সিরিয়ায় মার্কিন-ব্রিটিশ-ফরাসি হামলা শুরু হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক ঘোষণায় এ যুদ্ধ শুরুর কথা জানিয়েছেন।
শনিবার সকালে এ হামলা শুরু হয়। সন্দেহজনক রাসায়নিক অস্ত্র ভাণ্ডার লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে ট্রাম্প জানিয়েছেন।
ট্রাম্প শুক্রবার রাতে হোয়াইট হাউসেবলেন, আমি মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীকে সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদের রাসায়নিক অস্ত্র ভান্ডারের সাথে সম্পৃক্ত স্থানগুলোতে হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছি।
তার ঘোষণার সময়ই দামাস্কাস, হমস এবং সিরিয়ার আরো কয়েকটি স্থানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় বলে আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে।
এক মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, কয়েকটি টার্গেট লক্ষ করে এ হামলা চালানো হয়। এতে টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়।
বাশার পালিয়েছেন?
সিরিয়ায় পশ্চিমা হামলার হুমকির মুখে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ পরিবার কোথায় আছেন তা নিয়ে পরস্পর বিরোধী খবর পাওয়া গেছে। লন্ডন ভিত্তিক আল-কুদস আল-আরাবি এ খবর জানিয়েছে।
ইরানের বিরোধীদের ওয়েবসাইট আমাদি নিউজ জানায়, বাশার ও তার পরিবারকে শিগগিরই তেহরানে সরিয়ে নেয়া হবে। ইরানের বিপ্লবী রক্ষী বাহিনী সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ওয়েবসাইটটি। সিরিয়ায় অবস্থিত গার্ড বাহিনীর পরিবারের মধ্যে আতংক ও ভীতিকর অবস্থা সৃষ্টির কারনে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
তবে রাশিয়ার রিয়া নভোস্তি বার্তা সংস্থা এ খবর নাকচ দিয়ে বলেছে, বাশার ও তার পরিবার এখনো সিরিয়ায় অবস্থান করছে। তবে ইসরাইলি সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে আল-কুদস জানায়, বাশার প্রাসাদ ত্যাগ করেছেন।
সিরিয়ার যুদ্ধ: বড় দেশগুলির কার কাছে কী অস্ত্র আছে?
সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণের জন্যে রাশিয়াকে প্রস্তুত থাকার কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাজধানী দামেস্কের কাছে কথিত রাসায়নিক হামলার জবাবে মি. ট্রাম্প এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র যে ধরনের আক্রমণের পরিকল্পনা করছে তাতে ব্রিটেন ও ফ্রান্সের সহযোগিতা নেওয়া হবে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। তাতে যেসব সমরাস্ত্র ব্যবহার করা হবে সেগুলো যুদ্ধজাহাজ, জঙ্গিবিমান ও ডুবোজাহাজ থেকে নিক্ষেপ করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যেসব যুদ্ধবিমান থেকে অস্ত্র নিক্ষেপ করা হবে সেগুলো সিরিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বাইরে অবস্থান করবে এবং সেখান থেকেই হামলা চালাবে। অথবা ড্রোন দিয়ে আক্রমণ করা হবে যা নিয়ন্ত্রণ করা হবে রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে।
রুশ কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়েছেন, এসব ক্ষেপণাস্ত্রকে গুলি করে মাটিতে নামিয়ে আনার পাশাপাশি যেসব জায়গা থেকে এসব নিক্ষেপ করা হবে সেগুলোকেও তারা ধ্বংস করে দেবে।
কিন্তু এই যুদ্ধে যেসব শক্তিধর দেশ অংশ নেবে বলে এখনও পর্যন্ত ধারণা করা হচ্ছে তাদের কাছে কি ধরনের অস্ত্র আছে? রাশিয়া এবং সিরিয়া এর জবাব দিতে পারে কিভাবে?
সূত্র: নয়াদিগন্ত