আগামী ১৩ আগস্ট জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি জানতে আসছেন। এতে নতুন করে শুরু হয়েছে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে গুমের শিকার পরিবার গুলোর উপর পুলিশের বাড়তি চাপ। গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য অথবা ঘটনার সাক্ষী হিসাবে বর্ণনা দেওয়া ব্যক্তিদের নিকট থেকে পুলিশের সাজানো স্টেটমেন্ট নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে আইন শৃঙ্খলা-রক্ষাকারী বাহিনী।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে পুলিশ চাঁদা চেয়েছিল কাঠুরিয়া মনসুর আহমদের কাছে। দাবীকৃত চাঁদা দিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন তিনি। পুলিশের ভয়ে লুকিয়ে ছিলেন এক আত্মীয়ের বাড়িতে। তাতেও রেহাই মিলেনি তাঁর। ২০১৩ সালের ২৭ মার্চ ভোর রাতে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় আত্মীয়ের বাড়ি থেকে পুলিশ তুলে নিয়ে যায় কাঠুরিয়া মনসুর আহমদকে। কাছাকাছি সময়ে পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন রিজভী হাসান চৌধুরী নামে আরেকজন। থানা হাজতে দুইজনকে রাখা হয়েছিল একসাথে। ২০১৩ সালের ৩০ মার্চ রাত পর্যন্ত রিজভী ও মনসুর আহমদ একসাথেই হাটহাজারি থানায় ছিলেন। পুলিশের সাজানো মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছিল রিজভী হাসানকে। কিন্তু মনসুর আহমদের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা জানেন না পরিবার। দীর্ঘ হাজতবাসের সময় পত্রিকার খবরের সূত্রে মনসুর আহমদের পরিবারের লোকজন রিজভী’র সাথে যোগাযোগ করেন। তাঁর কাছ থেকে তাদের প্রিয়জনের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন।
মনসুরের পরিবারের কাছে রিজভী হাসান চৌধুরী জানিয়েছিলেন ২০১৩ সারের ৩০ মার্চ পর্যন্ত থানা হাজতে একসাথেই ছিলেন। ৩০ মার্চ রাতে হাটহাজারী থানা হাজত থেকে মনসুরকে পুলিশ বাইরে নিয়ে যায়। বাইরে নিয়ে যাওয়ার পর আর কখনো তার দেখা হয়নি। রিজভী আর কোন খবরও পায়নি মনসুরের ভাগ্যে কি ঘটেছে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো প্রত্যক্ষদর্শী রিজভীর বক্তব্য জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল। আগামী ১৩ আগস্ট জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি জানতে আসছেন। এতে সত্য কথা বলার সৎ-সাহস প্রদর্শন করার মূল্য দিতে হচ্ছে এখন রিজভী হাসান ও তাঁর পরিবারকে। হাটহাজারী থানা পুলিশ এখন রিজভী হাসান চৌধুরীকে চাপ দিচ্ছে পুলিশের পছন্দ অনুযায়ী বক্তব্যে স্বাক্ষর দেওয়ার জন্য। সোর্স মারফত ও মোবাইল ফোনে চাপ সৃষ্টি করে কাজ না হওয়াতে নোটিশ জারি করা হয়েছে রিজভী হাসানকে। তাঁকে বাড়িতে না পেয়ে বাড়ির দেয়ালে আঠা দিয়ে আটকে দিয়ে এসেছে নোটিশ। নোটিশে বলা হয় ৩রা আগস্ট বেলা ১১টায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্টের দপ্তরে হাজির হতেই হবে তাঁকে!
মানুষ গুম করা মানবতা বিরোধী অপরাধ। দেশের রাষ্ট্রীয় বেতনভুক্ত পুলিশ ও র্যাব এবং সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা এই অপরাধ করছেন ফ্যাসিবাদি সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে। জাতিসংঘ থেকে গুম হওয়া ব্যক্তিদের খোজ নেওয়া শুরু হলে তালিকা ধরে গুমের শিকার ব্যক্তিদের হয়রানি করছে পুলিশ। চাপ সৃষ্টি করে পরিবারের নিকট থেকে পুলিশের সাজানো বক্তব্যে স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে অনেক দিন থেকেই। সর্বশেষ এই ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামের রিজভী হাসানের পরিবারের সাথে। তাঁর অপরাধ মনসুর আহমদকে থানা হাজতে দেখা এবং একসাথে থাকার বিষয়টি স্বীকার করা।
হাটহাজারী পুলিশ এখন রিজভী হাসান চৌধুরীর কাছে থেকে পছন্দমাফিক বক্তব্যের উপর স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সোর্স মারফত ও মোবাইল ফোনে চাপ সৃষ্টি করে কাজ না হওয়াতে নোটিশ জারি করা হয়েছে রিজভী আহমদকে। তার অনুপস্থিতিতে বাড়ির দেয়ালে নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়েছে পুলিশ। নোটিশে বলা হয়েছে, ৩রা আগস্ট বেলা ১১টায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্টের দপ্তরে হাজির হতেই হবে।
গুম-ক্রসফায়ার-খুনে দায়মুক্তি:
বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিপীড়ন ও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার খবর প্রায়ই বের হয়। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে ব্যাপকভাবে দায়মুক্তি ভোগ করে আসছে পুলিশ-র্যাবসহ রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা। শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদি সরকার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক নিপীড়ন, হত্যা ও ভিন্নমতের লোকদের গুম করছে। এসব ঘটনার কোন তদন্ত এবং বিচার হয় না। উপরন্তু, কারণে-অকারণে গুম ও বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার মানুষদের পরিবারকে হয়রানি করা হয়। হুমকি দিয়ে মুখ বন্ধ রাখার চেষ্টা করেন আইন শৃঙ্খলা-রক্ষাকারী বাহিনী।
গত ৩১ জুলাই ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশে পাখির মতো গুলি চালিয়ে একজনকে হত্যা করেছে ফ্যাসিবাদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুগত পুলিশ বাহিনী। সেই বিক্ষোভ সমাবেশে লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস শেল নিক্ষেপ ও গুলিতে আরও কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
বিদ্যুৎখাতে দুর্নীতি বন্ধ করা ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবিতে সেই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছিল বিএনপি।
বাংলাদেশের এমন বিপর্যয়কর মানবাধিকার পরিস্থিতির মাঝেই আগামী ১৩ আগস্ট রাতে বাংলাদেশে আসছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট। চারদিনের সফরে শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ছাড়াও পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, আইন ও শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর।
তাছাড়া কক্সবাজারস্থ রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন এবং শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে। রাজধানীর ইস্কাটনস্থ বিস মিলনায়তনে একটি সেমিনারে বক্তৃতা করার পাশাপাশি ঢাকার জাতিসংঘ অফিসের আয়োজনে বাংলাদেশে থাকা পশ্চিমা কূটনীতিক, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, মানবাধিকার কর্মী ও এনজিও প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পৃথক পৃথক রুদ্ধদ্বার বৈঠক করার কথা রয়েছে।
মিশেল ব্যাচেলেটের চার দিনের ঢাকা সফরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, গণমাধ্যম ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলো নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এছাড়া বাংলাদেশের সর্বজনীন মানবাধিকার পরিস্থিতিও পর্যালোচনা হবে।
বৈশ্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত জাতিসংঘের এ মুখ্য মানবাধিকার কর্মকর্তার এটাই প্রথম বাংলাদেশ সফর। বহু বছর ধরে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার এবং তার দপ্তর ‘অফিস অব দ্য ইউনাইটেড ন্যাশন্স হাইকমিশনার ফর হিউম্যান রাইটস’ (ওএইচসিএইচআর)-এর র্যাপোর্টিয়াররা বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ দেখিয়ে আসছেন। কিন্তু শিডিউল জটিলতা এবং অন্য সীমাবদ্ধতায় তা হয়ে ওঠেনি। সেই প্রেক্ষাপটে প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তা অর্থাৎ জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি পদমর্যাদার ওই কর্মকর্তার আসন্ন সফরটির বাড়তি তাৎপর্য রয়েছে মনে করা হচ্ছে।
মিশেল ব্যাচেলেট এমন এক সময় ঢাকা সফর করবেন যখন দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক।
মানবাধিকার পরিস্থিতি নাজুক:
২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্ষিক প্রতিবেদনও বাংলাদেশের উদ্বেগজনক মানবাধিকার পরিস্থিতি উঠে এসেছিল।
সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিপীড়ন ও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও ব্যাপকভাবে দায়মুক্তি ভোগ করে আসছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের সেই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছিল, ২০১৮ সালের সংসদীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনা এবং তার আওয়ামী লীগ দল টানা তৃতীয়বার পাঁচ বছরের মেয়াদে জয়লাভ করে। ব্যালট-বাক্স ভর্তি এবং বিরোধী পোলিং এজেন্ট ও ভোটারদের ভয় দেখানোসহ অনিয়মের কারণে এই নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের দ্বারা অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ ও র্যাব ছাড়াও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) সদস্যরা নানা ধরনের নিপীড়ন চালিয়ে থাকেন বলেও সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল।
আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতায়নের সময়সীমায় বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের উল্লেখ করে মার্কিন প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, বেআইনি বা নির্বিচারে হত্যা, গুম, সরকারের পক্ষ থেকে বা তার এজেন্টদের দ্বারা নাগরিকদের নির্যাতন, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ বা শাস্তির নির্যাতন বা মামলা, কারাগারে জীবনের জন্য হুমকি সৃষ্টিকারী পরিবেশ, নির্বিচারে গ্রেফতার বা আটক, রাজনৈতিক বন্দী, অন্য দেশে অবস্থানরত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিশোধ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বাধা, ব্যক্তিগত গোপনীয়তার ওপর স্বেচ্ছাচারী বা বেআইনী হস্তক্ষেপ, একজন ব্যক্তির দ্বারা অভিযুক্ত অপরাধের জন্য পরিবারের সদস্যদের শাস্তি, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বা সহিংসতার হুমকি, সাংবাদিকদের অযৌক্তিক গ্রেফতার বা বিচার, বাকস্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের ওপর গুরুতর বিধিনিষেধ, ইন্টারনেট স্বাধীনতার উপর গুরুতর নিষেধাজ্ঞা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা এবং সমিতির স্বাধীনতার সাথে উল্লেখযোগ্য হস্তক্ষেপ, যার মধ্যে রয়েছে সংগঠন, তহবিল বা বেসরকারি সংস্থা ও সুশীল সমাজ সংগঠনের ওপর বিধিনিষেধমূলক আইন।
এ ছাড়া শরণার্থীদের চলাফেরার স্বাধীনতার উপর বিধিনিষেধ, উদ্বাস্তুদের সাথে দুর্ব্যবহার, রাজনৈতিক দলগুলোর উপর গুরুতর এবং অযৌক্তিক বিধিনিষেধ, সরকারি দুর্নীতি; দেশীয় মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে হয়রানি বা সেগুলোর ওপর বিধিনিষেধের কথাও বলা হয়েছিল সেই প্রতিবেদনে।
বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে গত বছরের মে মাসে উদ্বেগ জানিয়ে বিষয়গুলো সুরাহার জন্য জবাবদিহি নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এই প্রেক্ষাপটে সংবিধান অনুযায়ী সবার মানবাধিকার সমুন্নত রাখার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ।
তবে, প্রতিশ্রুতির পরও বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেই চলেছে।
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তাবিষয়ক জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি জোসেফ বোরেল-ও গত বছর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছিলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি, বিশেষ করে নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারচর্চার ক্ষেত্র সংকুচিত হওয়ায় উদ্বেগ বেড়েই চলেছে।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য ইভান স্তেফানিৎসের চিঠির জবাব দিতে গিয়ে জোসেফ বোরেল বাংলাদেশ সম্পর্কে এই মনোভাব প্রকাশ করেছিলেন।
র্যাব ও এর সাবেক-বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে একই রকমের ব্যবস্থা চেয়ে জোসেফ বোরেলের কাছে ইভান স্তেফানিৎস চিঠি লিখেছিলেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে র্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছিলেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য ইভান স্তেফানিৎস।
সূত্র: আমার দেশ
Discussion about this post