ইকতেদার আহমেদ
বাংলাদেশের জনগণ জাতি হিসেবে ‘বাঙালি’ এবং নাগরিকেরা বাংলাদেশী হিসেবে পরিচিত। পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই নাগরিকদের পরিচয় ভূখণ্ডভিত্তিক। ভারতে বাঙালি, পাঞ্জাবি, বিহারি, তামিলসহ আরো অনেক জাতি বাস করলেও তথাকার জনগণ সামগ্রিকভাবে ভারতীয় নামে পরিচিত। অনুরূপ, যুক্তরাষ্ট্রে পৃথিবীর প্রায় সব জাতির লোক বাস করলেও দেশটির স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে যারা নাগরিকত্ব লাভ করেছেন তারা সবাই আমেরিকান হিসেবে পরিচিত।
আমাদের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদা ক্রমে রাষ্ট্রপতির স্থান শীর্ষে। প্রধানমন্ত্রীর স্থান হলো দুই নম্বর ক্রমিকে। জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি ও মন্ত্রীবর্গের স্থান হলো- যথাক্রমে ৩, ৪ ও ৫ নম্বর ক্রমিকে।
পাশের রাষ্ট্র ভারতের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমে আমাদের মতো রাষ্ট্রপতির স্থান শীর্ষে। এরপর ক্রমিক নম্বর ২, ৩, ৪, ৫, ৬ ও ৭ এ অবস্থান হলো যথাক্রমে- উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপাল নিজ নিজ রাজ্যের মধ্যে, সাবেক রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি ও লোকসভার অধ্যক্ষ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
আমাদের দেশে বিদেশের কোনো রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী অথবা সাবেক রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘটলে তাদের আমাদের দেশের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম অনুযায়ী সম্মান দেয়া হয়। অনুরূপ আমাদের রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী অথবা সাবেক রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী বিদেশে সরকারিভাবে সফরে গেলে তারাও সে সব দেশের রাষ্ট্রীয় মানক্রম অনুযায়ী সম্মান পেয়ে থাকেন। আমাদের দেশ বা অন্য কোনো দেশে রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমে অবস্থানকারী শীর্ষস্থানীয়রা প্রাপ্য সম্মান না পেলে তাকে দেশ ও জাতির জন্য অপমান হিসেবে দেখা হয়।
একটি দেশের দূতাবাস অপর দেশে সে দেশের ভূখণ্ড হিসেবেই বিবেচিত। আর তাই দূতাবাসের অভ্যন্তরের যাবতীয় কর্মকাণ্ড দেশটির আইন ও বিধিবিধান অনুযায়ী প্রতিপালিত হয়। সম্প্রতি ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি, বাঙালি বংশোদ্ভূত প্রণব মুখার্জি সরকারিভাবে বাংলাদেশ সফরে এলে ঢাকার ভারতীয় হাই কমিশন তার সম্মানে সংবর্ধনা ও নৈশভোজের আয়োজন করে। ওই সংবর্ধনা ও নৈশভোজে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত কর্তৃক আমন্ত্রিত হয়ে আমাদের জাতীয় সংসদের স্পিকার, সাবেক রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, ‘মহাজোট’ভুক্ত দলগুলোর শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা যায়- ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি চেয়ারে উপবিষ্ট এবং তার পেছনে বাম থেকে ডান দিকে দাঁড়ানো রয়েছেন যথাক্রমে- বাংলাদেশে ভারতের হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা, বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী এ এম এ মুহিত, সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ, জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, জনৈক মহিলা, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এস মাহমুদ আলী। ছবিটি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর দেশের সচেতন জনমানুষের পক্ষ হতে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা ব্যক্ত করা হয় এবং এটাকে দেশ ও জাতির আত্মসম্মানের জন্য হানিকর বলে উল্লেখ করা হয়।
ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সফরকালে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকালে তাকে কোনো ধরনের সহকারীর সাহায্য ব্যতীত সুস্থ ও সবলভাবে চলাফেরা করতে দেখা গেছে। এমনকি বক্তৃতা দেয়ার সময়েও দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে তার কোনো ধরনের অসুবিধা হয়েছে- এমনটি প্রত্যক্ষ করা যায়নি। ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির বর্তমান বয়স ৮২ বছর। আমাদের সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের বয়স ৮৭ বছর এবং অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের বয়স ৮৩ বছর। আমাদের সাবেক রাষ্ট্রপতির রাষ্ট্রীয় মানক্রম অনুযায়ী পদমর্যাদা এবং তার বয়স বিবেচনায় নেয়া হলে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতির সাথে প্রথমোক্তজন দাঁড়ানো এবং শেষোক্তজন চেয়ারে বসা অবস্থায় ছবি আমাদের জন্য অবমাননাকর ও লাঞ্ছনাকর। এ ছবিটি ভারতীয় রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের নির্দেশনায় তোলা হয় এবং ছবিটির পেছনে ‘হাই কমিশন অব ইন্ডিয়া’ কথাটি ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতির ছবিসম্বলিত ব্যানারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এরশাদ আজ থেকে ৩৪ বছর আগে যখন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রতি পদে আসীন ছিলেন তখন প্রণব মুখার্জি ভারতের অর্থমন্ত্রী ছিলেন। এরশাদ রাষ্ট্রপতি পদে বহাল থাকাকালে বেশ কয়েকবার রাষ্ট্রীয় সফরে ভারত গিয়েছিলেন। প্রতিটি সফরে দেখা গেছে, তাকে তথাকার রাষ্ট্রীয় প্রোটোকল অনুযায়ী মর্যাদা দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতি পদ হতে বিদায়ের পরবর্তী সময়ে এরশাদের সরকারি ও বেসরকারিভাবে একাধিকবার ভারত সফরের সুযোগ ঘটেছে। এ সব সফরকালে তাকে রাষ্ট্রীয় প্রোটোকল অনুযায়ী যে মর্যাদা দেয়া হয়, তা সচরাচর সে দেশে কোনো বিদেশী রাষ্ট্রের মন্ত্রীর আগমন ঘটলে যেরূপ মর্যাদা দেয়া হয় এর অনুরূপ।
ইতঃপূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিমি কার্টার,, কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুডো, মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ, ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালামসহ অনেক দেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সরকারি ও বেসরকারিভাবে বাংলাদেশ সফর করেছেন। এ ধরনের কিছু কিছু সফরের সময় সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাস নিজ নিজ দেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীর জন্য সংবর্ধনার আয়োজন করেছিল। এ সব সংবর্ধনায় আমন্ত্রিত হয়ে আমাদের দেশের সমমর্যাদার ব্যক্তিসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে। তা ছাড়া এসব বিদেশী অতিথিকে এ দেশে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি অনুষ্ঠানেও উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে। এ ধরনের কোনো অনুষ্ঠানে এমন কোনো ফটোসেশন হয়নি যাতে বিদেশী অতিথিকে বসে থাকতে দেখা গেছে এবং আমাদের সমমর্যাদা বা উচ্চমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের তার পেছনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে।
ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির স্ত্রী শুভ্রা মুখার্জির পৈতৃক নিবাস নড়াইলে। তিনি তথায় জন্মগ্রহণ এবং শৈশবকালের কিছু সময় অতিবাহিত করেন। তার আপন ভাইসহ নিকটাত্মীয় অনেকে এখনো নড়াইলে বাস করেন। সে হিসেবে প্রণব মুখার্জি বাংলাদেশের ‘জামাইবাবু’ এবং বাংলাদেশ হলো তার শ্বশুরালয়। যেকোনো জামাতার শ্বশুরালয়ে আগমন ঘটলে তিনি তার স্ত্রীর চেয়ে বয়ো জ্যেষ্ঠদের পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন এবং কনিষ্ঠদের সাথে হাসিঠাট্টায় লিপ্ত হন। প্রণব মুখার্জির স্ত্রী ২০১৫ সালে ৭৫ বছর বয়সে পরলোক গমন করেছেন। তিনি বেঁচে থাকলে বর্তমানে তার বয়স হতো ৭৭ বছর। প্রণব মুখার্জির স্ত্রীর বয়স বিবেচনায় নেয়া হলে এরশাদ ও মুহিত উভয়ে তার সম্বন্ধির পর্যায়ভুক্ত। অপর দিকে বয়সে কনিষ্ঠ হওয়ার কারণে তোফায়েল ও মাহমুদ আলী শ্যালকের পর্যায়ে পড়েন। স্পিকার শিরীন শারমিন আমাদের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম অনুযায়ী প্রণবের ঊর্ধ্বে অবস্থান করলেও ভারতের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম অনুযায়ী তার অবস্থান নিম্নে। বয়সের বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া হলে স্পিকার শিরীন শারমিন প্রণবের ‘শ্যালিকা’ হিসেবে গণ্য। বিষয়টিকে শ্বশুরালয়ে জামাইবাবুর আগমনের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে শিরীন শারমিন, তোফায়েল আহমেদ ও মাহমুদ আলীর দাঁড়িয়ে থাকার বিষয়ে আপত্তি করা যৌক্তিক নাও হতে পারে কিন্তু সম্বন্ধিদের দাঁড় করিয়ে রাখা যে শোভন নয়; সেটি শুভ্রা মুখার্জি বেঁচে থাকলে হয়তো এ নিয়ে একহাত নিয়ে ছাড়তেন।
গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত সংশ্লিষ্ট ছবিটি পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, চেয়ারে বসা প্রণব বাবুর মুখে মলিনতার ছাপ। অপর দিকে শ্যালকদ্বয় ও শ্যালিকার মুখে হাসির কিঞ্চিৎ রেশ থাকলেও সম্বন্ধিদ্বয়ের মুখাবয়ব হাসিতে সমুজ্জ্বল। প্রণব বাবু ভারতের রাষ্ট্রপতিসহ দীর্ঘ দিন মন্ত্রীর মর্যাদায় আসীন ছিলেন। রাষ্ট্রীয় আচার বিষয়ে তার জ্ঞানের কোনো ধরনের ঘাটতি রয়েছে, এমনটি ভাবার অবকাশ নেই। আর তাই হাইকমিশন কর্তৃক আয়োজিত ফটোসেশনে ঔপনিবেশিক ভাবধারার বহিপ্রকাশ ঘটায় সেটি উপলব্ধি করতে পেরেই হয়তো তার মুখের মলিনতা।
পৃথিবীর যেকোনো দেশে কোনো ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, মন্ত্রী প্রভৃতি পদে আসীন হলে তারা দেশ ও দেশের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন। তাদের এ সব পদে নিয়োগ- পরবর্তী শপথ গ্রহণ করতে হয় এবং পদে বহাল থাকাকালে তারা শপথের অধীন থাকেন। শপথগ্রহণ করাকালে এ ধরনের ব্যক্তিদের অপরাপর বিষয়ের পাশাপাশি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে হয়- তারা নিজ দেশের প্রতি অকৃত্রিম বিশ্বাস ও আনুগত্য পোষণ করবেন এবং ভীতি বা আনুগত্য, অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী না হয়ে সবার প্রতি আইনানুযায়ী যথাবিহিত আচরণ করবেন।’ এ ধরনের পদে আসীন কোনো ব্যক্তির এমন কোনো আচরণ করা উচিত নয় যা, দেশ ও জাতিকে লজ্জায় ফেলে দিয়ে অপমানজনক ও বিব্রতকর পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটাতে পারে।
গণমাধ্যমে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিটি দেখে বাংলাদেশের সচেতন জনমানুষ তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভ ব্যক্ত করেছে। এ কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে ভাষা ব্যক্ত হয়েছে, তা অনুধাবন করার বোধশক্তি ছবিটিতে উপস্থিত ব্যক্তিদের থাকলে তারা কখনো এভাবে ফটোসেশনে অংশগ্রহণে সম্মত হতেন না। যেকোনো দেশের রাষ্ট্রদূত নিজ দেশ এবং তিনি যে দেশে কর্মরত সে দেশের রাষ্ট্রীয় আচার বিষয়ে ওয়াকিবহাল। একজন রাষ্ট্রদূতকে সবসময় কৌশলী হতে হয়। তার পক্ষে এমন কোনো কাজ করা উচিত নয় যেটি তার নিজ দেশ এবং তিনি যে দেশে কর্মরত সে দেশের জন্য মর্যাদাহানিকর হয়। ভারতীয় হাই কমিশনে প্রণব মুখার্জির সফরকালীন যে ফটোসেশনের আয়োজন হয়েছে তা রাষ্ট্রদূত বা হাই কমিশনারের নির্দেশনা মতে হয়েছে। তাই বিষয়টি তার পক্ষে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।
ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসনামলে আমাদের এ দেশের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই হিন্দু জমিদারের উত্থান ঘটেছিল। এ সব জমিদার নিজেদের ‘রাজা’ ভেবে এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান জনগোষ্ঠীকে প্রজাজ্ঞানে এক ধরনের ভৃত্য সমতুল্য মনে করতেন। এসব প্রজা জমিদারের সামনে কখনো চেয়ারে বসা দূরের কথা, পায়ে জুতা বা সেন্ডেল পরে হাঁটতে দেয়া হতো না। এ অবস্থা হতে উত্তরণ ঘটাতে আমাদের পূর্বপুরুষদের অনেক আত্মদান, ত্যাগ ও সংগ্রাম করতে হয়েছে। এমনকি, আমাদের স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে তার একক সিদ্ধান্তে পাকিস্তানের ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত ইসলামি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেয়ায় পরবর্তী সময়ে দিল্লিতে অপর একটি সফরে গেলে তৎকালীন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী শরণ সিং প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর উপস্থিতিতে সম্মেলনে যোগদান করা নিয়ে তাকে বিব্রতকর প্রশ্ন করলে তিনি সমুচিত জবাব দিয়ে সাথে সাথে সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রীর সামনে স্তব্ধ করে দিয়েছেলন। এ ধরনের আচরণ একটি দেশ ও জাতির আত্মসম্মান শতগুণ বাড়িয়ে দেয়। বঙ্গবন্ধুর এ কথাটি স্মরণে রেখে এমন কোনো আচরণ করা উচিত নয়, যা দেশ ও জাতির জন্য অপমান ও অমর্যাদা বয়ে আনে।
লেখক : সাবেক জজ, সংবিধান, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিশ্লেষক
সূত্র: নয়াদিগন্ত