বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার দেশের অর্থনীতিকে রসাতলে নিয়ে গেছে। ব্যাংকিং ব্যবস্থা একেবারে শেষ হয়ে গেছে।
সোমবার রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর উত্তরের কর্মীসভায় তিনি একথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে যে (ব্যাংক) আইনের খসড়া অনুমোদন করেছে, তাতে এখন পরিচালকরা যারা দুই মেয়াদ রয়েছেন, তারা আরও এক মেয়াদ থাকতে পারবেন। কেবল তাই নয়, এই আইন পাস হলে একই পরিবারের চারজন পরিচালক থাকতে পারবেন।
‘অর্থাৎ তারাই যখন সব ব্যাংক দখল করে নিয়েছে, এখন তাদের পরিবারের চারজন করে পরিচালক থাকবেন। এই ব্যাংকিং ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে গোটা অর্থনীতিকে তারা লুট করে ছেড়ে দেবেন’ যোগ করেন তিনি।
এসময় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি অত্যন্ত জরুরি কথা বলেছেন, সত্য কথা বলেছেন। যে কথাগুলো আমরা বার বার বলে আসছি- এদেশের বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন নয়। এর ওপরে প্রশাসন চাপ নিয়ে বসে আছে, সরকার নিয়ন্ত্রণ করছে। আমরা তো ভুক্তভোগী। নিচে (নিম্ন আদালত) হাকিমকে হুকুম দিলে জামিন হয়, না হলে জামিন হয় না।’
তিনি বলেন, দীর্ঘ ছয় বছর ধরে প্রধান বিচারপতি বিধিমালা চাচ্ছেন বিচারকদের, সেই বিধিমালা এখন পর্যন্ত দেয়া হয়নি। সোমবারও সময় নিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
দশম জাতীয় সংসদের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, নামমাত্র এই সংসদে গৃহপালিত বিরোধী দল রয়েছে। এখানে কোনো জবাবদিহিতা নেই। দেশে পুরোপুরিভাবে একনায়কতন্ত্র চলছে, ফ্যাসিবাদ চলছে।
একাদশ জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচন হতে হবে। অন্য কোনো নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না।
ঢাকা মহানগর উত্তরের নবনির্বাচিত সভাপতি এম কাইয়ুমকে সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ইতালীয় নাগরিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়ানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।
মহানগর উত্তরের সহসভাপতি মুন্সি বজলুল বাছিদ আনজুর সভাপতিত্বে কর্মীসভায় বক্তব্য রাখেন- দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান, সহসভাপতি সাহাব উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তার হোসেন, যুবদলের সাইফুল আলম নীরব, এসএম জাহাঙ্গীর, স্বেচ্ছাসেবক দলের ইয়াসীন আলী, মহিলা দলের পেয়ারা মোস্তফা, ছাত্রদলের সাজ্জাদ হোসেন রুবেল প্রমুখ।
সূত্র: যুগান্তর
Discussion about this post