অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
শেখ হাসিনার সোনার ছেলে খ্যাত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের অপরাধ-অপকর্ম নিয়ে আর নতুন করে কিছুই লেখার নেই। ধর্ষণ, খুন, পরকিয়াকে ছাড়িয়ে এবার বিয়ের আসর থেকে বউ তুলে নিয়েও এগিয়ে গেলো ছাত্রলীগ।
সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, বাড়ি-জমি দখল, খুন-হত্যা, গুম, চুরি, ছিনতাই, ভর্তি জালিয়াতি, হল দখল, প্রশ্নপত্র ফাঁস, ধর্ষণ, মাদক ব্যবসা ও বিদেশে অর্থপাচারসহ এমন কোনো অপকর্ম নেই যা হাসিনার সোনার ছেলেদের দ্বারা হচ্ছে না।
সর্বশেষ তারা বিয়ের আসর থেকে কনে অপহরণ ও অন্যের বউ ভাগিয়ে নেয়ার কাজেও জড়িয়ে পড়েছে। দেশের কোনো কোনো এলাকায় এখন আওয়ামী লীগ নেতারাও ছাত্রলীগের ভয়ে নিজেদের মেয়ে ও বউ নিয়ে বিপদে আছে।
জানা গেছে, যশোরের চৌগাছা উপজেলার সাদেকুর রহমান নামে এক ছাত্রলীগ নেতা এক উইনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলাইমান হোসেনের বউ ভাগিয়ে নিয়ে গেছে।
এনিয়ে রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে চৌগাছা উপজেলার স্বরূপদাহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলাইমান হোসেন সংবাদ সম্মেলন করেছেন। ওই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে তিনি থানায় মামলাও করেছেন।
চৌগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাদেকুর রহমান পরীক্ষার ফরম পূরণ ও ফির টাকা নেয়াসহ বিভিন্ন অজুহাতে সোলাইমানের বাড়িতে আসতো। এভাবে সে তার স্ত্রী সালমা খাতুনের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক তৈরি করে। এ নিয়ে সংসারে অশান্তি লেগেই থাকতো।
২০১৭ সালের ৩১ জুলাই ওই ছাত্রলীগ নেতা সাদেকুর সোলাইমানের স্ত্রী সালমা খাতুনকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করে।
এরপর, পিরোজপুর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: দেলোয়ার হোসেনের মেয়েকে বিয়ের আসর থেকে জোর পূর্বক অপহরণের চেষ্টা করেছে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অনিরুজ্জামান অনিক। যদিও প্রতিবেশীদের বাধার মুখে ছাত্রলীগ নেতা পিছু হটেছে।
জানা গেছে, শুক্রবার আছর নামাজের পর আ.লীগ নেতার বাসভবনে মেয়ের বিয়ের আক্দ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিকেলে জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার বাসিন্দা বরপক্ষ বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন নিয়ে বরসহ আসেন।
আকদ অনুষ্ঠান শুরুর আগ মুহূর্তে পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অনিরুজ্জামান অনিক তার কতিপয় সমর্থক নিয়ে বাড়িতে ঢুকে অনুষ্ঠান থেকে মেয়েকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
এ সময় মেয়ে ফারহানা আক্তার আইভিকে জড়িয়ে ধরে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করেন ছাত্রলীগ নেতা। তখন উপস্থিত আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের বাধার মুখে মেয়েকে অপহরণ করতে না পেরে বর পক্ষকে নানা হুমকি দেয়। এ ঘটনার পর গ্রাম থেকে আসা বর পক্ষের লোকজন ভয়ে বিয়ে বন্ধ করে তাদের বাড়িতে চলে যান।
দুইটি ঘটনা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।অনেকেই বলছেন, ছাত্রলীগ যা শুরু করেছে, ঘরে এখন বউ আর মেয়ে রাখাই কঠিন হয়ে পড়বে। কেউ কেউ বলছেন, শেখ মুজিবের আমলেও যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতারা এমন অপকর্ম করেছে। তাদের ভয়ে তখনো নারীরা ঘর থেকে বের হতে পারেনি। বর্তমান ছাত্রলীগও সেই অপকর্ম শুরু করেছে।