বিগত ১৫ বছর ধরে শেখ হাসিনার অবৈধ শাসনকে যারা বৈধ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের একতরফা ও ভোট ডাকাতির নির্বাচনের পক্ষে বয়ান দিচ্ছেন, বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের পক্ষে কথা না বলে হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন সেইসব সাংবাদিকদেরকেও ভিসানীতির আওতায় এনেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন গণমাধ্যমও ভিসানীতির মধ্যে আসবে। যদিও তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি, তবে জানা গেছে খুব শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্র এটা ঘোষণা করবে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এই ঘোষণার পরই দেশের গণমাধ্যম পাড়ায় তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে। বিগত দিনগুলোতে যারা সাংবাদিকতার সব নীতিমালা বিসর্জন দিয়ে হাসিনার গোলামী করে আসছে তাদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। অপরদিকে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এই ঘোষণাকে অনেক সাংবাদিকই স্বাগত জানিয়ে সামাািজক মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন।
কেউ কেউ ফেসবুকে পরিচিত কিছু সাংবাদিকের নামও প্রকাশ করছেন। যদিও মার্কিন রাষ্ট্রদূত কোনো সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের নাম উচ্চারণ করেননি। কিন্তু মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার রক্ষা ও হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরোধী সাংবাদিকরা মনে করছেন, সাংবাদিকদের নাম প্রকাশ হওয়া দরকার।
বিগত ১৫ বছর ধরে যারা শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের পক্ষে সাফাই গাইছেন তাদের মধ্যে রয়েছে, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি শ্যামল দত্ত, সেক্রেটারি ফরিদা ইয়াসমিন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপ আজাদ, ইকবাল সোবহান চৌধুরী, মোল্লা জালাল, ওমর ফারুক চৌধুরী, নঈম নিজাম, এমদাদুল হক মিলন, ডেইলি সানের সাবেক সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী, সানের বর্তমান সম্পাদক রেজাউল করিম লোটাস, খবরের কাগজের সম্পাদক মোস্তফা কামাল।
যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, ডেইলি অবজারভারের চীফ রিপোর্টার মহসিনুল করিম লেবু, প্রতিদিনের বাংলাদেশের সম্পাদক মোস্তাফিজ সফি, চিফ রিপোর্টার আজিজুল পারভেজ, দৈনিক সময়ের আলোর সম্পাদক কমলেশ রায়, ইত্তেফাক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ইত্তেফাকের সাংবাদিক ফরাজি আজমল ও আবুল খায়ের, নাঈমুল ইসলাম খান, আমাদের সময়ের মাসুদা ভাট্টি, দীপক চৌধুরী, দেশরুপান্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, চিফ রিপোর্টার উম্মুল ওয়ারা সুইটি।
]একাত্তর টিভির মোজাম্মেল বাবু, মিথিলা ফারজানা, ফারজানা রুপা ও মাহবুব হাসান, মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, জ ই মামুন, মুন্নি সাহা, দৈনিক ঢাকাটাইমস সম্পাদক আরিফুর রহমান দুলন, নিজামূল হক বিপুল, আজকের পত্রিকার সম্পাদক গোলাম রহমান, ডিবিসির মঞ্জুরুল ইসলাম ও জায়েদুল ইসলাম খান, ইশতিয়াক রেজা, ঢাকা পোস্টের সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার, বার্তা২৪ডটকম এর সম্পাদক আলমগীর হোসেন, বাংলানিউজ সম্পাদক জুয়েল মাজহার, বাংলাট্রিবিউন সম্পাদক জুলফিকার রাসেল ও প্রকাশ কাজী আনিস আহমেদ, ঢাকাট্রিবিউন সম্পাদক জাফর সোবহান, আজকারের খবরের গোলাম মোস্তফা ও ফারুক আহমদ তালুকদার, কালবেলার প্রধান সম্পাদক আবেদ খান ও সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, জনকণ্টের সম্পাদক শামীমা এ খান ও বাংলাদেশ পোস্টের সম্পাদক শরীফ সাহাবুদ্দিন পোস্টের সাংবাদিক নুরুল ইসলাম হাসিব এবং ক্রাব নেতা মিজান মালেক।
সিনিয়র সাংবাদিকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির আওতায় এসব সাংবাদিকদের নাম থাকতে পারে। কারণ, তারা নির্লজ্জভাবে বিগত ১৫ বছর ধরে সরকারের মানবাধিকার লংঘনকে সমর্থন করছে ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে সরকারকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
Discussion about this post