সরকার বিএনপিকে নিয়ে এক অজানা আতঙ্কে ভুগছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, কখন কোন ফাঁক দিয়ে বিএনপি বেরিয়ে পড়ে, বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিশাল ঢল নামে- এই আতঙ্ক। এছাড়া বিদেশ ভ্রমণরত সাংবাদিকদের ওপর নজরদারি সংক্রান্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা সার্কুলারকে একদলীয় বাকশালের বহি;প্রকাশ বলে নিন্দা জানান তিনি।
আজ শুক্রবার সকালে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে দলের রিজভী বলেন, আপনারা আজকে খবরের কাগজে দেখবেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সার্কুলার দেয়া হয়েছে, বিদেশে যেসব সাংবাদিকরা যাবেন, সেই সাংবাদিকদের ওপর যেন নজরদারি করা হয়। একেবারে লিখিত সার্কুলার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। বিদেশে যে অ্যাম্বেসী ও হাইকমিশনগুলো আছে, তাদের অ্যাম্বেসেডর ও হাহকমিশনারদের কাছে এই সার্কুলার পাঠানো হয়েছে।
সাংবাদিক ও গণমাধ্যম গণতন্ত্রের একটি মূল ভিত্তি। তাদের স্বাধীনতাকে আজকে বাংলাদেশে সঙ্কুচিত করা হয়েছে। আজকে যে সত্য উচ্চারণ বন্ধ করেছে, মিডিয়ার ওপর স্বঘোষিত নিয়ন্ত্রণ জারি করেছেন। এখন তাদের চলাচলের ওপরে নজদারি করছে। এটা কোনো গণতান্ত্রিক সরকার করে না, এটা নিষ্ঠুর ঘাতক বাকশাল একদলীয় সরকার এধরণের কর্মকান্ড করে। আমরা এহেন কর্মকান্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে স্বাধীনতা ফোরামের উদ্যোগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের মুক্তির দাবিতে এই মানববন্ধন হয়।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজকে দেশে দুঃশাসনের মধ্যেও কেউ কেউ প্রতিবাদ করছেন, স্বাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য থেকেও কেউ কেউ প্রতিবাদ করছেন। যেমন প্রধান বিচারপতি করছেন। বলছেন যে, শাসন বিভাগ বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ করছে, আজো তিনি বলেছেন প্রধান বিচারপতি যখন এই হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে কথা বলেন, তখন তাদের গায়ে জ্বালা ধরে যায়। আমরা বলতে চাই, অন্যায় কখনো মাটি চাপা দেয়া যায় না, অবৈধ কর্মকান্ড মাটিচাপা দেয়া যায় না।
তিনি বলেন, সরকার বিএনপিকে ভয় পায়। সেজন্য তারা দলের নেতা-কর্মীদের কারাগারে নিচ্ছে, জামিন বাতিল করছে। এই থেকে বুঝা যায়, তারা এক অজানা আতঙ্কে ভয় পাচ্ছে। কখন কোন ফাঁক দিয়ে বিএনপি বেরিয়ে পড়ে, বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিশাল ঢল নামে- এই আতঙ্ক। এতো হত্যা করছেন, এতো গুম করছেন, এতো কারাগারে নিচেছন, এরপরও আপনাদের আতঙ্ক কাটছে না। যারা অপরাধ করে, তারা আতঙ্কেই থাকে। আমরা বলতে চাই, বিএনপির জাতীয়তাবাদী শক্তি আতঙ্কের দল নয়। তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবেই। অবিলম্বে বরকত উল্লাহ বুলু ও খায়রুল কবির খোকনের মুক্তির দাবি জানান তিনি। সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেত্রী শিরিন সুলতানা, এবিএম মোশাররফ হোসেন, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সূত্র: নয়াদিগন্ত
Discussion about this post