রাহমান বিপ্লব
লোকজন দুনিয়া কাঁপানি প্রতিভা দেইখা থতমত খাইয়া গ্যাছে। নিজেগো আলাদা ইসলামী চিন্তার জগত ভুইলা, প্রতিভা তুইলা নাচানাচি শুরু কইরা দিছে। লগে, বিরোধীতা কইরা জন্মের শিক্ষা পাইতাছে কিছু লোক। ‘বাংগালি জীবনে প্রতিভার স্বীকৃতি দিতে পারেনাই’ সে কী রাগ!!
এই মানুষ গুলো সহজে অবাক হয়, হাসতে চায়, উতফুল্ল হইতে চায়!- এইটাই এদের পরিচয়। আলাদা কইরা বিবেক সম্মত বিনোদন কিংবা চিন্তাশীল ইসলাম সম্মত উতসাহ এদের জন্য খুব কঠিন কাজ বইলা প্রমাণিত হইলো। এরা সাহিত্যরে সাহিত্য দিয়া মাপতে শিখছে। সাহিত্যের পুরান বিরোধে এরা বাম ধারায় চইলা আইছে। ‘আর্ট ফর আর্ট সেইক’- অহন ঠিকমতন প্রতিষ্ঠা পাইলো।
এই লোকগুলারে নিয়া এত কথা কওনের কারন- এরাই একটা বিশাল পরিসরে আল্লাহর দ্বীন নিয়া ভাবে। শাহবাগীগো ঘেন্না করে। শাপলা চত্বরে শহিদ হয়। আমিন লেইখা ইমানি জজবা পায়। এদের মধ্যমনি অহন, ক্রিটিক্যাল এনালাইসিস বোঝা ‘আমিন’ মনোভাবের ছেলেরা। এরা আইজ দারুন কইরা বিশ্লেষণ করতাছে- ‘সব কিছুতে ইসলাম আইনেন না তোহ!’
মারহাবা বইলা বিশ্লেষণের প্রশংসা হইতাছে। হুমায়ুন আজাদরা যা কইরা কাফির নাস্তিক হইছে এককালে, এই যুগে ভিন্ন মাত্রায় হাত তালির বদলে মারহাবা কইয়া হালাল হইতাছে। এই হইলো আমাগো ইসলামপন্থীগো মনের বুঝ! এই দ্যাশে তজবি লইয়া দুর্গাভক্তরা শাসন করবে না তো টুপিহীন আলী আহসান মুজাহিদরা শাসন করবে?
বলেন- মারহাবা! ‘জয় বাংলার’ বদলে এইটাই যদি ক্ষমতা ধইরা রাখে ওগো কোন ক্ষতি নাই! গ্রাহাম ই ফুলারের ‘এ ওয়ার্ল্ড উইদআউট মুসলিমের’ ট্রান্সলেশন কইরাও এএফপি গ্রুপ আর ইন্টারন্যাশল ইসলামি প্রসেস নিয়া সচেতন হইবার পারলো না!
এককালের জংগলে যাইয়া লালন যা করতে পারেনাই, এই কালে ঘরে ঘরে তারোধিক সফট বিষ ঢুকাইয়া তার সবটাই বিনাশ কইরা দিতেছে, বিশাল সমর্থন নিয়া। সামনে ঝুলছে আজিজ মার্কেটের মূলা! বাংগালি তুমি দূর্গার চাইতেও উন্নত মুর্তি গইড়া ফালাইছো! দূর্গার ভাত মাইরা দিছে ‘ইসলামী দূর্গা’! তাইলে ‘মারহাবা’ কইবা না ক্যান!?
Discussion about this post