আগ্রাসনের জন্য ক্ষমা চেয়ে ইরানি জনগণের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে কয়েক হাজার মার্কিন নাগরিক। শান্তিবাদী একটি সংগঠনের পাঠানো ওই চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ১০ হাজার মানুষ স্বাক্ষর করেছেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ও প্রেস টিভির বরাতে এ খবর জানা গেছে।
‘কোড পিঙ্ক’ নামের ওই শান্তিবাদী সংগঠনটির পাঠানো চিঠিতে ইরানের অভিজাত কুদস ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাণ্ডজ্ঞানহীন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানানো হয়।
সোলাইমানির হত্যাকাণ্ডকে বর্বরতা আখ্যায়িত করে এর জন্য মার্কিন জনগণের পক্ষে দুঃখ প্রকাশ করেন তারা।
চিঠিতে বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ যেহেতু সব মানুষের শান্তি এবং নিরাপত্তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সে কারণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই কাণ্ডজ্ঞানহীন সিদ্ধান্তের জন্য আমরা ক্ষমা চাইছি।’
মার্কিন জনগণ ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ চায় না উল্লেখ করে তারা বলেন, ‘আমরা শান্তি ও সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করতে চাই। ট্রাম্পের আগ্রাসন বন্ধের জন্য যে ধরনের পদক্ষেপ নেয়া দরকার আমরা তার সবকিছুই করার চেষ্টা করব। দয়া করে আপনারা আমাদের বন্ধুত্বের আহ্বান গ্রহণ করুন। যারা সমাজে ঘৃণা এবং অনৈক্য ছড়াচ্ছে তাদের উপর শান্তি বাদীদের জয় হোক।’
ইংরেজি এবং ফারসি ভাষায় চিঠির পাশাপাশি এর একটি ভিডিও বার্তাও পাঠিয়েছে ‘কোড পিঙ্ক’ নামের ওই শান্তিবাদী সংগঠনটি।
গত ৩ জানুয়ারি বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ইরানের প্রভাবশালী জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যা করে মার্কিন বাহিনী।
মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন বাহিনীর ওপর ইরান-ঘনিষ্ঠ মিলিশিয়াদের হামলার মূলহোতা হিসেবে সোলাইমানিকে আখ্যায়িত করে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের সঙ্গে সই হওয়া পরমাণু অস্ত্র থেকে এক তরফাভাবে সরে যাওয়ার পর উত্তেজনার মধ্যেই এই জেনারেলকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইরানের প্রভাব বিস্তারের মূল কারিগর বলা হয়ে থাকে সোলাইমানিকে। তাকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে প্রথমবারের মতো ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে সামরিক হামলা চালায় ইরান। যদিও এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
সূত্র: যুগান্তর