• যোগাযোগ
বৃহস্পতিবার, মে ২২, ২০২৫
Analysis BD
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে
No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে
No Result
View All Result
Analysis BD
No Result
View All Result
Home Home Post

বুয়েটের পর এবার ঢামেকেও নৃশংসতায় ছাত্রলীগ

ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২১
in Home Post, slide, জাতীয়
Share on FacebookShare on Twitter

অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক

বুয়েটের পর এবার ঢাকা মেডিকেল কলেজের শহীদ ডা. ফজলে রাব্বি হলে এক শিক্ষার্থীর ওপর নৃশংস নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। আবরারের মত সহপাঠীদের হাতেই নির্মমতার শিকার হয়েদছেন এএসএম আলী ইমাম (শীতল) নামে এক ইন্টার্ন চিকিৎসক। তার কোমর থেকে পা পর্যন্ত রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করাসহ হাঁটুর নিচের হাড় ভেঙে দেওয়া হয়েছে। মাথা, মুখ, বুকসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে বিরামহীন কিল-ঘুষি-লাথি মারা হয়। মাথায় আঘাতের একপর্যায়ে বমি শুরু হলে তাকে টিভি রুম থেকে বের করে দেওয়া হয়।

জানা যায়, গত ১৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১১টায় এ ঘটনার শুরু, চলে সোয়া ১২টা পর্যন্ত। মাঝে পুকুর পাড় থেকে টিভি রুমে স্থান পরিবর্তন হয়। এর সাথে জড়িত ছিলেন কলেজ ছাত্রলীগ এবং ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের নেতারা।

ভাগ্যের জোরে সেদিন বেঁচে ফিরলেও জীবন রক্ষায় শীতল ঢাকা ছেড়েছেন। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে শিক্ষাজীবন। বিষয়টি নিয়ে একটি মামলা হওয়ায় নির্যাতনের তথ্য মেডিকেল কলেজের আঙিনার বাইরে চলে এসেছে। এ ঘটনায় ১৭ জানুয়ারি একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। পরের ৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের কথা থাকলেও কমিটি আরও ১০ দশ দিন সময় বাড়িয়েছে। বিষয়টি নিয়ে চকবাজার থানায়ও মামলা দায়ের করা হয়। এর তদন্তও শুরু হয়েছে। তদন্তে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা মিলেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ পরিদর্শক।

নির্মমতার শিকার ডা. এএসএম আলী ইমাম বলেন, আমি মেডিসিন বিভাগের মাধ্যমে ইন্টার্ন শুরু করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহরিয়ার খান আমাকে মেডিসিন না দিয়ে সার্জারিতে দেন। কেন আমাকে মেডিসিন দেওয়া হলো না জানতে চাওয়ায় তিনি দলবেঁধে আমার ওপর নির্যাতন চালান। শীতল বলেন, আমি ঢামেকের ২০১৬-১৭ সেশনের ছাত্রলীগের উপদপ্তর সম্পাদক ছিলাম। বর্তমান কমিটির নেতারা এবং আমি ভিন্ন গ্রুপ করায় আমার ওপর এভাবে নির্যাতন চালানো হয়েছে। জীবন বাঁচাতে আমি এখন গ্রামের বাড়িতে আছি। তারা বলেছে, আমাকে ঢামেকে ঢুকতে দেবে না, ইন্টার্নও করতে দেবে না।

রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করলো ছাত্রলীগ

অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ১৪ জানুয়ারি দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ঢামেক কে-৭২ ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার খান আলী ইমামকে ডেকে নিয়ে যায় ফজলে রাব্বি হলের ক্যান্টিনের পুকুর পাড়ে। সেখানে আগে থেকেই অনেক শিক্ষার্থী অবস্থান করছিল। ইন্টার্নের দায়িত্ব নিয়ে কথা শুরু হয়। এখানে তাকে মারতে থাকে। এক পর্যায়ে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি কে-৭০ ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থী শেখ মো. আল-আমিনের নির্দেশে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হলের টিভি রুমে। সেখানেও কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকিউল ইসলামের নেতৃত্বে শাহরিয়ার খান, ফয়সাল ইফতিসহ কয়েকজন তাকে নির্মমভাবে মারতে থাকে। চিৎকার শুনে একই ব্যাচের বন্ধুরা বাঁচাতে এলেও কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ মো. আল-আমিনের প্রতিরোধে কেউ ওই রুমে ঢুকতে পারেনি। তিনি রড হাতে নিয়ে দরজার বাইরে পাহারা দেন। এক পর্যায়ে মাথায় আঘাত লাগার কারণে তার বমি শুরু হয়। এ সময় তড়িঘড়ি করে তাকে টিভি রুম থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর তার বন্ধুরা তাকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন। কিন্তু জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত থাকায় বন্ধুদের সহযোগিতায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে চলে যায় শীতল। তার বন্ধুদের মাধ্যমে তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়, সে যেন আর কলেজে ফিরে না আসে। ঢামেক হাসপাতালে তার ইন্টার্ন হবে না।

কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, বিষয়টি তারা হল প্রভোস্টের নজরে আনেন। প্রভোস্ট তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি দেখছেন বলে জানান। শিক্ষার্থীরা বলেন, এটাই প্রথম ঘটনা নয়। গত সেপ্টেম্বরে ঢামেক শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণার পর থেকেই তারা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। শুরু করে গ্রুপিং। যে তাদের কথা শুনে না তার ওপরই নেমে আসে নির্যাতন। এর আগে ১২ জানুয়ারি কে-৭২ ব্যাচের ইন্টার্ন শিক্ষার্থী শাওন ও সিফাতকে মারতে মারতে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়। একইভাবে ৬ জানুয়ারি ফজলে রাব্বি হলের একই ব্যাচের শিক্ষার্থী শামিমকেও মেরে হলছাড়া করে এই গ্রুপ। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা এবং তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে এভাবেই চলছে দেশের প্রথম এবং প্রধান মেডিকেল চিকিৎসা শিক্ষাকেন্দ্র।

জরুরি বিভাগে চিকিৎসা :

ওই রাতে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক যুগান্তরকে বলেন, মারাত্মক আহত অবস্থায় আলী ইমাম শীতলকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু বিষয়টি পুলিশ কেস বলে তার চিকিৎসা শুরু হতে দেরি হয়।

এরপর তার দুই পায়ের ক্ষতস্থান পরিষ্কার করে সেখানে সেলাই করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। সে সময় জীবন রক্ষাকারী অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশনসহ নানা ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। এছাড়া এক পায়ের ফিবুলা হাড়টিতে ফ্রাকচার সৃষ্টি হওয়ায় ব্যান্ডেজ করে দেওয়া হয়। তবে এ ধরনের রোগীকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়ার কথা। কিন্তু নিরাপত্তাহীনতার কারণে রোগী হাসপাতাল থেকে চলে যান। পরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নেন বলে শুনেছি।

ঘটনার ২১ দিন গড়ালেও গ্রেফতার হয়নি অভিযুক্তরা

ইন্টার্ন চিকিৎসক নির্যাতনের এ বিষয়ে গত ১৭ জানুয়ারি রাজধানীর চকবাজার মডেল থানায় একটি মামলা হয়েছে। পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৩০৭/৩২৩/৩২৫ ও ৩৪ ধারায় মামলাটি গ্রহণ করেন থানার পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মওদুদ হালদার। মামলার অভিযোগকারী নির্যাতনের শিকার ইন্টার্ন চিকিৎসক এএসএম আলী ইমাম নিজেই। মামলায় ১নং আসামি করা হয়েছে ডা. শাহরিয়ার খানকে। অন্য আসামিরা হলেন ডা. জাকিউল ইসলাম ফুয়াদ, ফয়সাল ইরতিজা, ডা. শেখ সোহেল, ডা. ইশমাম আহমেদ, ডা. সৈয়দ হাসান ইভেন, ডা. ইব্রাহিম হাওলাদার, ডা. তানভীর আহমেদ আকাশসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জন। তবে ঘটনার ২১ দিন গড়ালেও এখনও গ্রেফতার করা হয়নি অভিযুক্তদের।

এদিকে এ ঘটনায় ১৭ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। সেখানে তিনি বলেন, ১৪ জানুয়ারি ডা. ফজলে রাব্বি হলে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে, তার কারণ উদ্ঘাটনে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো। কমিটি প্রয়োজনে দুজন সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে। ঢামেকের নাক-কান-গলা ও হেড নেক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. শেখ নুরুল ফাত্তাহ রুমীকে কমিটির আহ্বায়ক এবং সহকারী পরিচালক ডা. এমএম আক্তারুজ্জামানকে সদস্য সচিব করে ৬ সদস্যের এই তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন গাইনি এবং অবস বিভাগের অধ্যাপক ডা. শিখা গাঙ্গুলী, মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. এমএ কাশেম, সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. এইচএ নাজমুল হাকিম এবং ক্যাজুয়ালটি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মো. আলাউদ্দিন।

গত ২৫ জানুয়ারি তারিখে নির্যাতনের শিকার ইন্টার্ন চিকিৎসক এএসএম আলী ইমাম লিখিত বক্তব্য দেন তদন্ত কমিটির কাছে। সেখানে তিনি বলেন, ১৪ জানুয়ারি তারিখে রাত সাড়ে ১১টায় কে-৭২ ব্যাচের ডা. শাহরিয়ার খান আমাকে শহীদ ডা. ফজলে রাব্বি হলের পুকুর পাড়ে ডেকে নিয়ে যায়। তিনি ইন্টার্নশিপ রোস্টার বিষয়ে কথা বলতে চান। সেখানে তার সঙ্গে বাদানুবাদ হয়। একপর্যায়ে কে-৭৩ ব্যাচের ফয়সাল ইরতেজা বিনা উসকানিতে পেছন থেকে লাথি মারলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। এরপর সে আমার মাথায় ক্রমাগত লাথি মারতে থাকে। এ সময় আমি বমি করতে শুরু করি এবং চোখে অন্ধকার দেখি। একপর্যায়ে অজ্ঞাত অনেকে আমাকে ধাক্কা দিতে দিতে হলের মূল ভবনের কমনরুমে নিয়ে যায়। সেখানে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ডা. আল-আমিন (কে-৭০) আমাকে চড় মারে এবং একটি রড ডা. শাহরিয়ারের হতে তুলে দেয়। তিনি শুধু কে-৭২ ব্যাচের উপস্থিত ছাত্রদের মারতে নির্দেশ দেন। ক্রমাগত আঘাতের একপর্যায়ে আমি আরও দুবার বমি করি। আমার দুই পায়ে মারাত্মক জখম হয়ে রক্তপাত শুরু হয়। একপর্যায়ে আমাকে রুম থেকে বের করে দেয়। আমার সহপাঠী বন্ধু শফিকুল আলম এবং নাহিদা হাসান ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। যেখানে আমার দুই পায়ে সেলাই করা হয়। লিখিত প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, ডা. ফজলে রাব্বি হলের কমনরুম/গণরুমসংলগ্ন একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরায় ওই দিন রাত সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ধারণকৃত ফুটেজ দেখলেই আমার বক্তব্যের সত্যতা পাওয়া যাবে। আমার ওপর হামলাটি পূর্বপরিকল্পিত এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় করা হয়েছে।’

সম্পর্কিত সংবাদ

মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব
Home Post

মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব

মে ২১, ২০২৫
ইশরাকের মেয়র হতে বাধা কোথায়?
Home Post

ইশরাকের মেয়র হতে বাধা কোথায়?

মে ২১, ২০২৫
নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে
Home Post

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

এপ্রিল ৩০, ২০২৫

জনপ্রিয় সংবাদ

  • শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির যত মামলা

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • একজন বীর শহীদ তিতুমীর: মুসলিম জাতির প্রেরণা

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • ভাষা আন্দোলন ও এর ঘটনা প্রবাহ

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • রক্তাক্ত ২৮ ফেব্রুয়ারি: নির্বিচার গণহত্যার দিন

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • সেঞ্চুরিয়ান মানিক ও জাবির সেই সময়ের ঘটনা প্রবাহ

    0 shares
    Share 0 Tweet 0

সাম্প্রতিক সংবাদ

মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব

মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব

মে ২১, ২০২৫
ইশরাকের মেয়র হতে বাধা কোথায়?

ইশরাকের মেয়র হতে বাধা কোথায়?

মে ২১, ২০২৫
নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন ধারার প্রবর্তন অপরিহার্য

এপ্রিল ৩০, ২০২৫
হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক

হাওর ধ্বংস করে আবদুল হামিদের প্রমোদ সড়ক

মার্চ ২০, ২০২৫
  • Privacy Policy

© Analysis BD

No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে

© Analysis BD