অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
সিরাজগঞ্জ শহরে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে সশস্ত্র হামলার ঘটনায় যে চারজনের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা গেছে, তাঁদের চারজনের মধ্যে অন্তত দুজন যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। যদিও ঘটনার দুইদিন পরেও সিসিটিভির ফুটেজ দেখেও গ্রেফতার করতে পারিনি পুলিশ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, লাল-কালো গেঞ্জি পরা যে যুবক আগ্নেয়াস্ত্র হাতে গুলি ছুড়েছেন, তাঁর বাড়ি পৌর শহরের দত্তবাড়ি মহল্লায়। তাঁর নাম বায়েজিদ আহম্মেদ। আর আগ্নেয়াস্ত্র হাতে কালো গেঞ্জি পরিহিত যে যুবককে দেখা গেছে, তিনি পৌর শহরের কালগয়লা মহল্লার সুমন হোসেন। তাঁরা যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
আগ্নেয়াস্ত্র হাতে সংঘর্ষে অংশ নেওয়া অন্য দুজনকে এখনো কেউ চিহ্নিত করতে পারেননি।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বলেন, ‘ওরা যুবলীগের হয়ে আমাদের কর্মীদের ওপর আক্রমণ করেছে, সেটি সবাই জানে। কাজেই আমরা ধরে নেব এরা যুবলীগের কর্মী। এমন প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র দেখে শহরবাসী উদ্বিগ্ন, স্তম্ভিত।’ তিনি বলেন, হামলার ঘটনায় দলের পক্ষ থেকে তাঁরা মামলা করবেন। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম বলেন, ‘আমরা মিডিয়ায় প্রচারিত ভিডিও ও ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। যদি কেউ অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার করে থাকেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে তা শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবারের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সদর থানায় তিনটি মামলা করেছে। এ ছাড়া স্থানীয় এক ব্যবসায়ী একটি মামলা করেন। ভিডিও ফুটেজ দেখে তাঁরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন।
এদিকে ঘটনার দুদিনও তা সক্ষম হয়নি কেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। তারা বলছেন, এ সেই ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে আওয়ামী লীগ তার নেতাকর্মীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে শুধু বিরোধী দল না সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর লেলিয়ে দিয়েছে। নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের প্রকাশ্যে অস্ত্রর ভিডিও ছবি সবার সমানে নাম প্রকাশ বের হলেও তাদের এখনও পর্যন্ত কোন বিচারের আওয়াতায় আনা হয়নি। এ ঘটনায়ও তার ব্যতিক্রম হবেনা। ক্ষমতাসীনরা এখন ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সাধারণ মানুষের জনস্রোতকে বন্ধ করতে চায়। কিন্তু সাধারণ মানুষ এখন এসব গুলির ভয় পায়না। তার প্রমান সিরাজগঞ্জসহ সারাদেশে বিএনপির সমাবেশে মানুষের অংশ গ্রহণ।
Discussion about this post