নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় গ্রেপ্তার হওয়া যুবদলের এক নেতা পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে উপজেলার আমনুল্লাপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণরামপুর এলাকায় কথিত এই বন্দুকযুদ্ধ হয়।
পুলিশের ভাষ্য, ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, একটি পিস্তল ও বেশ কয়েকটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির নাম মো. আলম (৩২)। বাবার নাম আবুল কাসেম। বাড়ি আমনুল্লাপুরের পার্শ্ববর্তী আলাইয়াপুর ইউনিয়নের ভীপপুর গ্রামে।
আলাইয়াপুর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূর হোসেন মানিক প্রথম আলোকে বলেন, নিহত আলম ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। পুলিশ পরিচয়ে তাঁকে উঠিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজেদুর রহমান বলেন, আলমের বিরুদ্ধে ডাকাতি, অস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্যসহ বিভিন্ন আইনে ১০টি মামলা আছে। গত মঙ্গলবার ভোরে তাঁকে তাঁর গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে নিয়ে গতকাল রাতে অভিযানে যায় পুলিশ। আগে থেকে ওত পেতে থাকা আলমের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। দুই পক্ষের বন্দুকযুদ্ধের মধ্যে সহযোগীদের গুলিতে আলম ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
পুলিশ পরিচয়ে আলমকে উঠিয়ে নেওয়া হয়েছিল বলে তাঁর পরিবার সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছিল। তারা থানায়ও যোগাযোগ করেছিল। তখন অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ।
সূত্র: প্রথম আলো
Discussion about this post