অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক:-
অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনাকে ছাড়ার ঘোষণা দিল রক্তের সম্পর্ক ভারতও। চীন-রাশিয়া বাদে পুরো পশ্চিমা দুনিয়া শেখ হাসিনাকে আরও আগেই ত্যাগ করেছে। আগামী নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমাদের চাপে শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতারা একেবারে চিৎপটাং হয়ে পড়েছে। শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতাদের প্রতিটা রাত কাটে এখন চরম অস্বস্তি ও উদ্বেগে। পশ্চিমা দুনিয়া বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রকে ম্যানেজ করতে কিছুদিন আগে ভারতের মোদি দাদার কাছে ধরণা দিয়েছিল। বলেছিল, দাদা যেন বাইডেনকে কিছু বলে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সাথে একাধিক বৈঠক করলেও বাংলাদেশ নিয়ে কোনো কথা বলেনি মোদি।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো প্রায় প্রতিদিনই বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ট করতে শেখ হাসিনার উপর চাপ সৃষ্টি করছেন। পশ্চিমাদের চাপের বিষয়ে মাঝে মধ্যে চীন-রাশিয়া কথা বললেও প্রতিবেশি দেশ ভারত ছিল একেবারে চুপ। বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি জানার জন্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকসহ সচেতন মানুষ খুব আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছিল। সবার মনেই একটা প্রশ্ন ছিল-ভারত কি আবারো অবৈধ প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার চেষ্টা করবে নাকি এদেশের জনগণের দাবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন দিবে?
সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে বৃহস্পতিবার ভারত তার মনোভাব প্রকাশ করেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিনন্দম বাগাচি সাংবাদিকদের বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচন কিভাবে হবে সেটা সেই দেশের জনগণ নির্ধারণ করবে। বাংলাদেশের জনগণের চাওয়া অনুযায়ীই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আগামী নির্বাচন হওয়া উচিত। তিনি এও বলেছেন যে ভারত বাংলাদেশে একটা অবাধ, সুষ্ট ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সচেতন মানুষ বলছেন, বিগত দুইটি নির্বাচনে এদেশের মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল ভারত। এদেশের জনগণের সঙ্গে ভারতের এখন কোনো সম্পর্ক নাই। ভারত সম্পর্ক হল শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাথে। ভারত বুঝতে পারছে যে আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মী ছাড়া দেশের মানুষ এখন ভারতকে চরম শত্রæ মনে করে। বাংলাদেশের মানুষ এখন আর ভারতকে বিশ্বাস করে না। সেই কারণে ভারত এবার তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে।
তারা মনে করছেন, বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছা-আকাঙ্খাকে সমর্থন করে ভারত মূলত শেখ হাসিনাকে বুঝাতে চাচ্ছে যে আগামী নির্বাচনে আমরা আর তোমাকে চায় না। আমরা আর তোমার দেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণ করতে চায় না। তোমাকে ভোট ছাড়া ক্ষমতায় আনার দায়িত্ব আমরা আর নিবো না। তোমার দেশের জনগণই নির্ধারণ করবে আগামীতে কে ক্ষমতায় আসবে।
Discussion about this post