অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জুড়েই চলছে আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মুক্তির দাবিতে তোলপাড় চলছে। কখনও পোস্টার আবার ছোট ছোট ভিডিওবার্তায় এই মুক্তির দাবি জানাচ্ছে দেশ বিদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে।
এছাড়া আল্লামা সাঈদীর মুক্তির দাবিতে হাজার হাজার টুইট করা হচ্ছে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে। এর সূত্র ধরে টুইটার ট্রেন্ডের শীর্ষে উঠে এসেছে আল্লামা সাঈদীর মুক্তির দাবি। ইতিমধ্যে #FreeSayedee হ্যাশট্যাগটি লক্ষাধিক বার টুইট হয়েছে।
১ মে থেকে বাংলাদেশ ট্রেন্ডে শীর্ষে অবস্থান করছে #FreeSayedee এই হ্যাশট্যাগটি। এরপর থেকে টুইটার ট্রেন্ডে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে হ্যাশ ট্যাগটি। টুইটার ট্রেন্ডে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে #SaveBangladesh.
জামায়াতের বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় ২ মে জামায়াত যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত বিশ্ববরেণ্য মুফাসসির আল্লামা সাঈদীর মুক্তির দাবিতে অনলাইনে ক্যাম্পেইন করার প্রস্তুতি নিয়েছে। সেই ক্যাম্পেইনকে সার্থক করতে অনলাইন এক্টিভিস্টরা ১ মে রাত দশটা থেকেই টুইটারে টুইট করতে শুরু করে। অল্প সময়ে হাজার হাজার টুইট করায় আল্লামা সাঈদীর মুক্তির দাবি এখন শীর্ষ ট্রেন্ডে অবস্থান করছে।
আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম ও শীর্ষ মুফাসসির। বিগত দশ বছর তিনি যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে কারাগারে বন্দি। যদিও তিনি এবং তার দল জামায়াত এই অভিযোগ বরাবরের মতোই অস্বীকার করে আসছে। স্কাইপ কেলেঙ্কারি, সাক্ষী সুখরঞ্জন বালি অপহরণ এসব ঘটনা আল্লামা সাঈদীর নির্দোষ প্রমাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
আল্লামা সাঈদীর বর্তমান বয়স আশির অধিক। বৃদ্ধ বয়সে এই শীর্ষ আলেম কারাগার থেকে বিনা শর্তে মুক্তি পাবে এমনটাই আশা করে সাঈদী ভক্তরা। বর্তমান মহামারী সংকটে জাতীয় ঐক্য খুবই দরকার। আল্লামা সাঈদীর মুক্তিই হতে পারে জাতীয় ঐক্যের একটি শক্তিশালী কারণ। প্রবীণ ও শীর্ষ আলেম আল্লামা সাঈদীকে মুক্তি দিয়ে আওয়ামী সরকার বিচক্ষণতার পরিচয় দিবে এমনটাই আশা করেন দেশের সচেতন ও বুদ্ধিজীবী মহল।
এদিকে প্রাণঘাতী করোনার অক্রমনের পর বিভিন্ন দেশে কারাবনন্দিদের মুক্তি দিচ্ছে। বাংলাদেশের ক্ষমতাসীনরা কারাবন্দিদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর থেকে মানবিক বিবেচণায় ক্ষমতাসীনদের কাছে সাঈদীকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানায় বিভিন্ন মহল।