অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
২৫ এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নৃশংস, নির্মম ও বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের দিন। যেদিন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫৭ জন দেশপ্রেমিক ও মেধাবী সেনাকর্মকর্তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। প্রতিবেশি দেশ ভারতের পরিকল্পনায় নির্মম এই হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়ন করেছিল শেখ হাসিনা।
এই হত্যাকাণ্ডের সাথে শেখ হাসিনা যে সরাসরি জড়িত এনিয়ে অ্যানালাইসিস বিডিতে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। শেখ হাসিনা শুধু এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিল না, তার হুকুমেই মূলত এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল।
শেখ হাসিনা কিভাবে ও কাকে দিয়ে এই হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়ন করেছিল আজকের প্রতিবেদনে সেটা উল্লেখ করা হবে।
এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত বিডিআর সদস্যদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। এমন একটি জিজ্ঞাসাবাদের অডিও ক্লিপ বাইরে চলে আসছে। এই অডিও ক্লিপে ডিএডি হাবিব নামে এক বিডিআর সদস্য এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। এই অডিও ক্লিপটি সাংবাদিক কনক সারওয়ার তার একটি টকশোতে দর্শকদেরকে শুনিয়েছেন।
বিডিআরের মধ্যে যখন কথিত রেশনের দাবি উঠে তখন রাজনৈতিকভাবে এটার সমাধানের কথা বলা হলো। আর সরকারের পক্ষ থেকে সমাধানের দায়িত্ব দেয়া হল শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই শেখ সেলিম ও শেখ ফজলে নুর তাপসকে।
এই পরিকল্পনার সাথে জড়িত বিডিআরের সদস্যরা প্রথমে মিটিং করে শেখ সেলিমের সাথে। সেনাবাহিনীর উপর যে তাদের ক্ষোভ আছে সেটা শেখ সেলিম তাদেরকে বলে দিয়েছেন। এখানে প্রাথমিক আলোচনা হয়।
এরপর, ২০০৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি এই বিডিআর সদস্যদের আরেকটি বৈঠক হয় ধানমন্ডিতে আ.লীগ নেতা আলোচিত তোরাব আলীর বাসায়। এই মিটিংয়ে শেখ ফজলে নুর তাপস ছিলেন। এই মিটিংয়েই হত্যাকাণ্ডের চূড়ান্ত পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
মিটিংয়ে বিডিআর সদস্যরা তাদের পরিকল্পনার কথা তাপসকে জানান। তখন তাদেরকে পরিকল্পনার সাথে একমত পোষণ করেন। এবং বেশি সংখ্যাক সেনা অফিসারকে হত্যা না করতে বলেন। আর ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে বাইরে থেকে কারা কারা গিয়ে দরবার হলে গন্ডগোল শুরু করবে সেটাও বলা হয়।
তারপর, ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল সোয়া ৯ টার দিকে একটি গাড়িতে করে বিডিআরের পোশাক পরে অস্ত্র নিয়ে ১১ জন ভেতরে ঢুকে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা ভেতরে গিয়েই অস্ত্র গুদাম খুলে দেয়। দরকার হলে গিয়ে শুরু করে গন্ডগোল। এর মধ্যে পরিকল্পনার সাথে জড়িত বিডিআর সদস্যরা গোদাম থেকে অস্ত্র হাতে তুলে নেয়। সেনা অফিসাররা কিছু বুঝে উঠার আগেই তাদেরকে গুলি করে একের পর এক হত্যা করতে থাকে।
Discussion about this post