অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
আবারো প্রতিহিংসার আগুনে সর্বশান্ত করে দিলো গুলশান-১ নম্বরের ডিএনসিসি মার্কেটের ব্যবসায়ীদেরকে। সব কিছু হারিয়ে ব্যবসায়ীরা এখন পথে বসেছে। পুড়ে যাওয়া ধ্বংসস্তুপের পাশে বসে তারা এখন কান্না আহাজারি করছেন। নি:শ্ব ব্যবসায়ীদের আর্তচিৎকারে শুধু গুলশান নয়, পুরো ঢাকা শহরের বাতাস যেন ভারি হয়ে উঠছে। তাদের একটাই কথা-আমরা এখন কি করবো? আমাদের চলার জন্য এখন আর কিছুই বাকী নেই। আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে। ভোররাতে কেন বার বার আগুন লাগছে? এ আগুন পরিকল্পিত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রভাবশালী একটি মহল দীর্ঘদিন ধরেই গুলশানের এই মার্কেটটি নিয়ে চক্রান্ত করে আসছে। ভাগ বাটোয়ারা করে খাওয়ার জন্য তারা এটিকে একটি বহুতল বিশিষ্ট ভবন করে শপিং মল করার চেষ্টা করে আসছে। এই চক্রের মূলহোতা হলেন বাড্ডার আওয়ামী লীগ নেতাও ওই মার্কেটের ব্যবসায়ী নেতা তালাল রেজভী। প্রথম থেকেই তাদের এই চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত ছিলেন ঢাকা উত্তরের প্রথম মেয়র আনিসুল হক। পকিল্পনা বাস্তবায়ন করতেই তারা ২০১৭ সালে ভোররাতে গান পাউডার দিয়ে মার্কেটে আগুন লাগিয়েছিল। গান পাউডারের পরিমাণ এতই ছিল যে, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভাতে হিমশিম খাচ্ছিল।
ওই আগুনে কয়েকশ ব্যবসায়ী একেবারে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিল। ব্যবসায়ীরা তখন সরাসরি আগুনের জন্য মেয়র আনিসুল হকসহ ব্যবসায়ী নেতাদেরকে দোষারোপ করেছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আতিকুল ইসলাম মেয়র হওয়ার পর ওই মার্কেটের কয়েকজন ব্যবসায়ী যারা আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে পরিচিত, তারা কাঁচাবাজার ও মার্কেটটি ভেঙ্গে একটি বড় শপিং মল করার প্রস্তাব দেন। মেয়র আতিকুলও তাদের প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন। কিন্তু মার্কেটের ব্যবসায়ীরা এতে রাজি হচ্ছিল না। আওয়ামী লীগ নেতা তালাল রিজভীসহ অন্যরা তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতেই শনিবার ভোরে আবারো আগুনে পুড়িয়ে দেয় মার্কেটটি।
আগুন যে পরিকল্পিত ছিল এটার প্রমাণ মিলেছে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের বক্তব্য থেকেই। আগুন লাগার পর ঘটনা স্থলে এসে হানিফ বলেছেন, যেকোনো মূল্যে এটিকে ভেঙ্গে আন্তর্জাতিক মানের শপিং মল করতে হবে।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীসহ স্থানীয়রা বলছেন, তালাল রিজভীরা পরিকল্পিতভাবে আগুন দিয়েছে। এর সঙ্গে মেয়র আতিকুলও জড়িত আছেন। তাদের টার্গেট হলো এখানে একটি বড় শপিং মল করে বাণিজ্য করা।
এনিয়ে আজ অনেকেই বলছেন যে, মেয়র আনিসুল হক পুড়ার যে কাজ শুরু করেছিলেন আতিকুল ইসলাম এসে তার সমাপ্তি ঘটাচ্ছে।