ড. আবদুল লতিফ মাসুম
অনেক অস্থিরতা, অরাজকতা ও অনিয়শ্চয়তা শেষে যে পরিণতির দিকে ধাবমান বিচার বিভাগীয় সঙ্কট, তা কারোরই কাম্য ছিল না। আড়ালে আবডালে অনুচ্চারিত বাক্যবাণ ছিল। প্রকাশ্যে প্রত্যক্ষ হুমকি ছিল এবং গুজবের বহুল প্রসারিত শাখা-প্রশাখা ছিল। এমনি আশা এবং আশঙ্কার মাঝে নির্বাহী বনাম বিচার বিভাগের প্রকাশ্য দ্বন্দ্বে নাগরিকসাধারণ বিচলিত ছিল। বিরোধীরা এই আশায় বুক বেঁধে ছিল যে, তিনি সাহস দেখাবেন। আর ক্ষমতাসীনদের আস্ফালন ছিল। সর্বোচ্চ মহলে পরিকল্পিত নীলনকশা ছিল। অবশেষে হয়তো নাটক বিয়োগান্তক পরিণতির দিকে এগোচ্ছে। দু-চার দিনে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে, ক্ষোভ-বিক্ষোভের ঘনঘটা থাকবে। একসময় দেখা যাবে ‘All quiet at the western front’।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে ঢাকা পড়েছিল সংবেদনশীল সুপ্রিম কোর্ট বনাম সরকারের যুদ্ধটি। ঘটনাটি বেশ বেকায়দায় ফেলে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকারকে। ওবায়দুল কাদেরের ভাষায় ১৫ আগস্টের ঘটনাবলির পর আওয়ামী লীগের এত বড় বিপদের সম্ভাবনা আর ঘটেনি। ঘটনার ধারাবাহিকতায় একটু নড়েচড়ে বসেছিল বিরোধী গোষ্ঠী। ম্লান হাসি উঁকি দিয়েছিল সরকারি শিবিরে। ষোড়শ সংশোধনী বিরোধী রায়কে কোনো মতেই সহ্য করতে পারছিল না তারা। বিন্দুবিসর্গ পর্যন্ত সমালোচনার ধার সইতে পারে না যারা, তাদের কাছে এটা ছিল হিমালয় সমান। প্রধান বিচারপতিকে লক্ষ্য করে প্রধান ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে আধা নেতা, পাতি নেতারা যে ভাষায় তার ব্যক্তিজীবন, পেশাগত জীবন এবং বিচারিক জীবন ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করছিলেন, তাতে যেকোনো বিবেকবান মানুষের কষ্ট পাওয়ার কথা। নাটকের যবনিকাপাতে দেখা যাচ্ছে, তারা দু’ধারী তরবারি নিয়ে অগ্রসর হচ্ছিলেন। প্রথমত প্রকাশ্যে তারা হুমকি দিয়েছিলেন ওই চেয়ারে তাকে আর বসতে দেয়া হবে না। শুধু প্রকাশ্যে হুমকি দেয়াই নয়, গুজবে প্রকাশ- সর্বোচ্চ শক্তিধরদের থেকেও নাকি অবশেষে সর্বোচ্চ ভাষায় হুমকি দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি যদি ‘Force Disappearence’ বা গুমের শিকার হতেন তাহলে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটতে পারত! খেলার ধারাবিবরণীর মতো বলতে ইচ্ছে করছে, বিপদ ঘটার সম্ভাবনা ছিল, কিন্তু বিপদ ঘটেনি। তিনি রীতিমতো সুবোধ বালকের মতো এক মাসের ছুটির দরখাস্ত করে দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের এক মাসের অবকাশ শেষ হওয়ার পর গত ৩ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা সবাইকে অবাক করে দিয়ে এক মাসের ছুটি নিয়েছেন।
দরখাস্তটি সকালে করা হলেও আলোর গতিতে তা সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে রাতে প্রজ্ঞাপনে রূপ নেয়। গভীর রাতে এই প্রজ্ঞাপন জারির বিষয়টিই প্রমাণ করে, ‘ডালমে কুছ কালা হ্যায়’। এখন আমরা হয়তো শুধুই ‘কালো আঁধারে, কালো গর্তে, কালো বিড়াল খোঁজা’র বৃথাই সাধনা করব।
পাঠকদের এ পরিণতির উৎসমূল স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলা যায়, ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অনুমোদিত হয়। এ সংশোধনীতে বিচারপতিদের অপসারণ বা অভিশংসনের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের ওপর ন্যস্ত করা হয়। এর আগে জিয়াউর রহমানের সময়কাল থেকে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল এ দায়িত্ব পালন করছিল। ক্ষমতাসীন সরকার তাদের বিগত শাসন আমলগুলোতে এটি বদলানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেনি। ২০১৪ সালে তথাকথিত নির্বাচনের পর যখন তারা আইন বিভাগ, নির্বাহী বিভাগে তাদের ষোল আনা কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন, তখন তারা তাদের একমাত্র চ্যালেঞ্জ উচ্চ আদালত নিয়ন্ত্রণে অগ্রসর হন। পরে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ৯ জন আইনজীবী রিট করেন। ২০১৬ সালের ৫ মে হাইকোর্টের তিনজন বিচারপতির সমন্বয়ে বিশেষ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে ওই সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। এ সময় সংসদে এই রায়ের বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা লক্ষ করা যায়। তখন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আশা প্রকাশ করেছিলেন, সুপ্রিম কোর্টে তারা জিতে যাবেন। তার সেই আশায় গুড়েবালি দিয়ে ১ আগস্ট ২০১৭ সুপ্রিম কোর্টের সর্বসম্মত রায়ে সরকারের আবেদন খারিজ করা হয়। শুধু খারিজই করা হয়নি, প্রধান বিচারপতি তার রায়ে গণতন্ত্র, রাজনীতি, সামরিক শাসন, নির্বাচন কমিশন, সুশাসন, দুর্নীতি এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় সরকারের হস্তক্ষেপসহ বিভিন্ন বিষয়ে পর্যবেক্ষণ দেন। বিশেষ করে বর্তমান সরকারের কার্যব্যবস্থার বিপক্ষে একটি বড় ধরনের দলিল বলে গৃহীত হয়। এতেই হয় সর্বনাশ। এতে আওয়ামী লীগ সরকারের সর্বোচ্চ মহলে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তিনটি পর্যায়ে আওয়ামী লীগের রণকৌশল ব্যাখ্যা করা যেতে পারে।
প্রথমত, রায়ের বিরুদ্ধে ‘জনমত’ গঠনের নামে প্রধান বিচারপতির তুলাধোনা করা হয়। প্রধান বিচারপতির ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কদর্য মন্তব্য করা হয়। তার বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি ও আয়করের মামলা দিয়ে হেস্তনেস্ত করার পরিকল্পনা করা হয়। আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ পর্যায়ের আস্থাভাজন এ ব্যক্তি যখন তাদের রাজনৈতিক বিরোধী বলে গণ্য হন, তখন তারা তাকে রাজাকার তথা শান্তি কমিটির নেতা বানাতেও দ্বিধা করেননি। তার ধর্ম বর্ণ সবকিছু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী নেতারা- যাতে তাকে ঘায়েল করা যায়। আজ তিনি ঘায়েল হলেনও বটে।
দ্বিতীয়ত, তারা জাতীয় সংসদে বিষয়টি উত্থাপন করে। ১৩ সেপ্টেম্বর উত্থাপিত প্রস্তাবে ‘প্রধান বিচারপতির অসাংবিধানিক, আপত্তিকর, অপ্রাসঙ্গিক পর্যবেক্ষণ বাতিলের জন্য আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তাদের আইনি পদক্ষেপের অংশ হিসেবে তারা আপিল বিভাগের রায় রিভিউ বা পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেয়। আইনমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন এতে তারা ‘কামিয়াব’ হবেন। এখন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ছুটির দরখাস্তের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের কামিয়াবির লক্ষণগুলো স্পষ্ট হয়ে উঠছে। তাদের আইনি পদক্ষেপের পরিকল্পনা সম্পর্কে রায় প্রকাশিত হওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশিত প্রতিক্রিয়ায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছিলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট যতবার বাতিল করবে আমরা ততবারই আইন পাস করব।’
পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন হয়তোবা কোনো প্যাকেজ ডিলের পরিকল্পনা নিয়ে সরকার এগোচ্ছে। পরবর্তী পর্যায়ে বাতিল ষোড়শ সংশোধনীর আদলে আরেকটি আইন তৈরি করে সুপ্রিম কোর্টকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে। পরবর্তীকালে সাহসী মানুষটি না থাকলে সুপ্রিম কোর্টের রায় অন্যরকম হতে পারে। অবশ্য ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিয়া ইতোমধ্যেই বিচার বিভাগের সম্মান ও মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখার আবেদন জানিয়েছেন। তবে পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত সহসাই আসতে পারে না। ক্ষমতাসীন সরকারের তৃতীয় গোপন পরিকল্পনা সম্পর্কে পর্যবেক্ষকেরা শক্তি প্রয়োগের পাশাপাশি সমঝোতা কৌশল, লোভ লালসা দেখানো এবং ‘ছলে বলে কলে কৌশলে’ কাজ আদায়ের কথা বলেন। সম্ভবত তারই ফলে প্রধান বিচারপতি সিনহা এক মাসের ছুটিতে গেলেন।
লক্ষ করার বিষয় সিনহা গত এক মাস বিদেশে কাটিয়েছেন, পরবর্তী এক মাস যদি তিনি ছুটিতে থাকেন তাহলে তার কার্যকাল আরো ঘনিয়ে আসবে। উল্লেখ্য, বিচারপতি সিনহার চাকরির মেয়াদ ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। সুপ্রিম কোর্টের দিনপঞ্জি অনুসারে সরকারি ছুটিসহ ১৬ ডিসেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টের অবকাশ শুরু হলে তা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রলম্বিত হবে। পরবর্তী ১ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়কালটিতে তিনি স্বাভাবিক নিয়মের ধারাবাহিকতায় ছুটি বর্ধিত করতে পারবেন। সুতরাং তার আর বিচার আসনে বসার সময় থাকবে না। যারা ঘটনাবলি সম্পর্কে খোঁজখবর রাখেন তারা বলাবলি করছেন সম্ভবত এরকম একটি সমঝোতাই হয়ে থাকবে। ইতোমধ্যে আইনমন্ত্রীর সৌজন্যে আমরা জানতে পেরেছি যে, জনাব সিনহার ক্যান্সার হয়েছে। এ দুঃসংবাদটি ইতঃপূর্বে শোনা যায়নি। এখন বিদেশে চিকিৎসার জন্য যদি তিনি দেশ ত্যাগ করেন তাহলে তাকে নিশ্চয়ই ষড়যন্ত্র বলা যাবে না।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ছুটি নিয়ে ইতোমধ্যেই আইন অঙ্গনে সরব এবং অন্যত্র নীরব প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে। সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতি এবং দেশের শীর্ষ স্থানীয় আইনজীবীরা এ বিষয়ে তাদের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন। এ নিয়ে দফায় দফায় আলোচনা ও বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয়। তার সাথে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি দেখা করতে গেলে তিনি অসুস্থতার অজুহাতে দেখা করেননি। তারা বলছেন জনাব সিনহাকে গৃহবন্দী করা হয়েছে। কিন্তু অ্যাটর্নি জেনারেল এ ধারণা নাকচ করে দিয়েছেন।
তবে সংবাদমাধ্যমগুলো বলেছে, তার বাসভবনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আইনজীবীরা অভিযোগ করছেন, প্রচণ্ড চাপ প্রয়োগ করে প্রধান বিচারপতিকে ছুটিতে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। তারা বলছেন, এ দেশের মানুষের সর্বোচ্চ আশা-ভরসার স্থল হচ্ছে এই সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে না পারেন, এখানেও যদি সরকারের হস্তক্ষেপ হয় তাহলে সেটা জাতির জন্য দুঃখজনক। এভাবে একটি রাষ্ট্র চলতে পারে না। সেখানে গণতন্ত্র থাকতে পারে না। আইনমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেছেন, ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের সাথে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ছুটির কোনো সম্পর্ক নেই। ছুটিতে যাওয়ার সাথে যারা বিষয়টি এক করে দেখছেন তাদের বক্তব্য দুরভিসন্ধিমূলক।
ষোড়শ সংশোধনী বাতিল-পরবর্তী ঘটনাবলি এবং বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ছুটিতে যাওয়ার বিষয়টাকে সচেতন নাগরিক সাধারণ স্বাভাবিক দৃষ্টিতে দেখছেন না। নির্বাহী বিভাগ এবং বিচার বিভাগের দ্বন্দ্বে নাগরিকসাধারণ যখন জনাব সিনহার ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করছিলেন এবং বিচার বিভাগের মর্যাদা পুনরুদ্ধারের স্বপ্ন দেখছিলেন, তখন এ ঘটনা নিঃসন্দেহে জনগণকে হতাশ করবে। এখন আশা-ভরসার স্থল দু’টিÑ বিচারকেরা এবং আইনজীবী সম্প্রদায়। আশার কথা এই, ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের বা খারিজ করার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সর্বসম্মত রায় ছিল। ভারপ্রাপ্ত বিচারপতির ন্যায় ও নিরপেক্ষতা সম্পর্কে সুনাম আছে। সরকার এখনও আইনটি রিভিউ করার দরখাস্ত করেনি। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন সময় লাগবে। তার মানে সময়ক্ষেপণ করে অন্য কৌশলে তারা কামিয়াব হতে চান। হতে পারে বিকল্প আইন- যা আগেই বলা হয়েছে।
আরেকটি কৌশল হতে পারে- জনাব সিনহার মেয়াদকাল পূর্ণ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করা। তখন তারা নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করে ষোড়শ সংশোধনী জায়েজ করে নিতে পারবে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের অনেক বিচারপতিকে অতিক্রম করে বিশ্বস্ত কেউ নিয়োগ পেতে পারেন। তবে চলমান বিতর্কের কারণে বিষয়টি অত সহজ হবে না। এখন নির্বাচনের যে ডামাডোল শোনা যাচ্ছে সেটাই হতে পারে জনসাধারণের জন্য শেষ সুযোগ। তারা যদি বর্তমান সরকারের ‘নির্বাচন প্রকৌশল’ ব্যর্থ করে দিতে পারেন তাহলেই সুচিত হতে পারে আঁধার রাত অবশেষে আলোর রেখা। আরেকটি ভরসাস্থল আইনজীবী গোষ্ঠী। দুঃখজনক যে, আমাদের আইনজীবী সম্প্রদায় দ্বিধাবিভক্ত। জাতির আর সব সিভিল সোসাইটির মতো দলপ্রীতির নিগড়ে আবদ্ধ তারা। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ এ উপমহাদেশের আইনজীবীরা জাতীয় স্বার্থে যে অভিন্ন ভূমিকা পালন করেছেন তা আমাদের জন্য অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মনীষী মন্টেস্কু ক্ষমতার বিভাজন সম্পর্কে একটি পরিপূর্ণ তত্ত্ব দেন। তাতে তিনি রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ- আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগের ক্ষমতার সীমা-পরিসীমা নির্দেশ করেন। তিনি বিচার বিভাগের স্বকীয়তা, স্বাতন্ত্র্য ও মর্যাদাকে সুশাসন নির্ণয়ের মাপকাঠি বলে নির্ধারণ করেন। ক্ষমতার বিভাজনবাদীরা শক্তভাবে বলছেন, যেখানে বিচার বিভাগ যতটা স্বাতন্ত্র্যের মালিক সেই শাসনব্যবস্থা ততটাই উত্তম। আমাদের শাসক এলিটরা এ কথা মনে রাখলে সবারই মঙ্গল।
লেখক : প্রফেসর, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
সূত্র: নয়াদিগন্ত
Discussion about this post