গত কয়েকদিন ধরে ইডেন মহিলা কলেজে ছাত্রলীগের নেত্রীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দেশ তোলপাড়। পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে ভয়ংকর সব অভিযোগ। ইডেন মহিলা কলেজের মেয়েদের মধ্যে যাদের ঢাকায় থাকার ব্যবস্থা নেই এবং যারা বাসা ভাড়া করে থাকার সামর্থ রাখে না তারাই বাধ্য হয়ে কলেজের হোস্টেলে থাকতে হয়। হোস্টেলে থাকতে বাধ্য হওয়া মেয়েদের ছাত্রলীগের কাছে জিম্মি হয়ে থাকতে হয়। ছাত্রলীগের কথামত না চললে তারা হোস্টেলে থাকতে পারে না।
ছাত্রলীগের নেত্রীরা প্রথমত নতুন ছাত্রীদের থেকে চাঁদা কালেকশন করে। বিভিন্ন মিছিল সমাবেশে তাদের যেতে বাধ্য করে। দ্বিতীয়ত তাদের মধ্যে যাদের চেহারা ভালো তাদেরকে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামীলীদের নেতাদের বাসায় এবং আবাসিক হোটেলে যেতে বাধ্য করে। তৃতীয়ত নতুন ছাত্রীদের মধ্যে যারা রাজনৈতিক সচেতন তাদেরকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ও দেহব্যবসার লভ্যাংশ দিয়ে লাঠিয়াল বানায়। এই লাঠিয়ালরাই কয়েকবছর পর নেত্রী হয়ে যায় ও উপরোক্ত কাজগুলো করে।
ইডেনের এই ভয়াবহ অবস্থার খবর প্রথম সংবাদ মাধ্যমে আসে ২০১০ সালের মার্চ মাসে। সেসময় ধারণা করা হয়েছে এই টোটাল সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতো ওবায়দুল কাদের। সেসময় এই নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় হয় কিন্তু এর কোনো সমাধান হয় না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত ভয়াবহ নিরাপত্তা সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ইডেনের ছাত্রীরা। ১৩ মার্চ ২০১০ সালে আমার দেশ পত্রিকায় এই ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদনে জানা যায়,
//রাজধানীর সরকারি ইডেন কলেজে এবার দেহব্যবসার ঘটনা নিয়ে ছাত্রলীগের দুগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ নিয়ে গতকাল দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ভাংচুর ও সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে দু’পক্ষের নেতাকর্মীরা হকিস্টিক, রড, স্ট্যাম্প নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে অনু, তানিয়া, রূপা, রুমানা, কণা, লুচি, স্বর্ণা, লাবনীসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। এছাড়া জেবুন্নেসা হলের ২০৮, খোদেজা বেগম হলের ২০৫ ও পুরাতন হলের ২ (ক) নম্বর কক্ষটিতে ভাংচুর করে মালামাল লুট করা হয়েছে।
ছাত্রলীগের জুনিয়র কর্মী ছাড়াও সাধারণ ছাত্রীদের দিয়ে দেহব্যবসা ও ভর্তি বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত। দীর্ঘদিন ধরেই ছাত্রীদের জোরপূর্বক ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতাদের বাসায় নেয়া ছাড়াও রাজধানীর কাকরাইল, গুলিস্তান, এলিফেন্ট রোড, মালিবাগ, মতিঝিল, মোহাম্মদপুর, নাখালপাড়া, মীরপুরের আবাসিক হোটেলগুলোতে সংগঠনের জুনিয়র কর্মী ছাড়াও প্রথম বর্ষ ও দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীদের বাধ্য করে নিয়ে যাওয়া হতো।
এছাড়া চলতি শিক্ষাবর্ষে ৩ শতাধিক ভর্তিচ্ছু এবং শতাধিক ছাত্রীর সাবজেক্ট পরিবর্তনের মাধ্যমে কয়েক লাখ টাকা ব্যবসা করেছে ছাত্রলীগ। এ সম্পর্কে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। একটি পক্ষ বলছে, কলেজের সভাপতি জেসমিন শামীমা নিঝুম ও সাধারণ সম্পাদক ফারজানা ইয়াসমিন তানিয়াসহ কয়েকজন প্রথম সারির নেত্রী ছাত্রীদের দিয়ে দেহব্যবসা ও ভর্তি বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। আবার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পক্ষ বলছে, যারা ছাত্রীদের দিয়ে দেহব্যবসা করায় তার প্রতিবাদ করায়ই আমাদের ওপর হামলা হয়েছে।
নিঝুম গ্রুপের তানিয়া বলেন, আমি রাজিয়া হলের ২১০ নম্বর কক্ষে থাকি। বেশ কিছুদিন ধরে ছাত্রলীগের বড় আপা চম্পা ও কানিজ আমাকে অবৈধ কাজে অফার করে। এতে আমি রাজি না হলে গতকাল আমাকে রুমেই মারধর করে চম্পা ও কানিজ। জানা গেছে, কলেজের জেবুন্নেসা হলের ২০৮ নম্বর কক্ষের এক ছাত্রীকে ও খোদেজা বেগম হলের ২০৫ নম্বর কক্ষের এক ছাত্রীকে ছাত্রলীগ ও এক মন্ত্রীর বাসায় যাওয়ার প্রস্তাব দেয় সভাপতি নিঝুম ও সাধারণ সম্পাদক তানিয়া গ্রুপ। প্রস্তাবে রাজি না হয়ে ওই দুই ছাত্রী বিষয়টি অন্যদের কাছে প্রকাশ করে দেন। সমাজকর্ম বিভাগের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী মাহফুজা খানম স্বর্ণা বলেন, সভাপতি নিঝুম ও সাধারণ সম্পাদক তানিয়া আমাকে সব ধরনের অফার করেছে।
বিভিন্ন নেতার বাসায় যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেছে। আমি তাদের কথা না শোনায় আমার রুম ভাঙচুর করে তালা দিয়ে সবকিছু নিয়ে গেছে। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতেও আমাকে এক মন্ত্রীর বাসায় যেতে বলেছিল নিঝুম। তার কথা না শোনায় আমাকে তার কর্মীরা মারধর করেছে।
অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী লাবনী আক্তার বলেন, আমার চৌদ্ধগোষ্ঠী আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে। আমি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কথামতো না চলায় আমাকে শিবির বানিয়ে হল থেকে বের করে দিয়েছে। আমাকে সব ধরনের অফার করা হয়েছিল। তিনি বলেন, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক টাকার বিনিময়ে নবম শ্রেণীর মেয়েদেরও হলে রেখে তাদের দিয়ে দেহব্যবসা করাচ্ছে। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে শিবির বলে হল থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই দু’পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল।
গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। জানা গেছে, ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষে সভাপতি নিঝুম ও তানিয়া ইডেনে কয়েকশ ছাত্রীকে অবৈধভাবে ভর্তি করায়। প্রত্যেকের কাছ থেকে সর্বনিম্ন ১০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা নেয়া হয়। এছাড়া কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহফুজা চৌধুরীর সঙ্গে সমঝোতা করে কয়েকশ ছাত্রীর সাবজেক্ট পরিবর্তনের মাধ্যমে তারা ব্যবসা করে। এদের প্রত্যেকের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার থেকে শুরু করে সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা নেয়া হয়।
ভাগ-বাটোয়ারার ক্ষেত্রে জুনিয়রদের একটি করে ছাত্রী ভর্তি করার সুযোগ দেয়া হয়। প্রত্যাশিত ভাগ না পেয়ে এর প্রতিবাদ করায় তিন মাস আগে সাংগঠনিক সম্পাদক শর্মী ও হ্যাপিকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়। তবে সভাপতি জেসমিন শামীমা নিঝুম বলেছেন, ওই দুই নেত্রী ছাত্রীদের দিয়ে দেহব্যবসার মতো কাজ করিয়েছে। এজন্য তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমি সব ধরনের অনিয়মের বিপক্ষে। এসব অনিয়মের প্রতিবাদ করায় আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমাকে সরাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা সিদ্দিকী নাজমুল আলম ষড়যন্ত্র করছেন। সভাপতি নিঝুম গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মীরা বলেন, কিছুদিন আগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা সিদ্দিকী নাজমুল আলম ও ইডেনের সহ-সভাপতি চম্পা খাতুন দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তারা বিয়ে করে মিরপুরে বাসা নিয়ে থাকছেন। ওই বাসায় আরও পাঁচ থেকে ছয়জন ছাত্রীকে রেখে তারা দেহব্যবসা করাচ্ছে।
এর সঙ্গে বহিষ্কৃত নেত্রী হ্যাপী, শর্মী, চম্পা, কানিজ জড়িত। আমরা ওই ঘটনার প্রতিবাদ করায় আমাকে সরাতে ষড়যন্ত্র করছে। শর্মী ও হ্যাপি, সহ-সভাপতি চম্পা খাতুন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের হ্যাপী, ইতিহাস বিভাগের কানিজ, অর্থনীতি বিভাগের লিজা, বি.কমের মিশু, সমাজকর্ম বিভাগের স্বর্ণা, ইতিহাস বিভাগের মিনাসহ আরও ক’জন আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। সহ-সভাপতি চম্পা খাতুন বলেন, ইডেনের বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেকদিন আগেই। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে থাকতে সম্প্রতি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপনকে ১০ লাখ টাকা দিয়েছে নিঝুম ও তানিয়া।
এছাড়া তারা ছাত্রীদের দিয়ে দেহব্যবসা, ভর্তি বাণিজ্যসহ সব ধরনের অপকর্ম করছে। হলের ছাত্রীদের জিম্মি করে রেখেছে। তাদের কবল থেকে বের হয়ে ছাত্রীরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করে আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। এছাড়া এই চক্রটি ভর্তি বাণিজ্যের সঙ্গেও জড়িত।//
২৫ জানুয়ারি ২০১৫ সালে জাগো নিউজে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়,
//২০১২ সালের ৬ ডিসেম্বর জেসমিন আক্তার নিপাকে সভাপতি ও ইশরাত জাহান অর্চিকে সাধারণ সম্পাদক করে শাখা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এছাড়া ৯ জনকে সহ-সভাপতি, পাঁচজনকে যুগ্ম সম্পাদক, চারজনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। নতুন কমিটি ঘোষণার পর থেকেই বিনা কারণে ছাত্রীদেরকে মারধর, ব্যক্তিগত কাজে ছাত্রীদেরকে কাজে লাগানো, বাহির থেকে ছেলে নিয়ে এসে হলে ফুর্তি করা, হলে মাদকের আড্ডা, প্রশ্ন ফাঁস ও ভর্তি বাণিজ্য, অজ্ঞাত স্থানে যাওয়া-আসাসহ নানা অভিযোগ ওঠে নেত্রীদের বিরুদ্ধে।
কলেজ প্রশাসন জানায়, কলেজের ৬টি হলেই সিট দেয়া থেকে শুরু করে যাবতীয় বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে ছাত্রলীগ। অনেক ক্ষেত্রে বহিরাগতদের অবৈধভাবে হলে রেখে ভাড়া আদায় করেন তারা। এছাড়া কলেজের আশপাশে থাকা দোকানগুলো থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতির মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁসেরও অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর একটি আবেদনপত্র দেয় রাজিয়া বেগম ছাত্রীনিবাসের ছাত্রীরা। আবেদনপত্রে বলা হয়, আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাকিব হাসান সুইম, ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইশরাত জাহান অর্চির ২০১ নম্বর রুমে অবস্থান করেন। এ অবস্থায় তারা বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান।
হলের একাধিক ছাত্রী জানিয়েছেন, রাজিয়া বেগম হলের ২১০ এবং ২১২ নম্বর কক্ষে অর্চি তার সহচরদের নিয়ে থাকে। এর মধ্যে ২১২ নম্বর কক্ষটি খুবই গোপনীয়। এ কক্ষটিই তাদের মাদক গ্রহণের নিরাপদস্থান হিসেবে পরিচিত। অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন সময়ে অনেক রাত করে হলে ফেরেন কলেজের নেত্রীরা। গেটের দারওয়ান বাধা দিলে তাকে চাকরিচ্যুত করারও হুমকি দেন তারা।
ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় গত বছরের ২৩ জুন কলেজে ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়- স্থগিতাদেশের পর ছাত্রলীগের পদ-পদবি ও নাম ব্যবহার করে কেউ কোনো কর্মকাণ্ড করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘোষণার পরেও ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছেন। সর্বশেষ গত ৩ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানেও তারা যোগ দিয়েছেন। এ ঘটনার পর গত ১১ জানুয়ারি রাজিয়া বেগম হল থেকে ১৪, জেবুন্নেছা হল থেকে ২৫ এবং হাসনা বেগম হল থেকে ১৫ জনসহ মোট ৫৪ জন ছাত্রীকে বেআইনিভাবে হল থেকে বের করে দেন সাধারণ সম্পাদক অর্চি।
শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি নিপার তিন বছর আগে ছাত্রত্ব শেষ হলেও এখনও সে অবৈধভাবে হলে অবস্থান করে সিট বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করছে বলে জানা গেছে। এদিকে সাধারণ সম্পাদক মাস্টার্সে উঠলেও গত তিন সেশনে পরীক্ষা দেয়নি বলে তার ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে। এ ব্যাপারে কথা বলতে জেসমিন আক্তার নিপাকে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এছাড়া ইশরাত জাহান অর্চির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরে ফোন করতে বলেন। ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম জানান, তিনি অসুস্থ ছিলেন তাই এ বিষয়ে নির্দিষ্টভাবে কিছু বলতে পারছেন না।//
এভাবে সরকারের উচ্চপর্যায়ের প্রত্যক্ষ মদদে ইডেন মহিলা কলেজে ছাত্রলীগ মেয়েদের জিম্মী করে ভয়ানক বিপদে ফেলে দিচ্ছে। কারো সম্মান নষ্ট, কারো ক্যারিয়ার নষ্ট, কাউকে মাদকাসক্ত, সন্ত্রাসী ও দেহব্যবসায়ী বানাচ্ছে। ইডেনে ছাত্রীনিবাসে থেকে পড়াশোনার বিষয়টা এক দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। সারা বাংলাদেশ থেকে বাছাই করা মেধাবী ছাত্রীরা এখানে এসে সন্ত্রাসীতে পরিণত হচ্ছে, জীবন বিপন্ন করছে এর চেয়ে দুর্ভাগ্য একটি দেশের জন্য আর কী হতে পারে!
Discussion about this post