করোনাভাইরাসের যুক্তরাজ্যের নতুন যে ধরণটি তা জানুয়ারি মাসেই বাংলাদেশে পাওয়া গেছে। কিন্তু জানুয়ারিতে পাওয়া গেলেও, সে তথ্য জানা যাচ্ছে এখন।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরিন বিবিসিকে বলেছেন, জানুয়ারির শুরুতেই যুক্তরাজ্য ফেরত যাত্রীদের মধ্য থেকে প্রথম এই ধরণ শনাক্ত হয়।
প্রথম যে যাত্রীর শরীরে এই নতুন ধরণ শনাক্ত হয়, তিনি যুক্তরাজ্য থেকে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
সেখানে তার শরীর থেকে সংগ্রহকৃত নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করে আইইডিসিআর করোনাভাইরাসের যুক্তরাজ্যের নতুন ধরণ শনাক্ত করে।
জানুয়ারির শুরুতে ভাইরাসের যুক্তরাজ্যের নতুন ধরণ শনাক্ত হলেও, সেটি আগে কেন জানানো হয়নি, সে প্রশ্নের জবাব দেননি তিনি।
অধ্যাপক শিরিন বলেছেন, জানুয়ারির শুরুতে ঢাকায় প্রথম শরীরে করোনাভাইরাসের নতুন ধরণবাহী একজন শনাক্ত হন।
এরপর সিলেটে ওসমানী বিমানবন্দরে নামা যাত্রীদের মধ্য থেকেও ভাইরাসের নতুন ধরণবাহী ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন।
বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ ১৭টি নতুন জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষা করে পাঁচটিতেই করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন পায়।
সংস্থাটির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সেলিম খান সেসময় বিবিসিকে বলেছিলেন, যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া নতুন স্ট্রেইনের যে বৈশিষ্ট্য, তার সাথে বাংলাদেশে পাওয়া ভাইরাসের পুরোপুরি মিল না থাকলেও অনেকটা মিল রয়েছে।
এ নিয়ে বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে।
যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের নতুন যে ধরণ পাওয়া গেছে, সেটি আগের স্ট্রেইনের তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি গতিতে ছড়ায় বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। বাংলাদেশে সম্প্রতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
মঙ্গলবারই বাংলাদেশে নতুন শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা ছিল নয় শতাধিক।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৯ই মার্চের সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৯১২জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন, যা আগের প্রায় দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের হার ১৩.২ শতাংশ।
৭ই ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশে সহস্রাধিক হাসপাতালে একযোগে করোনাভাইরাসের গণ-টিকাদান কর্মসূচী শুরু হয়েছে।
Discussion about this post