মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ও উগ্রবাদীদের কর্তৃক রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর গণহত্যা ও নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
এক যৌথ বিবৃতিতে শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত ও সেক্রেটারি জেনারেল মোবারক হোসাইন বলেন, পুলিশের উপর কথিত হামলার অভিযোগে মায়ানমারে সেনাবাহিনী ও উগ্রবাদীরা নিরীহ রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর গণহত্যা ও নির্যাতন শুরু করেছে। গত বছরও তারা রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর বর্বর গণহত্যা চালিয়েছিল। ন্যূনতম সভ্য ও মানবিকবোধ থাকলে করো পক্ষে এভাবে নিরীহ জনগণকে হত্যা করা সম্ভব নয়। ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনী ও উগ্রবাদীরা শতাধিক মানুষকে হত্যা করেছে। বিশেষত দেশটির সেনাবাহিনী রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর এমন কোনো অপরাধ নেই, যা তারা সংঘটিত করেনি। তারা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে। শিশুদের হত্যা করেছে। নারীদেরকে ধর্ষণ করেছে। বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। ঘরের ভেতর মানুষ তালাবদ্ধ করে তাতে আগুন দিয়েছে। আহত হয়েছে অসংখ্য মুসলমান। যাদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে। এটি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞ ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। গত তিন দশক ধরে রোহিঙ্গাদের উপর নিপীড়ন চালাচ্ছে মায়ানমার সরকার। রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে লাখো রোহিঙ্গা। শান্তিতে নোবেল পাওয়া ব্যক্তি রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তার দেশে এমন পরিকল্পিত হত্যা নির্যাতনে বিশ্ববাসী স্তম্ভিত ও ক্ষুব্ধ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ইতিমধ্যেই এই নির্মম নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞের বিভিন্ন চিত্র আন্তর্জাতিক গনমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সারা বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। অথচ এখন পর্যন্ত জাতিসংঘ এই হত্যা বন্ধ ও তাদের অধিকার রক্ষায় কার্যকর কোন ভূমিকা রাখছে না। একই সাথে ওআইসি’ও এগিয়ে আসছে না। যা হত্যা-নির্যাতনকে নীরব সমর্থনের শামিল। এ অবস্থায় মুসলিম বিশ্ব নীরব থাকতে পারেনা।
শিবির সভাপতি ও সেক্রেটারি আরো বলেন, অবিলম্বে মায়ানমারে মুসলিমদের উপর গণহত্যা নির্যাতন বন্ধ করে তাদের নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে মায়ানমার সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। একই সাথে জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংস্থা ও বিশ্ববাসীকে এই বর্বরতার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানাচ্ছি। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারকে পাশ্ববর্তী দেশের উপর চাপ প্রয়োগ করে মজলুম মুসলমানের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার আহবান জানাচ্ছি। বিশ্ব নেতৃবৃন্দের উচিৎ যত দ্রুত সম্ভব মায়ানমারের মুসলিমদের রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
বিজ্ঞপ্তি
Discussion about this post