অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক:
ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সারাদেশে যত অপরাধ অপকর্ম, সন্ত্রাসী কার্যক্রম, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মানুষ খুন ও মানুষের বাড়িঘর ও জমি দখল করছে, সবই হচ্ছে এমপি-মন্ত্রীদের আশ্রয় প্রশ্রয়েই। অপরাধীদের আশ্রয়স্থল এমপি-মন্ত্রীরা হওয়ার কারণেই দেশে অপরাধ কমছে না। এমনকি প্রশাসন চাইলেও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না।
এতদিন দেশের মানুষ জানতো যে সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা শুধু ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী, খুনি, চাঁদাবাজদের আশ্রয় দেন। অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে নতুন তথ্য। শুধু সন্ত্রাসী, খুনি, চাঁদাবাজদের আশ্রয়দাতা নয়, জড়িত রয়েছে এসব কর্মকাণ্ডেও। এ ছাড়া দেশের অর্থ পাচারের পাশাপাশি এবার সোনা চোরাকারবারিতেও উঠে এসেছে মন্ত্রীদের নাম।
জানা গেছে বিদেশ থেকে যারা অবৈধভাবে সোনা নিয়ে আসে সেইসব সোনা চোরাকারবারিদেরকেও আশ্রয় দিচ্ছে সরকারের এক মন্ত্রী। এবার নতুন করে সমালোচনায় আসা সেই মন্ত্রী হলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রী মো শাহাব উদ্দিন।
জানা গেছে, সুলতান মিয়া নামে মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের এক আত্মীয় দীর্ঘদিন ধরে দুবাই থেকে অবৈধভাবে সোনা নিয়ে আসে। এমনকি এ রুটে যারা সোনা চোরাচালানের সাথে জড়িত, তাদের নেতা হলেন সুলতান মিয়া। তার পাচারকৃত সোনা আত্মসাত করেছিল নাজমুল নামে আরেক ব্যক্তি।
সোনা চোরাচালানকারী দলের নেতা সুলতান মিয়া মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানার পুলিশকে দিয়ে পাচারকৃত সোনা আত্মসাতকারী নাজমুলকে গ্রেফতার করিয়ে আনে। আর এ কাজ করতে পুলিশকে ফোন দিয়েছিল পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রী মো শাহাব উদ্দিন।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, থানার একটি কক্ষে সোনা পাচারকারী সুলতান মিয়া একজন পুলিশ কর্মকর্তার চেয়ারে বসে নাজমুলকে মারধর করেছে। এ ঘটনার ভিডিও প্রকাশের পর সর্বত্রই চলছে সমালোচনা। নেটিজনরা প্রশ্ন তুলেছেন, একজন সোনা পাচারকারী ব্যক্তি থানার মধ্যে একজন মানুষকে মারধর করে কিভাবে? নাজমুল অপরাধী হলে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। শাস্তি দিলে পুলিশ দিবে।
অনুসন্ধান বলছে, খোদ মন্ত্রীর আশকারায় থানার মধ্যে প্রবেশ করে এমন স্পর্ধা দেখিয়েছেন সোনা চোরাচালান দলের নেতা সুলতান মিয়া। তিনি মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের আত্মীয় হওয়ায় খোদ মন্ত্রীই পুলিশকে ফোন দিয়ে সুলতানের অবৈধভাবে আনা সোনার বারগুলো উদ্ধার করে দেয়ার নির্দেশ দেয়। সেই সুবাদে থানার ভেতর ঢুকে নাজমুলকে নির্যাতন করেছিল এই মন্ত্রীর আত্মীয়।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সুলতান মিয়া দীর্ঘদিন ধরেই দুবাই থেকে অবৈধভাবে সোনা নিয়ে আসে। জলবাবায়ু মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন নিজেও জানেন যে সুলতান অবৈধ সোনা ব্যবসার সাথে জড়িত। আগেও সুলতান অবৈধ সোনা আনতে গিয়ে ধরা পড়েছিল। মন্ত্রীর কাছের লোক হওয়ায় ছাড়া পেয়েছেন বহুবার। সুলতান মিয়াকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে জলবায়ূ মন্ত্রীসহ একাধিক মন্ত্রী অবৈধ সোনা ব্যবসার সাথে জড়িত।
Discussion about this post