জাতীয় সংসদে পরপর দুই দিন সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্যদের তোপের মুখে পড়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তবে সংসদে আজ বুধবার অর্থমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন সরকারি দলের জ্যেষ্ঠ সাংসদ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
অর্থমন্ত্রী সম্পর্কে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, সম্মানিত মানুষকে সম্মান দিতে হয়। অর্থমন্ত্রীর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আস্থা আছে। তিনি আরও বাজেট দেবেন।
জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে আজ তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন।
গতকাল মঙ্গলবার সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলুর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আজ তোফায়েল বলেন, বাবলু যে ভাষায় অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করেছেন, তাঁর কাছ থেকে এটা আশা করেননি তিনি।
তোফায়েল বলেন, অর্থমন্ত্রীর বয়স নিয়ে কথা বলেছেন বাবলু।
বাবলুকে উদ্দেশ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের নেতা এইচ এম এরশাদের বয়সের কথা চিন্তা করেন না? তাঁর বয়স অর্থমন্ত্রীর বয়সের চেয়ে পাঁচ বছর বেশি। তিনি একবার আপনাকে মহাসচিব বানান আবার হাওলাদারকে বানান।’
তোফায়েল বলেন, ‘বাবলু কীভাবে ভুলে গেলেন তাঁর মামাশ্বশুর, তাঁর নেতার (এরশাদ) বয়স ৮৬ বছরের বেশি। বাবলু যদি বলতেন, এরশাদের অনেক বয়স হয়েছে, পদত্যাগ করেন, তাহলে ভালো হতো।’
বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে ১৫ জুন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করেছিলেন। গত সোমবার অর্থমন্ত্রীর কঠোর সমালোচনা করেন সরকারি দলের সাংসদ শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবুল কালাম আজাদ ও মাহবুব উল আলম হানিফ।
কোনো মন্ত্রীর নাম উল্লেখ না করে তোফায়েল বলেন, ‘এ বাজেট সংসদে পেশ করার আগে মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছিল। আমার কোনো কথা থাকলে সেটাই (মন্ত্রিসভা) ছিল প্রপার প্লেস। বাজেট পেশের পর সংসদ সদস্যরা বলতে পারেন।’
তোফায়েল বলেন, এটা প্রস্তাবিত বাজেট। চূড়ান্ত নয়। সবার আলোচনা গুরুত্ব দেওয়া হবে। ২৮ জুন প্রধানমন্ত্রী বাজেট নিয়ে সমাপনী ভাষণ দেবেন। সেখানে অর্থমন্ত্রীর জন্য পরামর্শ থাকবে। তাঁর বিশ্বাস, বাজেট এমনভাবে পাস হবে যে মানুষ শুধু প্রশংসা করবে না, বলবে, এটা দেশের ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ বাজেট।
এর আগে সরকারি দলের আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অর্থমন্ত্রী বয়সে প্রবীণ হলেও তাঁর মধ্যে বয়সের ছাপ নেই। তিনি নয়টি বাজেট দিয়েছেন। প্রতিটি বাজেটে অনেক সাফল্য এসেছে।
সূত্র: প্রথম আলো
Discussion about this post