অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের কথিত দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর পর অ্যানালাইসিস বিডি একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছিল যে খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখেই সরকার নির্বাচন করতে চায়। আর সেই নির্বাচনে বিএনপিকে আনতে সরকার দুইটি মাধ্যমকে কাজে লাগাচ্ছে। এর একটি হলো বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। অ্যানালাইসিস বিডির সেই রিপোর্ট এখন শতভাগ সত্য প্রমাণিত হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি মূলত সরকারের এজেন্ট হয়ে কাজ করছেন। তার প্রধান টার্গেট হলো বিএনপি থেকে জামায়াতকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা আর শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে নিয়ে আসা। পর্দার আড়াল থেকে এ কাজটা তিনি দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছেন।
আর প্রকাশ্যে সভা-সমাবেশে জাফরুল্লাহ চৌধুরী সরকারের বিরুদ্ধে যে সব বক্তৃতা-বিবৃতি দেন সেটা শুধুই আইওয়াশ মাত্র। এসব বক্তব্যের মাধ্যমে জাফরুল্লাহ চৌধুরী খালেদা জিয়াকে বুঝাতে চান যে তিনি বিএনপির একজন পরম বন্ধু।
তবে, জাফরুল্লাহ চৌধুরী এবার আর পর্দাল আড়াল থেকে নয়, প্রকাশ্যে দূতিয়ালীতে নেমেছেন। গত শুক্রবার বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত ‘মহান স্বাধীনতার ৪৭ বছর ও জনগণের প্রত্যাশা’-শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া জেলে থাকুক বা মুক্ত হোক, বিএনপিকে সম্মিলিত বিরোধী দল গঠনের মাধ্যমে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। বিনা চ্যালেঞ্জে সরকারকে ছেড়ে দেয়া যাবে না।
জাফরুল্লাহ চৌধুরীর এই বক্তব্য থেকে পরিষ্কার হয়ে যায় যে তিনি আসলে কী চাচ্ছেন।
অ্যানালাইসিস বিডির আগের অনুন্ধানী প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, খালেদা জিয়া বাইরে থাকলে নির্বাচন করা সরকারের পক্ষে কঠিন হয়ে যাবে। তাই খালেদা জিয়াকে জেলে রেখেই সরকার এমন একটি নির্বাচন করতে চায় যে নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি হবে প্রধান বিরোধী দল। তখন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মহলের কাছে আওয়ামী লীগকে আর জবাবদিহী করতে হবে না।
সরকারের সেই টার্গেট বাস্তবায়নে কাজ করছে বিএনপির বন্ধু হিসেবে পরিচিত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শেখ হাসিনার অধীনেই যদি বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ নেয় তাহলে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নিতে অসুবিধা ছিল কোথায়? বিএনপিকে কৌশলে বিরোধীদলের আসনে বসিয়ে আওয়ামী লীগ মূলত আগামীতে বৈধতা নিতে চাচ্ছে। বিএনপি যদি সরকারের এই ফাঁদে পা দেয় তাহলে দলটির ভবিষ্যত আরও খারাপ হবে। ডা. জাফরুল্লাহর মতো সরকারের এজেন্টদের কাছ থেকে বিএনপিকে সাবধান থাকতে হবে। তারা বিএনপিকে আবারো কঠিন বিপদের সম্মুখীন করার চক্রান্ত করছে।