অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
শেখ হাসিনাসহ তার দলের নেতারা বরাবরই দাবি করে আসছে যে, ভারত হলো বাংলাদেশের সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বন্ধু। তাদের মতে-বাংলাদেশের সাথে কোনো পরীক্ষায়ই ভারত ফেল করেনি। যার কারণে তারা মাঝে মধ্যে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে স্বামী-স্ত্রী ও রক্তের সম্পর্ক বলে দাবি করে থাকে।
শেখ হাসিনা ও তার দলের ভারতীয় দালালরা মুখি দাবি করলেও ভারত কি আসলেই সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বন্ধু? নাকি হাসিনা তার ক্ষমতার জন্য ভারতকে নিজেদের পাশে রাখার জন্য এসব বলছে?
একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রথম পরিচয় হচ্ছে-বিপদের সময় বন্ধুর পাশে দাড়ানো। সেই অর্থে ভারত কি বন্ধুর পরিচয় দিতে পেরেছে? ভারত কি কখনো বিপদের সময় বাংলাদেশের পাশে এসে দাড়িয়েছে? বিগত ৫০ বছরের মধ্যে এমন নজির খুঁজে পাওয়া যাবে না।
বাংলাদেশের জন্য এখন সবচেয়ে বড় বিপদ হচ্ছে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা। ৮ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয়ার চার বছর চলছে। রোহিঙ্গাদের কারণে এখন বাংলাদেশের পর্যটন নগরী হিসেবে পরিচিত কক্সবাজার ধংস হয়ে যাচ্ছে। টেকনাফ-উখিয়া উপজেলাগুলো বনভুমি হারিয়ে মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে।
কিন্তু রোহিঙ্গাদেরকে তাদের জন্মস্থান মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কোনো উদ্যোগই নেই।
জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা মাঝে মধ্যে উদ্যোগ নিলেও প্রভাবশালী দেশগুলো এতে ভেটো প্রদান করে।
বাংলাদেশের মানুষ আশা করছিল যে, প্রতিবেশি দেশ ভারত রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে দাড়াবে। মিয়ানমার এবং আন্তর্জাতিক মহলের উপর চাপ সৃষ্টি করবে।কিন্তু এদেশের মানুষের সেই আশাকে ভুল প্রমাণ করলো ভারত।
ভারত মুখে মুখে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে সব কিছু করবে বলে ঘোষণা দিলেও বাস্তবে করছে উল্টোটা। রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত একেবারে রহস্যজনক ভুমিকা পালন করছে। জাতিসংঘে বিভিন্ন সময় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কোনো রেজুলেশন পাস করতে চাইলে সেখানে ভারত বাংলাদেশের পক্ষে ভোট দেয়নি।
সর্বশেষ গত সপ্তাহে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে ১৩২ দেশ। কিন্তু সেই প্রস্তাবে ভারত ভোট দেয়নি।
এটা থেকে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে গেল যে, ভারত বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু নয়।বিপদের সময় যে পাশে এসে দাড়ায়নি তাকে কোনোভাবেই পরীক্ষিত বন্ধু বলা যায় না।
শেখ হাসিনাসহ তার দলের দালালরা শুধু নিজেদের স্বার্থেই ভারতকে প্রকৃত বন্ধু বলে দাবি করছে।ভারত বাংলাদেশের মানুষের বন্ধু নয়।বাংলাদেশের কোনো বিপদের সময় ভারত পাশে দাড়ায়নি।