শনিবার, অক্টোবর ১৮, ২০২৫
Analysis BD
No Result
View All Result
No Result
View All Result
Analysis BD
No Result
View All Result
Home Home Post

নিষ্ক্রিয় ইসিকে পাত্তা দিচ্ছে না দলবাজ প্রশাসন

ডিসেম্বর ৮, ২০১৮
in Home Post, slide, বিশেষ অ্যানালাইসিস
Share on FacebookShare on Twitter

অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক

জনগন আশা করেছিল নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পর রাজনৈতিক হয়রানি ও নিপীড়ন হ্রাস পাবে। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য যে, রাজনৈতিক সংকট ক্রমান্বয়েই যেন আরো ঘনীভুত হচ্ছে। বিশেষ করে তফসিল ঘোষনার পর থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নতুন করে হাজার হাজার মামলা দায়ের হয়েছে। নতুন করে একটা শব্দ আমাদের সামনে এসেছে ইদানিং আর তাহলো ‘গায়েবী মামলা’। সাধারনত সেইসব মামলাগুলোকেই গায়েবী মামলা বলা হয় যা দায়ের করা হয় এমন লোকদের বিরুদ্ধে যাদের আসলে খুঁজেই পাওয়া যায় না, কিংবা যারা ইতোমধ্যেই মারা গেছেন কিংবা এমন সব ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয় যেই ঘটনাগুলো আসলে কখনো ঘটেইনি।

সংবিধান বিশেষজ্ঞ এবং আওয়ামীপন্থী সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আমীরুল ইসলামও সম্প্রতি কোর্টের বারান্দায় জামিনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা হাজার হাজার বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীকে দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি প্রশ্ন রেখেছেন, নির্বাচনের ঠিক আগ মুহুর্তে এই মানুষগুলোর যেখানে প্রচারনায় ব্যস্ত থাকার কথা সেখানে জামিন নিতে নিতেই তারা হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাথে যখন গনভবনে প্রধানমন্ত্রীর সংলাপ হয় তখনও বিরোধী দলীয় নেতারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে এইসব গায়েবী মামলার বিষয়টি তুলেছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারও বিরোধী দলের সাথে বৈঠকের পর বিষয়টিকে আমলে নেন এবং তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশ বাহিনীকে নির্দেশ দেন যাতে তারা আদালতের পরোয়ানা ছাড়া কাউকে আর গ্রেফতার না করে।

সেসবই এখন ইতিহাস। কেননা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সেই নির্দেশনা পেয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা তাৎক্ষনিক বৈঠকে বসে নিজেদের ধরপাকড়কে জায়েজ করার ব্যপারেই সিদ্ধান্ত নেন। তারা কমিশনারের নির্দেশনার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে গায়েবী মামলার অভিযোগকে দিব্যি অস্বীকার করে এবং দম্ভস্বরে ঘোষনা দেয় যে নির্দিষ্ট ক্রিমিনাল কেসের ভিত্তিতেই গ্রেফতার অভিযান চালানো হচ্ছে।

সাধারন মানুষ আশা করেছিল যে, পুলিশের এই নির্লিপ্ততা ও ড্যাম কেয়ার ভাবকে নির্বাচন কমিশন বিবেচনায় নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে সতর্কবানী উচ্চারন করবে। কিন্তু তা না করে নির্বাচন কমিশনই যেন উল্টো পুলিশের পক্ষ নিয়ে নিলো। তারা পুলিশের বরাত দিয়ে বরং ঘোষনা করলো যে আমাদের নির্দেশনার বাইরে কারন ছাড়া পুলিশ কাউকেই হয়রানি বা গ্রেফতার করছেনা।

শুধুমাত্র বিএনপির হিসেবেই গত এক বছরে প্রায় ১৩ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কয়েক হাজার নেতাকর্মী জেলে আছেন। অথচ নির্বাচন কমিশন এই সব বেআইনী হয়রানির প্রতিকার করতে সম্পুর্ন ব্যর্থ হয়েছে।

একথা সকলেই স্বীকার করবেন যে, ৯০ এর স্বৈরাচার পতনের পর থেকে দেশে যে কয়টা গ্রহনযোগ্য নির্বাচন হয়েছে তার সবটাই হয়েছে তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। বাংলাদেশে কোন দলীয় সরকারই গ্রহনযোগ্য নির্বাচন করতে পারেনি। তত্বাবধায়ক সরকার সফল হওয়ার পেছনে অন্যতম কারন হলো তারা বেশ কিছু কার্যকর কৌশল অবলম্বন করতেন। যেমন তারা প্রশাসনে ব্যপক রদবদল করতেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতেন, গনমাধ্যমগুলোকে নিরপেক্ষ ভুমিকা রাখতে বাধ্য করতেন। বিদায়ী সরকার নির্বাচনে বাড়তি সুবিধা নেয়ার জন্য প্রশাসনকে তাদের পছন্দমত সাজিয়ে যেতো বলেই প্রশাসনে এহেন রদবদলের প্রয়োজন পড়ে।

এখন যেহেতু আর তত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি নেই, সেকারনেই ঐক্যফ্রন্টসহ অন্যন্য রাজনৈতিক দলগুলো আশা করেছিল নির্বাচন কমিশন নিজেই তত্বাবধায়ক সরকারের ভুমিকায় অবতীর্ণ হবে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সেই চাওয়াকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বরং বলেছে, নির্দিষ্ট অভিযোগ না পেলে প্রশাসনে ঢালাও রদবদল তো দূরের কথা, তারা একজন কর্মকর্তাকেও বদলী করবেনা। নির্বাচন কমিশনের এহেন অনীহা বিরোধী দলগুলোকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতার ব্যপারে অনাস্থায় ফেলে দিয়েছে- তা বলাই বাহুল্য।

নির্বাচন কমিশন শুধু যে প্রশাসনে রদবদল বা পুলিশের উপর নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছে তাই নয় বরং নির্বাচনের পর্যবেক্ষকদের নিয়োগের ব্যপারেও তারা গাফিলতির পরিচয় দিয়েছে। একটি দৈনিকের প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালের নির্বাচনে আসন্ন নির্বাচনের তুলনায় ৪ গুন বেশী পর্যবেক্ষক অংশ নিয়েছিলেন। অথচ এই দশ বছরে ভোটার ও ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় পর্যবেক্ষকের সংখ্যা বরং আগের তুলনায় বাড়বে-এটাই প্রত্যাশা ছিল সকলের। নির্বাচন কমিশন এজন্য অর্থাভাবকে দায়ী করলেও সচেতন মানুষ তা মানতে নারাজ কেননা এই নির্বাচন কমিশনই আবার বিতর্কিত ইভিএম ব্যবহারের জন্য ৮শ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ করেছে।

শুধু তাই নয়, নির্বাচনের পর্যবেক্ষকদেরকে মুর্তির মত দাঁড়িয়ে থাকার আদেশ দিয়ে নির্বাচন কমিশন আগামী নির্বাচনের বড় আকারের অনিয়ম সংঘঠিত হওয়ারই ইংগিত দিয়েছে। আরও বিস্ময়কর ব্যপার হলো, নির্বাচন কমিশন এবারের পর্যবেক্ষকদের তালিকা থেকে দেশের সবচেয়ে পুরনো দুই নির্বাচনী পর্যবেক্ষক সংস্থা ফেমা ও ব্রতীকে বাদ দিয়েছে। অন্যদিকে অধিকার নামক মানবাধিকার সংগঠনের নিবন্ধনও বাতিল করেছে।

নির্বাচন কমিশনের নির্লিপ্ততা ও নিষ্ক্রিয়তাই তাদের ব্যাপারে জনমনে আস্থা তৈরী না হওয়ার মূল কারণ। অধিকন্তু যে হারে বিরোধী দলের প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল হচ্ছে, রিটার্নিং অফিসাররা নগ্নভাবে ক্ষমতাসীন দলের দালালি করার পরও তাদের ব্যপারে কমিশন ব্যবস্থা নিতে অপারগ হওয়ায় এই কমিশনের সামর্থ্য নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আপন ভাতিজা পটুয়াখালীতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ায় তার আওয়ামী সংশ্লিষ্টতার বিষয়টাও এখন অনেকটাই ওপেন সিক্রেট।

তবে সব কথার পর এটাই বাস্তবতা যে, চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে বা গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টিতে অথবা বিরোধী দলকে আস্থায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন সম্পুর্নরূপে ব্যর্থ হয়েছে। তারা বহুল প্রত্যাশিত লেভেল-প্লেয়িং ফিল্ডও তৈরী করতে পারেনি। তাদের কর্মদক্ষতাও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। মনে হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন ১০ বছর ধরে চলে আসা রাজনৈতিক অন্ধকার দূর করাতো দূরের কথা বরং তারা যেন অন্ধকার ও অনিশ্চয়তাকে আরো তীব্রতর করার এজেন্ডা নিয়েই কাজে নেমেছেন।

সম্পর্কিত সংবাদ

Home Post

রাষ্ট্রের রক্ষাকবচ না হয়ে রাজনীতির হাতিয়ার: গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীর ভূমিকা

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫
Home Post

সন্ত্রাসের দুই মুখ: গাইবান্ধার সিজু হত্যা ও বসুন্ধরায় সামরিক ষড়যন্ত্র

আগস্ট ১০, ২০২৫
Home Post

জুলাই বিপ্লব: গণআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্ররূপান্তরের যুগসন্ধিক্ষণে রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক দায় ও চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা

মে ৩১, ২০২৫

জনপ্রিয় সংবাদ

  • Trademark Web based poker Crazy Expensive diamonds Gambling enterprise Video slot Genuine Imitation Financial

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • অনৈসলামিক কর্মকান্ড বন্ধে আল্লামা সাঈদীর ভূমিকা

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • বিতর্কিত আজিজের সাক্ষাৎকার নিয়ে লে. কর্নেল মুস্তাফিজের বিশ্লেষণ

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • পাহাড়ে পরিকল্পিতভাবে বাঙালি উচ্ছেদ ও ডি ইসলামাইজেশন করা হচ্ছে

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • ইসলামী সংস্কৃতি ও আধুনিক সংস্কৃতি

    0 shares
    Share 0 Tweet 0

সাম্প্রতিক সংবাদ

রাষ্ট্রের রক্ষাকবচ না হয়ে রাজনীতির হাতিয়ার: গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীর ভূমিকা

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫

সন্ত্রাসের দুই মুখ: গাইবান্ধার সিজু হত্যা ও বসুন্ধরায় সামরিক ষড়যন্ত্র

আগস্ট ১০, ২০২৫

জুলাই বিপ্লব: গণআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্ররূপান্তরের যুগসন্ধিক্ষণে রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক দায় ও চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা

মে ৩১, ২০২৫

মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব

মে ২১, ২০২৫

ইশরাকের মেয়র হতে বাধা কোথায়?

মে ২১, ২০২৫

© Analysis BD

No Result
View All Result

© Analysis BD