অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
শেখ মুজিবের ভাস্কর্য নির্মাণকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে ওলামায়ে কেরামকে লক্ষ্য করে শিক্ষাউপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিব্বুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সন্ত্রাসী কায়দায় বক্তব্যের পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে।
দেখা গেছে, ভাস্কর্য নির্মাণকে কেন্দ্র করে ওলামায়ে কেরাম কেউ বঙ্গবন্ধুকে কটাক্ষ করে কিছু বলেনি। তারা বলেছে-ভাস্কর্য বা মূর্তি তৈরি ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম। বঙ্গবন্ধুর নামে মিনার বা মসজিদ নির্মাণের জন্য তারা সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে।
কিন্তু দেখা গেছে, এটাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষাউপমন্ত্রী ব্যারিস্টার নওফেল চট্টগ্রামে এক সমাবেশে দেশের সম্মানিত আলেম সমাজকে ভাড়াটে হিসেবে আখ্যাদিয়ে তাদের ঘাড় মটকে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন।
এরপর, বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ও আলেম ওলামাকে নিয়ে সন্ত্রাসীদের ভাষায় কটাক্ষ করেছে। ছাত্রলীগ সভাপতি বলেছে, দেশের আলেম সমাজকে নাকি তারা বুড়িগঙ্গায় ভাসিয়ে দেবে। আর মামুনুল হক’সহ আলেম সমাজের লেজ কেটে দেয়ার নাকি সময় এসেছে। এছাড়া মাঠে নেমে ছাত্রলীগের সাথে মোকাবেলা করার জন্য সে আলেমদের প্রতি হুমকি দেয় এ নেতা।
আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ এই দুই নেতার বক্তব্য নিয়ে এখন সারাদেশে তোলপাড় চলছে। সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে কঠোর সমালোচনা। আলেম ওলামাদেরকে কটাক্ষ ভাষায় গালাগালি করায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠছে সাধারণ মানুষও।
সচেতন মাহল বলছেন, শেখ মুজিবের মূর্তি ইস্যুতে দেশের সাধারণ মানুষ আলেম-ওলামার পক্ষে। সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামার জন্য মানুষ প্রস্তুত হয়ে আছে। কেউ ডাক দিলেই ঘর থেকে বেরিয়ে আসবে। তাদের মতে-আওয়ামী সন্ত্রাসীরা যতই লম্প-ঝম্প করুক না কেন, মাঠে নামার শক্তি সাহস তাদের নেই। মাঠেতো দূরের কথা পুলিশ ছাড়া আওয়ামী লীগ-যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা ঘর থেকেই বের হতে পারবে না।