২০২১ সালের নভেম্বর মাসের ৭ তারিখে যখন এই নিবন্ধটি লিখছি তখন সারা দেশের গণপরিবহনে ধর্মঘট চলছে। সরকার ডিজেল এবং কেরোসিনের মূল্য বৃদ্ধি করেছে; সেই দোহাই দিয়ে বাস-ট্রাক-লঞ্চের মালিকরা ধর্মঘট ডেকেছে। তাদের দাবি – মূল্যবৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্য রেখে ভাড়া বাড়াতে হবে নতুবা মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। পরিবহন মালিকদের প্রায় সবাই সরকার সমর্থক। তাদের নেতারা আবার সরকারি দলের মন্ত্রী-এমপিও বটে। সুতরাং কোনো সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরকার সমর্থক লোকজন ধর্মঘটে যাবে – এমনটি সচরাচর ঘটে না। এ জন্য বিএনপিসহ রাজপথের বিরোধী দলগুলো বলার চেষ্টা করছে যে, তেলের মূল্যবৃদ্ধি কিংবা ধর্মঘট সবই সাজানো নাটক। জনগণের পকেটের পয়সা হাতিয়ে নেয়ার জন্য একটি সঙ্ঘবদ্ধ চক্র অতীতের মতো এবারো নাটক শুরু করেছে।
উল্লিখিত অবস্থায় সরকারের কর্তাব্যক্তিরা প্রথম দিকে একটু নড়াচড়া করেছিল। তারপর সব নড়াচড়া বন্ধ করে লন্ডনের পানে তাকাতে আরম্ভ করলেন। শাসক দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বললেন, লন্ডন থেকে প্রধানমন্ত্রী জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং পরিবহন ধর্মঘট পর্যবেক্ষণ করছেন। তাদের এই সব কথাবার্তা শুনে মনে হয়, প্রধানমন্ত্রী ছাড়া যে দেশ চলে না তা আবার নতুন করে প্রমাণ করার সময় এসেছে। অথবা জনগণ বুঝুক যে, প্রধানমন্ত্রী দেশে না থাকলে তাদের কী কী দুর্ভোগ-দুর্দশা হতে পারে। কিংবা দেশবাসী বুঝুক যে, প্রধানমন্ত্রীকে কী ধরনের অযোগ্য লোকজন নিয়ে সরকার চালাতে হচ্ছে।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং গণপরিবহনে ধর্মঘট নিয়ে গত কয়েক দিনে যা হচ্ছে তা যেকোনো বিবেকসম্পন্ন মানুষকেই অস্থির করে তুলবে। রাষ্ট্রের যদি দায়বদ্ধতা না থাকে এবং রাষ্ট্র পরিচালকদের অন্তরে যদি মায়া-মহব্বত না থাকে তাহলে একটি দেশের সাধারণ জনগণের যে কী ভোগান্তি হতে পারে তা যদি কেউ অনুধাবন করতে চান তবে এই সময়ে ঢাকার চারটি প্রবেশ দ্বারে সকাল-বিকেল ও রাতে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন। আপনি যদি মানুষ হন এবং আপনার আত্মা যদি ইবলিসের চেয়েও খারাপ না হয় তবে চলমান সঙ্কটের কবলে পড়া দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের আহাজারি দেখলে আপনি কান্না রোধ করতে পারবেন না। সাভার, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ এবং মানিকগঞ্জ বা গাজীপুর এলাকা থেকে যারা নিয়মিত রাজধানীতে এসে কর্ম করেন এবং দিন শেষে ফেরেন, তাদের আর্তচিৎকারে পাষাণের মনও গলে যাচ্ছে; কিন্তু লন্ডনের দিকে তাকিয়ে থাকা লোকজনের কোনো ভাবান্তর হচ্ছে না।
আমাদের দেশের পত্রপত্রিকা-গণমাধ্যম বলতে যা বোঝায় তাদের সবাই হয় সরকারের তাঁবেদার নয়তো সরকারের রক্তচক্ষুর কারণে স্বেচ্ছানিয়ন্ত্রিত অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। তাদের কাছে সাধারণ জনগণের দুর্ভোগ, দুর্নীতিবাজদের দুর্বৃত্তায়ন এবং করোনার মহামারীকালে তেলের মূল্যবৃদ্ধির নামে কিভাবে দৈনিক ৫০০ কোটি টাকা জনগণের পকেট থেকে বের করে নেয়ার পাঁয়তারা চলছে সেসব বিষয়ে কোনো আগ্রহ নেই। তাদের সব আগ্রহ প্রধানমন্ত্রীতনয় সজীব ওয়াজেদ জয়ের ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে, যেখানে তিনি জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির যৌক্তিকতা নিয়ে নিজের মতামত তুলে ধরেছেন।
আগেই বলেছি যে, নিবন্ধটি লিখছি নভেম্বর মাসের ৭ তারিখে। এটি ছাপা হবে ১২ তারিখ শুক্রবার। সুতরাং পাঠকবৃন্দ যখন এ লেখা পড়বেন তখন ধর্মঘট চলবে নাকি চলবে না তা বলা যাচ্ছে না। অথবা তেলের দাম কমবে নাকি মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হবে তা-ও আমরা জানি না। অন্য দিকে বর্ধিত মূল্য বহাল রেখে ভাড়া বৃদ্ধির অনিবার্য সিদ্ধান্ত জনগণের পকেট কতটুকু কাটবে তা বলা না গেলেও প্রতিদিন ধর্মঘটের ফলে কয়েক হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি এবং সীমাহীন মানবিক ক্ষতির খতিয়ান জনগণের কলিজার মধ্যে বিষাক্ত তীরের মতো যেভাবে আঘাত হানছে তা চলমান মহামারীর বেদনাকে শতগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
বলা হয়ে থাকে, আমাদের দেশের জনসংখ্যা প্রায় সতের কোটি। সাধারণত একটি দেশের মোট জনসংখ্যার তিন ভাগের এক ভাগ মানুষ শ্রমজীবী হয়ে থাকে। অর্থাৎ ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে বৃদ্ধ-শিশু-ছাত্র থেকে শুরু করে অসুস্থদের বাদ দিলে কর্মক্ষম লোকের সংখ্যা সর্বোচ্চ ছয় কোটি। এই ছয় কোটি লোকের মধ্যে বেকার বা কর্মহীন আছে এক কোটি। তাহলে ১৭ কোটি মানুষের দেশে মাত্র পাঁচ কোটি নর-নারী বিভিন্ন পেশায় কর্মরত থেকে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখছে। বর্তমান করোনা সঙ্কটকালে এই পাঁচ কোটি মানুষের কতজন চাকরিচ্যুত হয়েছে, কতজন ব্যবসাবাণিজ্য হারিয়েছে, কতজন দেউলিয়া হয়েছে কিংবা পেশা পরিবর্তন করেছে এমন তথ্য ডিজিটাল সরকারের কোনো বিভাগ অনুবিভাগের কাছে নেই। বরং তারা যেসব কাগুজে তথ্য-উপাত্ত হাজির করছেন তাতে এ কথাই প্রমাণিত হয় যে, সব কর্মজীবীর গড় আয় অতীতের সব রেকর্ড ব্রেক করে তখন মাথাপিছু প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
ডিজিটাল সরকার আরো বলার চেষ্টা করছে যে, দেশে দুধ ও মধুর নিত্যনতুন নহর বইছে এবং মহাকাশে গরিবের টাকা দিয়ে যে স্যাটেলাইট পাঠানো হয়েছে সেটি এখন বিরহ যন্ত্রণায় ভুগছে – অর্থাৎ তার আর আকাশে একা থাকতে ভালো লাগছে না। সুতরাং যেকোনো মূল্যে সেটির একটি সঙ্গিনী বানিয়ে অনতিবিলম্বে মহাকাশে পাঠানো না হলে বিরহকাতর স্যাটেলাইটটি অভিমান করে যেকোনো সময় হারিয়ে যেতে পারে। এই অবস্থায় সরকারের কর্তাব্যক্তিরা যখন মহাকাশের অনন্তলোক নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে তখন গাঙ্গেয় ব-দ্বীপের বালু-কাদায় একাকার হওয়া ভুখা-নাঙ্গা মানুষের আহাজারি যে উন্নয়ন কর্মে কতটা বাধা সৃষ্টি করছে তা ভেতো বাঙালিকে কে বোঝাবে। প্রধানমন্ত্রী যখন বিশ্বের জলবায়ু নিয়ে দুনিয়াকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য বিলেতের গøাসগো-লন্ডন আলোকিত করছেন তখন তেলের মূল্য নিয়ে হইচই যে কত বড় অপরাধ হতে পারে তার চুলচেরা বিশ্লেষণ করার জন্য সরকারি দফতরগুলোতে পান-বিড়ি-সিগারেটের সাথে কোক-ফান্টার মিশ্রণে মস্তিষ্ক প্রক্ষালনের মহড়া চলছে। সুতরাং জনগণের দুর্ভোগ নিয়ে ভাবনার সময় কই!
আমাদের দেশে গত দুই বছরে করোনার দুইটি ঢেউয়ে পুরো দেশকালের জনজীবন প্রকৃতি ও পরিবেশে যে ওলট-পালট হয়েছে তা গত ১০০ বছরেও হয়নি। একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ব্যাপক গবেষণা চালিয়ে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায় যে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশের তিন কোটি মানুষ দরিদ্র হয়ে পড়েছে। অন্য দিকে সরকার প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলার চেষ্টা করছে যে, মাথাপিছু গড় আয় এখন দুই হাজার ৫৫৪ মার্কিন ডলার। এই অবস্থায় আমাদের জীবনমান নিয়ে কারা ঠাট্টা করছে তা বোঝার সামর্থ্য আমাদের কয়জনের রয়েছে?
দুঃখের কথা বলতে গেলে মানুষ যেমন খেই হারিয়ে ফেলে। তদ্রূপ আমিও আজকের নিবন্ধে বারবার খেই হারিয়ে ফেলছি। জ্বালানি তেলের মূল্য যেভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে তাতে সরকার বা রাষ্ট্র জনগণের পকেট থেকে প্রতিদিন ৫০০ কোটি টাকা লোপাট করবে বলে যাত্রী কল্যাণ সমিতি নামের একটি সংগঠন দাবি করেছে। তাদের মতে, এই মুহূর্তে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের যে দাম তাতে প্রতিদিন সরকারকে লোকসান দিতে হবে মাত্র ২০ কোটি টাকা। অথচ ২০ কোটি টাকার ক্ষতি দেখিয়ে ৫০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার যে ব্যবস্থা করা হয়েছে তা এই মহামারীর সময় রীতিমতো ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করবে।
সংস্থাটি আরো বলেছে, বিগত কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য সর্বনিম্ন পর্যায়ে ছিল। সরকার সেই মূল্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্থানীয় বাজারে তেলের মূল্য কমায়নি। এতে করে গত কয়েক বছরে সরকার কেবল তেল বিক্রি করে লাভ করেছে ৬৩ হাজার কোটি টাকা। সুতরাং অতীত লাভের সাথে যদি নতুন মূল্যবৃদ্ধির আনুপাতিক লাভ অর্থাৎ দৈনিক ৪৮০ কোটি টাকা যোগ করা হয়, তবে রাষ্ট্রের মুনাফা লাভের যে ডিজিটাল লোভ দৃশ্যমান হয় তার সাথে কুখ্যাত সুদখোর জগৎশেঠের লোভেরও তুলনা চলে না।
রাষ্ট্রের বাইরে এসে এবার জ্বালানি তেল বিক্রি, পরিবহন, সংরক্ষণ এবং তেলের ব্যবহারকারীদের যে সিন্ডিকেট রয়েছে তা সৌরজগতের অন্য কোনো গ্রহে নেই। এই দেশের তেলের পাইপলাইন, তেলের লরি, ট্রাক এবং ট্যাঙ্কার থেকে যেভাবে তেল চুরি হয় সেভাবে আফ্রিকার দরিদ্র ও অপরাধপ্রবণ কোনো দেশেও হয় না। এই দেশে যেভাবে নিম্নমানের তেল আমদানি করা হয় তা ভারত-পাকিস্তান ও নেপালেও হয় না। তেলে ভেজাল মেশানো এবং ওজনে কম দেয়ার পরিসংখ্যান গণনা করা হলে আমরা যে পিরামিডের চূড়ায় থাকব তাতে কোনো সন্দেহ নেই। অন্য দিকে তেলের মূল্যবৃদ্ধিকে পুঁজি করে এ দেশের পরিবহন মালিকরা যেভাবে ভাড়া বাড়িয়ে নেয় তাতে মনে হয় সরকারের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত তাদের জন্য রীতিমতো সৌভাগ্যের পরশমণি হয়ে দেখা দেয়। ফলে দেশের খেটে খাওয়া প্রান্তিক জনগণের ঘাম-শ্রম এবং রক্ত প্রতিদিন তেল সিন্ডিকেটের হোতাদের শরীরে যে পরিমাণ চর্বি পয়দা করে সেই চর্বি পোড়ানোর ক্ষমতা দুনিয়ার কোনো আগুনের নেই। একমাত্র জাহান্নামের আগুনই পারবে তেল সিন্ডিকেটের রুই-কাতলা ও রাঘববোয়ালদের পুঞ্জীভূত চর্বিকে দগ্ধ করতে।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং এতদসংক্রান্ত তেলেসমাতি নিয়ে আজ আর কথা বাড়াব না। এবার দেশের দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণহীন ঊর্ধ্বগতি নিয়ে সংক্ষেপে কিছু বলার চেষ্টা করব। আগেই বলেছি যে, করোনার দ্বিতীয় ধাপে বা ঢেউয়ে তিন কোটি লোক নতুন করে দরিদ্র হয়েছে। তাই বিশাল জনগোষ্ঠী কি শহরে নাকি গ্রামে এটি বের করা না গেলেও এসব লোক যে, উদরের যন্ত্রণায় কাজ খোঁজে এবং নিজেদের শেষ সঞ্চয় বা সারা দিনের উপার্জন দিয়ে সামান্য চাল-ডাল-তরকারি কেনার জন্য বাজারে ভিড় করে তা একেবারে নিশ্চিত করে বলা যায়। ফলে বাংলাদেশের চাল-ডালের বা তরিতরকারির বাজারে গেলেই বোঝা যায় অতি চিৎকার সত্য নাকি সরকারের গালভরা বুলি সত্য।
কয়েকটি টেলিভিশন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং লাগামহীন বাজারব্যবস্থা নিয়ে প্রশংসনীয় প্রতিবেদন করছে। খুচরা বিক্রেতাদের সাক্ষাৎকারভিত্তিক একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানতে পারলাম যে, পাইকারি বাজারের সিন্ডিকেট কারসাজির কারণে গত কয়েক মাসে হাজার হাজার খুচরা বিক্রেতা দেউলিয়া হয়ে গেছে। পাইকারি বাজারের সিন্ডিকেট এমনভাবে মূল্য বৃদ্ধি করে এবং মাঝে মধ্যে এমনভাবে মূল্যহ্রাস করে, যার ফলে খুচরা বিক্রেতারা লোকসান গুনে পুঁজিহীন হয়ে পড়ে, অনেকে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে। তারা যখন মূল্য বৃদ্ধি করে তখন খুচরা বাজারে পণ্যের সরবরাহ খুব কম থাকে। ফলে খুচরা বিক্রেতারা উচ্চমূল্যে পণ্য কিনে যেই না দোকান সাজায় অমনি সরকারের চাপে বা অন্য কোনো কারণে তারা হঠাৎ মূল্যহ্রাসের ঘোষণা দিয়ে কমমূল্যে নির্ধারিত এজেন্টদের মাধ্যমে কিছু পণ্য বাজারে ছেড়ে দেয়। ফলে খুচরা বিক্রেতারা তাদের উচ্চমূল্যে কেনা পণ্যসামগ্রী কম মূল্যে বিক্রয় করতে বাধ্য হয়।
এবার ভোক্তাপর্যায়ের দুর্ভোগের কথা বলে আজকের নিবন্ধের ইতি টানব। আমাদের দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে শতকরা ৯০ জন লোক প্রান্তিক সীমায় বাস করে, যাদের সামাজিক পরিচয় নিম্ন মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত, দরিদ্র, অতি দরিদ্র এবং ভিক্ষুক বা ভবঘুরে। এই বিশাল জনগোষ্ঠী সাধারণত সর্বোচ্চ সাত দিনের বাজার একসাথে করে তবে বেশির ভাগ শ্রমজীবী মানুষ দুই-তিন দিনের বাজার একসাথে করে। এসব লোক প্রতিদিন বাজারের দরদাম এবং প্রতিদিনের আয়ের সমন্বয় করতে পারে না। ফলে ঘরে এবং বাইরে এসব লোক প্রতিদিনই দেনা-পাওনার হিসাব মেটাতে না পেরে হইচই, গালাগাল এবং ঝগড়াঝাটি করে থাকে। ফলে তাদের দ্বারা সামাজিক সংহতি নষ্ট হচ্ছে, পারিবারিক সম্পর্ক ও বন্ধন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং ব্যক্তিপর্যায়ে একধরনের হতাশার পাশাপাশি অন্তরে ঘৃণা ও হিংস্রতা পয়দা হচ্ছে, যা কিনা পুরো দেশকে অনাগত দিনে এমন বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাবে যা ক্ষমতাসীনরা কল্পনাও করতে পারছে না।
লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য
Discussion about this post