অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অপদস্ত করতে গিয়ে শেখ হাসিনা প্রতিদিন জঘন্য মিথ্যাচারের আশ্রয় নিচ্ছেন। আর মিথ্যাচারের আশ্রয় নিতে মামুনুল হকের স্ত্রীকে হুমকি ধমকি দিয়ে বাধ্য করা হচ্ছে। জান্নাত আরা ঝর্ণা মামুনুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও তাকে দিয়ে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করানো হয়েছে।
অথচ, মামুনুল হক কসম করে বলেছেন-জান্নাত আরা ঝর্ণা তার দ্বিতীয় স্ত্রী। এরপরও সরকার তাকে বাধ্য করেছে বিয়ের বিষয়টিকে অস্বীকার করে মামুনুলের বিরুদ্ধে মামলা করতে।
মামুনুল হককে ফাঁসাতে গিয়ে ক্ষমতাসীন সরকার প্রতিদিন মিথ্যার আশ্রয় নিতে হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে শুরু করে গণমাধ্যম গুলো মিথ্যাচার করছে। আর এসব মিথ্যাচার করতে গিয়ে শেখ হাসিনা নিজেই এখন জনগণের হাসির খোরাকে পরিণত হয়েছেন।
দেখা গেছে, শুধু গণমাধ্যম নয় বিভিন্ন ভুয়া পোর্টাল করে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে সরকারি মহল।
এদিকে যখন সারাদেশ বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি আনভীর সোবহানের হত্যাকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় করছে ঠিক তখন মামুনুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে জনগণের মুখ ফেরাতে চাইছে।
গত শুক্রবার নারায়ণগঞ্চের সোনারগাও থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণাকে ধর্ষণের মামলা করতে বাধ্য করেছে সরকার। মামলার পর তিনি গণমাধ্যমের কাছে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ করেছেন। যার সব গুলোই বানোয়াট।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারের চাপে পড়েই জান্নাত আরা ঝর্ণা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করতে বাধ্য হয়েছেন। সোনারগাও রিসোর্ট কাণ্ডের পর থেকেই জান্নাত আরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে ছিল। এর মধ্যে গত সপ্তাহে জান্নাত আরার বাবাবে ফরিদপুর থেকে ঢাকায় নিয়ে এসেছে পুলিশ। বাবা-মেয়েকে এক সাথে করে ফরমায়েশি বক্তব্য দিতে বাধ্য করেছে পুলিশ। পুলিশ যেভাবে বলতে বলেছে-জান্নাত আরা সেভাবেই গণমাধ্যমের কাছে কথা বলেছেন।
এদিকে মিথ্যার আশ্রয় নিতে গিয়েও ধরা খেয়ে গেছে পুলিশ বাহিনী। মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা মামলার আরজিটা লেখা ছিল পুলিশের হাতে। জান্নাত আরা সেটা দেখারও সুযোগ পায়নি। আরজিতে জান্নাত আরার বয়স দেখানো হয়েছে ২৭ বছর। আর তার বড় ছেলে আব্দুর রহমানের বয়স দেখানো হয়েছে ১৭ বছর। এই বয়স অনুযায়ী ১০ বছর বয়সে জান্নাত আরার বড় ছেলের জন্ম হয়েছে। আর তার সাবেক স্বামী শহীদুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয়েছিল ৯ বছর বয়সে।
তাই সচেতন মহল বলছেন, উপর মহলের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নাটক সাজাতে গিয়ে ফেঁসে গেছেন। বয়সসহ গণমাধ্যমে তার কথা বলার ধরণ সব কিছুই ছিলো নাটকীয়। এমনকি মামলাটি জান্নাত আরা নিজে করেননি। তিনি মামলার কাগজও দেখেননি। যদি তিনি নিজে করতেন তাহলে বয়সের বিষয়টি নিয়ে অবশ্যেই প্রশ্ন তুলতেন। বয়স ২৭ হতো না।
Discussion about this post