অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
কথিত দুর্নীতির মামলায় কারাগারের চার দেয়ালের ভেতর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জীবনযাপনের প্রায় দুই বছর হয়ে যাচ্ছে। দিন যত যাচ্ছে তিনি ততই অসুস্থ হয়ে শারীরিক শক্তি সামর্থ্য হারাচ্ছেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে তিনি আর কখনো জীবিত অবস্থায় কারাগারের চার দেয়ালের বাইরে আসতে পারবেন কিনা এনিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।
দুই বছরের মধ্যে দলীয় চেয়ারপারসনের মুক্তির জন্য দলের সিনিয়র নেতারা এখন পর্যন্ত চোখে পড়ার মতো কিছুই করতে পারেননি। রাজপথের আন্দোলনে যেমন ব্যর্থ হয়েছেন ঠিক তেমনি আন্তর্জাতিক লবিংয়ের মাধ্যমেও সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়েছেন। সিনিয়র নেতাদের এমন নিস্কিয় ভুমিকায় দিন দিন ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন দলটির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তৃণমূলের পক্ষ থেকে রাজপথের আন্দোলনের জন্য চাপ সৃষ্টি করলেও দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হাটছেন ভিন্ন পথে। দলীয় চেয়ারপারসনের মুক্তির চেয়ে কথিত জাতীয় ঐক্য গঠনের জন্য মির্জা ফখরুল ঘুরছেন ড. কামালের পেছনে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দলটির প্রবীণ নেতাদের কোনো পরামর্শও গ্রহন করছেন না মির্জা ফখরুল। প্রবীণদের অভিযোগ, ফখরুল সাহেব আমাদের কথা না শুনে তিনি শুনছেন ড. কামাল-জাফরুল্লাহদের পরামর্শ। ড. কামালের পরামর্শ অনুযায়ী মহাসচিব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেও ভুল বুঝাচ্ছেন। ৩০ ডিসেম্বরের এত বড় ভোটডাকাতির পরও যে কামাল কোনো আন্দোলনের ডাক দেয়নি তার পেছনে ঘুরে আমাদের নেত্রীর মুক্তি হবে না। আর ফখরুল সাহেব যদি কামালদেরকে না ছাড়তে পারেন তাহলে তার সঙ্গে কাজ করা কঠিন হয়ে যাবে।
জানা গেছে, এসব ক্ষোভ থেকেই সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোর্শেদ খান দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। এদিকে, দলের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমদও ড. কামালের ঐক্যফ্রন্ট থেকে বেরিয়ে আসার জন্য মির্জা ফখরুলকে পরামর্শ দিচ্ছেন। জানা গেছে, বিএনপি যদি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বেরিয়ে এসে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলনের ডাক না দেয় তাহলে মেজর হাফিজসহ আরও কয়েকজন নেতা পদত্যাগ করতে পারে। এতে করে বড় ধরণের ভাঙন দেখা দিতে পারে দলটিতে।