জিয়া বি. চৌধুরীকে প্রেসিডেন্ট বানিয়েছিলেন। একটি পর্যায়ে এসে গোপনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মাধ্যমে এমন ভয়ংকর খবর পাওয়ার পরই তাকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
এখন আবার সরকারের সঙ্গে সুর মিলিয়ে তিনি বলছেন চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বি. চৌধুরী মুখ দিয়ে খালেদা জিয়া ও বিএনপির পক্ষে কথা বললেও আসলে তিনি সরকারের এজেন্ট। খালেদা জিয়াকে মাইনাস করে তিনি আবার বিএনপিকে দখল করার চেষ্টা করছেন।