বছরের ৩ মাস শেষ হতে যাচ্ছে। অথচ এখন পর্যন্ত ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণিতে মূল্যায়ন কীভাবে হবে তার রূপরেখা পাওয়া যায়নি। শহরের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা অন্ধকারে হাতড়ানোর মতো করে পাঠদান প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। কিছু বিতর্কিত পাঠ্যবই ছাপিয়ে দায় শেষ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর। এই ব্যাপারে পাইলটিং কার্যক্রমও চালানো হয়নি।
২০২৩ সালের শুরু থেকে নতুন কারিকুলামে পাঠদান চলছে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে। এ দুই শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে কোনোও প্রচলিত পরীক্ষা বা মডেল টেস্ট নেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর মাউশি। গতকাল সোমবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এক আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষা অধিদপ্তর বলেছে, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) গাইডলাইন অনুযায়ী। এ গাইডলাইনের বিষয়ে পরে স্কুলগুলোকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
মাউশি এক আদেশে বলেছে, মাধ্যমিক পর্যায়ের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন-শেখানো ও মূল্যায়ন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে এনসিটিবি প্রণীত শিক্ষক সহায়িকা এবং শিক্ষাক্রমের নির্দেশনা অনুসারে করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রচলিত কোনো পরীক্ষা বা মডেল টেস্ট নেওয়া যাবে না। ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বিষয়ে এনসিটিবি থেকে যে গাইডলাইন পাওয়া যাবে, তা পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।
শিক্ষা অধিদপ্তর বলেছে, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শিক্ষক, প্রতিষ্ঠানপ্রধান, উপজেলা বা থানা একাডেমিক সুপারভাইজার, উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, আঞ্চলিক উপপরিচালক এবং আঞ্চলিক পরিচালকদের নিয়মিত পরিবীক্ষণ জোরদার করতে হবে।
যে পদ্ধতির ধারণা এখনো কমপ্লিটলি প্রস্তুত করতে পারেনি শিক্ষা অধিদপ্তর সেটা কেন দেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হলো? এখনো বলছে পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে! এটা কেমন তামাশা?
অথচ বিষয়টা হওয়া উচিত ছিল এমন, কমপ্লিট শিক্ষা পদ্ধতি বা কারিকুলাম রেডি হবে। সেই কারিকুলামের ওপর গ্রাম ও শহর মিলিয়ে ৫০ অথবা ১০০ টি স্কুলে পাইলটিং হবে। পাইলটিং প্রকল্পে ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া গেলে তারপর সারাদেশে চালু হবে।
Discussion about this post