অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
শেখ হাসিনার স্বাস্থ্য খাত যে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে সেটা আর নতুন করে বলার কিছু নাই। গত বছরই প্রাণঘাতি করোনা দেখিয়ে দিয়েছে শেখ হাসিনার উপর দিয়ে ফিটফাট স্বাস্থ্যখাতের ভেতরটা যে পুরোটাই সদরঘাট। এখানে মন্ত্রী, সচিব ও মহাপরিচালক থেকে শুরু করে পিয়ন পর্যন্ত সবাই দুর্নীতির সাথে জড়িত। এক কথায় বললে-সবাই মিলে লুটেপুটে স্বাস্থ্যখাতটাকে একেবারে ফুতুর করে দিয়েছে। আর তাদের এসব দুর্নীতি-লুটপাটের তথ্য যখন গণমাধ্যমে বেরিয়ে আসছে তখনই হিংস্র জানোয়ারের মতো হয়ে উঠেছে দুর্নীতিবাজরা।
বেশ কিছুদিন ধরেই স্বাস্থ্যখাতের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে অনুসন্ধানী রিপোর্ট করে আসছে প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার রোজিনা ইসলাম। করোনার টিকা গোপন চুক্তি, মালামাল কেনায় ব্যাপক অনিয়ম ও ১৮০০ লোক নিয়োগে শত কোটি টাকা ঘুষ বাণিজ্যে নিয়ে ধারাবাহিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রথম আলো। এসব চাঞ্চল্যকর রিপোর্টের পর পুরো স্বাস্থ্যখাতে বড় ধরণের কম্পন সৃষ্টি হয়ে গেছে। রোজিনা ইসলামের প্রতিবেদনগুলো স্বাস্থ্যখাতকে এমনভাবেই ঝাকি দিয়েছে যে, মন্ত্রী থেকে শুরু করে পিয়ন পর্যন্ত চেয়ার থেকে মাটিতে পড়ে গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব প্রতিবেদন প্রকাশের পরই নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্যমন্ত্রণায়। তবে তাদের এই নড়াচঢ়া দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে নয়। অপকর্ম ঢাকতেই তারা সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করে। এমনকি এই পরিকল্পনার সাথে খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক জড়িত। এমনকি তার নির্দেশেই এসব করা হয়েছে।
জানা গেছে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক গত বছর থেকেই প্রথম আলো ও সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের উপর ক্ষিপ্ত। রোজিনা ইসলামকে ফাঁদে ফেলার জন্য তিনি বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে আসছিলেন। রোজিনা ইসলামের প্রতিবেদনগুলো ছিল তথ্যভিত্তিক। তার বিরুদ্ধে মামলা করারও কোনো সুযোগ পাচ্ছে না স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তাকে একটা ফাঁদে ফেলে আটকানোর চেষ্টা করে আসছিল। আর সেই পরিকল্পনাই বাস্তবায়ন করেছে গত সোমবার।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য সচিবের লোকজনই রোজিনার ব্যাগে কাগজপত্র দিয়েছিল। তারাই রোজিনার মোবাইল নিয়ে ছবি তুলেছিল। পরে তারা সবাই মিলে তাকে ধরে বলছে যে তিনি এসব চুরি করেছেন। সেদিন যা ঘটেছে সবই ছিল পূর্বপরিকল্পিত।
Discussion about this post