অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক:
বাংলাদেশে যে আইনের শাসন নাই এটা নতুন কিছু না। ২০০৯ সালে ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিনের সহযোগিতায় শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেই প্রথম আঘাতটা করেছিল আইনের শাসনের উপর। পিলখানার নির্মম হত্যাকান্ডের বিচারের মাধ্যমে দেশে আইনের শাসনের দাফন সম্পন্ন করেছিল শেখ হাসিনা। এরপর থেকে বিগত ১৬ বছর ধরে দেশ চলছে শেখ হাসিনার আইনে।
শেখ হাসিনা যেভাবে চাচ্ছে দেশের সকল আদালত সেভাবেই বিচার করছে। আর হাসিনার পালিত আওয়ামী পুলিশ ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী, জঙ্গি, খুনি, ধর্ষক, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, দখলদারদেরকে গ্রেফতার না করে বিএনপি জামায়াতের নিরপরাধ নেতাকর্মীদেরকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে তাদের উপর অমানবিক নির্যাতন করে আসছে।
আর সরকারের মন্ত্রী এমপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং তাদের সন্তানরা অপরাধ করলে যে বিচার হয় না এটা বগুড়ার ঘটনার মাধ্যমেই প্রমাণ হয়েছে।
বগুড়ায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি করতে গিয়ে একেবারে হাতেনাতে ধরা পড়েছে বগুড়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মজিবর রহমান মজনুর মেয়ে উম্মে হামিদা। শুক্রবার পরীক্ষা চলাকালে এক কেন্দ্র থেকে হামিদাকে আটক করা হলওে পরে তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দেয় পুলিশ। শনবিার এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে পুলিশ ও জেলা প্রশাসন।
জানা গেছে, উম্মে হমিদার মায়ের নাম শীল্পী বেগম। তিনি আগের ঘরের মেয়ে হামিদাকে নিয়ে এমপি মজিবরের সঙ্গে থাকেন। হাতেনাতে আটকের পরও হামিদাকে ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় জেলা জুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বগুড়ায় জালিয়াতি করে মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করার অপরাধে ১৯ জনকে আটক করেন কেন্দ্র পরীক্ষক ও পরিদর্শক।
জানা যায়, শুক্রবার সকাল ১০টায় নিয়োগ পরীক্ষা শুরুর পর সরকারি পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউট কেন্দ্রে উম্মে হামিদাসহ চারজন আটক হন। হামিদা ১১০৭ নম্বর কক্ষে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। কেন্দ্রের বাইরে বাইরে হামিদার মা শীল্পী বেগমও ছিলেন। হামিদাকে আটক করলে মা শীল্পী বেগম ডিবি কার্যালয়ে যান। পরে রাত ১০টার পর হামিদাকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে আবারও কেন্দ্রে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ পুলিশ। সেখান থেকে তাকে বাড়ি পৌছে দেয়া হয়।
এঘটনা প্রমাণ করে আইন শুধু সাধারণ মানুষের জন্য। সরকারের লোকজন বা তাদের আত্মীয়রা অপরাধ করলেও সেটাকে অপরাধ বলা যাবে না। যে অপরাধে ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেই অপরাধে আটকের পর এমপির মেয়েকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এটাকে আইনের শাসন বলে না, এটাকে বলে হাসিনার শাসন। হাসিনার শাসনে হাসিনার পালিত অপরাধীরা ছাড়া পাবে এটাই স্বাভাবিক।
Discussion about this post