‘পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কেন গোয়েন্দা সংস্থা ব্যর্থ হলো, সেটি আমাদের জানতে হবে। সুষ্ঠু, নির্মোহ, নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বের করতে হবে।’ আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ২০-দলীয় জোটের শরিক জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) এক আলোচনা সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র করার চক্রান্ত চলছে। দীর্ঘদিন পর গতকাল বিডিআর বিদ্রোহের রায় বেরিয়েছে। রায় সম্পর্কে আমি কিছু বলতে চাই না। কিন্তু রায় সম্পর্কে বিচারকেরা যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন, সে সম্পর্কে আমি বলতে চাই। এর মধ্যে উনারাই স্বীকার করেছেন, গোয়েন্দা ব্যর্থতা তদন্তের তাগিদ।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এত বড় একটা বিদ্রোহ, মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ৫৭ জন চৌকস, দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে। কখন ঘটেছে, যখন সবে একটি নতুন সরকার গঠন করা হয়েছে। তার পরপরই এটা ঘটেছে। এর উদ্দেশ্য কী ছিল? শুধুই কি সরকারকে ব্যর্থ করে দেওয়া, নাকি বাংলাদেশকে ব্যর্থ করে দেওয়ার চেষ্টা? ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা আমাদের মুক্তিযুদ্ধেও খোয়াতে হয়নি। এ ৫৭ জনকে হত্যা করে কে, কারা সবচেয়ে বেশি লাভবান হলো? যারা বাংলাদেশের নিরাপত্তাব্যবস্থাকে ভেঙে দিতে চাইল, যারা সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে দিতে চাইল। এ বিষয়গুলো আমাদের অবশ্যই সুষ্ঠু, নির্মোহ ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বের করতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কেন গোয়েন্দা সংস্থা ব্যর্থ হলো, সেটা আমাদের জানতে হবে। কেন সেদিন দ্রুততার সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হলো না? কেন সেদিন সিদ্ধান্ত নিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় অতিবাহিত করতে হলো?’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমি কাউকে দোষারোপ করতে চাই না। কিন্তু এর তো কোনো সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ তদন্ত হয়নি। এমনকি সেনাবাহিনীর যে তদন্ত, সেটাও এখন পর্যন্ত প্রকাশিত হলো না। আরেকটি যে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে, সেটারও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট আসেনি। এ জিনিসগুলো আমাদের জানার অধিকার আছে।’
তথ্যসূত্র: প্রথম আলো
Discussion about this post