আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও উদ্বেগ জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র। এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনারও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রীর ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক সম্পর্কে মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে অতিরিক্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মানহানির মামলা করেন। গত রবিবার (২২ জুলাই ২০১৮) মাহমুদুর রহমান আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করে স্থায়ী জামিন দেন।’
গণমাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এসময় আদালত প্রাঙ্গণে আগে থেকে অবস্থান নেওয়া সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে আদালতের একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে ফেলেন। সেখান থেকে বেরিয়ে নিজের গাড়িতে ওঠার চেষ্টা করলে লাঠি ও ইট দিয়ে তাকে আঘাত করা হয়। হামলায় তিনি গুরুতর আহত হন। পরবর্তীতে পুলিশের সহযোগিতায় তিনি যশোর এয়ারপোর্টে পৌঁছান বলে জানা যায়। আদালত প্রাঙ্গণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতে এ ধরনের হামলা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) আদালত চত্বরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতে মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।’
‘বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেক ব্যক্তি আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। মাহমুদুর রহমান একজন আইনের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তি। তার দোষ প্রমাণিত হলে আদালতই শাস্তি নিশ্চিত করবে। এরকম পরিস্থিতিতে আইন নিজেদের হাতে তুলে নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে এ ধরনের হামলা অত্যন্ত নিন্দনীয় বলে আসক মনে করে। সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে বারবার আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এসেছে। এসব হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নিলে, এ ধরনের হামলাকে আরও ত্বরান্বিত করবে। যা রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা তৈরি করবে। আইনের শাসন ব্যহত করবে। তাই আসক এ হামলার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছে।’
সূত্র: শীর্ষনিউজ