সোমবার, অক্টোবর ২৭, ২০২৫
Analysis BD
No Result
View All Result
No Result
View All Result
Analysis BD
No Result
View All Result
Home Home Post

বাংলাদেশে জোরপূর্বক গুম পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে

আগস্ট ৩০, ২০১৮
in Home Post, জাতীয়
Share on FacebookShare on Twitter

বাংলাদেশে জোরপূর্বক গুম পরিস্থিতির শুধুই অবনতি হয়েছে। ৩৯তম নিয়মিত অধিবেশন উপলক্ষে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের কাছে পাঠানো এক রিপোর্টে এসব কথা বলেছে মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন এশিয়ান লিগ্যাল রিসোর্স সেন্টার (এএলআরসি)।

এতে বলা হয়েছে এ সরকারের মেয়াদে ২০০৯ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ৩১ শে জুলাই সময়ের মধ্যে কমপক্ষে ৪৩২ জনকে গুম করেছে আইন প্রয়োগকারী এজেন্সিগুলো। লোকজনকে তুলে নেয়া ও গুম করার সঙ্গে অভিযুক্ত হিসেবে যাদের নাম উঠে এসেছে তারা হলো ডিবি, পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমস ইউনিট (সিটিটিসিইউ), র‌্যাব ও একটি গোয়েন্দা সংস্থা। এএলআরসি আরো বলেছে, নাগরিকদের তুলে নেয়া ও গুমের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অব্যাহতভাবে অস্বীকার করে যাচ্ছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। নিখোঁজ হওয়ার কয়েক সপ্তাহ বা মাস পরে এক-চতুর্থাংশ মানুষকে পাওয়া যাচ্ছে বন্দি অবস্থায়। তাদের বিরুদ্ধে আনা হচ্ছে নানা রকম বানোয়াট ফৌজদারি অভিযোগ। এ অবস্থা থেকে মুক্ত হয়ে যারা ঘরে ফিরেছেন, তারা কখনো মুখ খোলার সাহস দেখান না।

এএলআরসি আরো বলেছে, জোরপূর্বক গুমের ঘটনায় পর্যায়ক্রমিকভাবে অভিযোগ নিবন্ধিত করতে অস্বীকার করে বাংলাদেশ পুলিশ। তারা বলে অভিযোগ থেকে আইন প্রয়োগকারী এজেন্সির নাম বাদ রাখতে হবে। এ ছাড়া গুম শব্দটির পরিবর্তে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের দ্বারা অপহরণ অথবা নিখোঁজ শব্দ ব্যবহারে বাধ্য করে অভিযোগকারীকে। এর ফলে অভিযোগ মেকানিজমে পরিপূর্ণ সুবিধা অস্বীকার করায় প্রাথমিকভাবে ধাক্কা খান অভিযোগকারী। অভিযোগ করার মেকানিজমে এই যথাযথ সুবিধা না পাওয়াটা হচ্ছে ন্যায়বিচার না পাওয়ার বিষয়।

উপরন্তু অভিযোগকারী ও গুমের শিকার ব্যক্তির পরিবার অব্যাহতভাবে ভীতির সম্মুখীন হন। তাদেরকে শারীরিক ও ডিজিটাল নজরদারিতে রাখে পুলিশ, র‌্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এ ছাড়া অভিযোগকারী একই রকম চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে। সেখানে অভিযোগের জন্য আইনজীবীর সহায়তা নেয়া বাধ্যতামুলক। কিন্তু নানা রকম প্রতিশোধ নেয়ার কারণে আইনজীবীরা এসব চ্যালেঞ্জ নিতে অনীহা দেখান। পুলিশ স্টেশন অথবা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যেসব অভিযোগ জমা পড়ে তার তদন্ত করে না পুলিশ। তবে ২০১৫ সালে সাতজন মানুষ গুমের একটি ঘটনায় তদন্ত করেছে তারা। ফলে গত ১০ বছরে এমন ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের মাত্র একটি ঘটনায় বিচার হয়েছে। তারা জোরপূর্বক গুম করেছিল। এবং পড়ে সেই গুমের শিকার ব্যক্তিদের মৃতদেহ নদীতে ভেসে উঠেছিল।

এএলআরসি আরো বলেছে, ২০০৯ সাল থেকে সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট ডিভিশনে প্রায় ১০টি ‘হাবিয়াস করপাস’ রিট জমা পড়েছে। সুনির্দিষ্ট রিটে হাই কোর্ট রুল দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলোর ‘বুরোক্র্যাট ও অফিসিয়ালদের’ বিরুদ্ধে। তাদেরকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ওদিকে গুমের সঙ্গে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর লোকজন জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে এটর্নি জেনারেলের অফিস। তবে ২০০৯ সাল থেকে যেসব মানুষ অপহৃত হয়েছেন, তারা কোথায় আছেন তা কেউ জানেন না, সেইসব মানুষকে হাজির করার জন্য রাষ্ট্রীয় কোনো এজেন্সিকে কোনো নির্দেশ কখনো দেন নি সুপ্রিম কোর্ট।

জাতীয় সংসদে এক বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে জোরপূর্বক গুমের ঘটনা নতুন নয়। সারা বিশ্বেই এমন ঘটনা ঘটে চলেছে। তার মতে, বৃটেন ও যুক্তরাষ্ট্রেও গুম হয় মানুষ। তিনি দাবি করেন, প্রতি বছর যুক্তরাজ্যে গুম হন দুই লাখ ৭৫ হাজার বৃটিশ নাগরিক। যুক্তরাষ্ট্রে এ সংখ্যা আরো অনেক বেশি। এমন বক্তব্য গুমের শিকার ব্যক্তিদের ন্যায়বিচার পাওয়াকেই শুধু বাধাগ্রস্ত করে না। একই সঙ্গে যারা এসব ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তারা দায়মুক্তি পেয়ে আরো উৎসাহিত হয়। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের বিচারিক প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু ক্ষমতাসীন সরকারের ইচ্ছামতো তাদের কর্মকান্ড পরিচালনা করে। এই বাস্তবতা ভিকটিমের অধিকার লঙ্ঘিত হওয়ায় তার ন্যায়বিচার পাওয়ার সুযোগকে অস্বীকার করে।

এএলআরসি বলেছে, তারা বাংলাদেশে জোরপূর্বক গুমের জটিল বাস্তবতা সম্পর্কে অব্যাহতভাবে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ ও ওয়ার্কিং গ্রুপ অব এনফোর্সড অর ইনভলান্টারি ডিজঅ্যাপেয়ারেন্সে’কে জানিয়ে আসছে। এএলআরসি বলেছে, এর প্রেক্ষিতে মানবাধিকার পরিষদ ও নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের ব্যাপকভাবে বোঝা উচিত যে, সরকার গুমের অভিযোগ অস্বীকার করছে, অপরাধকে জাস্টিফাই করছে, এর সঙ্গে জড়িতদের দায়মুক্তির গ্যারান্টি দিচ্ছে, অভিযোগকারী ও ভিকটিমের আত্মীয়দের হয়রান বা ভীতি প্রদর্শন করছে, ন্যায়বিচারের মেকানিজমের সুবিধা পাওয়া প্রতিরোধ করছে। এবং এরাই জোরপূর্বক গুমের জন্য দায়ী।

এএলআরসি আরো বলেছে, যখন এমন একটি সরকার থাকে তখন গণতান্ত্রিক ন্যায়বিচারের প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে জোরপূর্বক গুমের ন্যায়বিচার পাওয়া অসম্ভব। উপরন্তু এখানে যে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বাস্তবে তা ধামাচাপা দেয়া হচ্ছে রোহিঙ্গা সঙ্কট দিয়ে। এক্ষেত্রে মানবাধিকার পরিষদের উচিত বাংলাদেশ সরকারের কাছে জানতে চাওয়া যে, অন্য দেশের একটি অপরাধ দিয়ে নিজের দেশের মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধকে ছাড় দেয়া বৈধ কিনা। এ অবস্থায় মানবাধিকার পরিষদের প্রতি এএলআরসি আহ্বান জানাচ্ছে স্পেশাল র‌্যাপোর্টিউর অন বাংলাদেশের জন্য একটি ম্যান্ডেট সৃষ্টির জন্য, তারা প্রায় ১৬ কোটি মানুষের মানবাধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং করবে।

সূত্র: মানবজমিন

সম্পর্কিত সংবাদ

Home Post

রাষ্ট্রের রক্ষাকবচ না হয়ে রাজনীতির হাতিয়ার: গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীর ভূমিকা

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫
Home Post

সন্ত্রাসের দুই মুখ: গাইবান্ধার সিজু হত্যা ও বসুন্ধরায় সামরিক ষড়যন্ত্র

আগস্ট ১০, ২০২৫
Home Post

জুলাই বিপ্লব: গণআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্ররূপান্তরের যুগসন্ধিক্ষণে রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক দায় ও চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা

মে ৩১, ২০২৫

জনপ্রিয় সংবাদ

  • পাহাড়ে পরিকল্পিতভাবে বাঙালি উচ্ছেদ ও ডি ইসলামাইজেশন করা হচ্ছে

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • Trademark Web based poker Crazy Expensive diamonds Gambling enterprise Video slot Genuine Imitation Financial

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • অসুরের মুখে দাঁড়ি-টুপি : মুসলিম বিদ্বেষে সীমা ছাড়াল ভারত

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • ভাষা আন্দোলন ও এর ঘটনা প্রবাহ

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • মুসলমানদের সেই সোনালী দিনগুলো আজ কোথায়?

    0 shares
    Share 0 Tweet 0

সাম্প্রতিক সংবাদ

রাষ্ট্রের রক্ষাকবচ না হয়ে রাজনীতির হাতিয়ার: গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীর ভূমিকা

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫

সন্ত্রাসের দুই মুখ: গাইবান্ধার সিজু হত্যা ও বসুন্ধরায় সামরিক ষড়যন্ত্র

আগস্ট ১০, ২০২৫

জুলাই বিপ্লব: গণআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্ররূপান্তরের যুগসন্ধিক্ষণে রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক দায় ও চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা

মে ৩১, ২০২৫

মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব

মে ২১, ২০২৫

ইশরাকের মেয়র হতে বাধা কোথায়?

মে ২১, ২০২৫

© Analysis BD

No Result
View All Result

© Analysis BD