২০ দলীয় জোটের শরীক দল জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান বলেছেন, দেশ আমার-মাটি আমার। বাংলাদেশের মাটি ও দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে দিল্লীর স্বার্থে অন্য দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা চলবে না। কথাবার্তা পরিষ্কার। সামরিক চুক্তির নামে হিন্দুস্থানের গোলামী দেশবাসী মানবে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যাতে মাথা উঁচু করে না দাঁড়ায় এজন্য দেশকে নেতা ও সেনা শূন্য করার চক্রান্ত চলছে। আর এজন্যেই ১/১১’র ষড়যন্ত্র। ৫ জানুয়ারি সুজাতা সিং মার্কা নির্বাচন। নেতা শূন্য করতে জেল-জুলুম, গুম-খুন ও দেশপ্রেমিক নেতাদের ফাঁসিতে ঝোলানো হচ্ছে। পিলখানায় সেনা হত্যাযজ্ঞের ধারাবাহিকতায় এখন সামরিক চুক্তির বাহানায় দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে পঙ্গু করার খেলা শুরু হয়েছে। লাখো শহীদের বাংলাদেশ রক্ষায় এই চক্রান্ত রুখতেই হবে।
তিনি বলেন, শুধু তিস্তা চুক্তিতে পানির সমস্যা সমাধান হবে না। ফারাক্কাসহ উজানের সকল নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা চাই। সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে। ৭১’র পর আমার দেশের লুন্ঠিত সমরাস্ত্র ও সম্পদ ফেরত দিতে হবে। ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র ও গণহত্যার দায় স্বীকার করে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
জনাব প্রধান বলেন, দেশ হিসেবে আমরা ছোট হতে পারি কিন্তু জাতি হিসেবে আমরা ছোট নই। মুসলিম অধ্যুষিত ভাটি বাংলার মানুষ মোঘল মানে নাই, ব্রিটিশ মানে নাই, পাকিস্তান মানে নাই। জাতীয় বীর ঈশা খাঁ, ফকির মজনু শাহ, মওলানা ভাসানী শেষ দিন পর্যন্ত লড়েছেন। কিন্তু দাসত্ব মেনে নেন নাই। ৭৫’র ৭ নভেম্বর শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে এই অঞ্চলের স্বাধীন চেতা মানুষ দিল্লীর গোলামির শেকল ভেঙে ফেলে। সুতরাং হুশিয়ার হয়ে যাও। জীবন থাকতে এই বীরের জাতি কারও শাসন মেনে নেবে না।
সামরিক চুক্তি গোলামীর চুক্তি- রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ। এই আওয়াজ তুলে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জাগপার ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান। উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, সহ সভাপতি মাস্টার এম.এ মান্নান, যুগ্ম সম্পাদক আসাদুর রহমান খান, কেন্দ্রীয় নেতা রোকনউদ্দিন হাজারী, প্রিন্সিপাল হুমায়ুন কবির, গোলাম মোস্তফা কামাল, বেলায়েত হোসেন মোড়ল, যুব জাগপার সভাপতি ফায়জুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদউদ্দিন, জাগপা ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুল আলম, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রুবেলসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।
Discussion about this post