নোয়াখালীতে পুলিশ পরিচয়ে এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মামলা করা হলেও পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করছে না বলে অভিযোগ স্বজনদের।
নির্যাতিতার পরিবার জানায়, গত ৭ ফেব্রুয়ারি নোয়াখালির চাটখিল উপজেলায় মামার বাড়িতে বেড়াতে যায় এক কিশোরী। ওই দিন রাতে ৮নং নোয়াখলা ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মজিবুর রহমান শরীফের নেতৃত্বে ৩জন মিলে পুলিশের পরিচয় দিয়ে মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যায়। পরে একটি বাগানে নিয়ে ধর্ষণের পর মেয়েটিকে বাড়ির পাশে রেখে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় নির্যাতিতার পরিবার চাটখিল থানায় গেলে প্রথমে মামলা নেয়নি পুলিশ। পরে প্রধান অভিযুক্ত ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মজিবুর রহমান শরীফের নাম বাদ দিয়ে তার অপর দুই সহযোগী কামাল ও জামালের বিরুদ্ধে মামলা নেয়া হয়।
আদালতের নির্দেশে ১১ ফেব্রুয়ারি মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়। এরপর থেকে আসামিরা মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন নির্যাতিতার স্বজনরা।
নির্যাতিতা বলেন, ‘শরীফ, কামাল ও জামাল এরা বলেছে তারা পুলিশ। আমি তাদের বিচার চাই।’
নির্যাতিতার মা বলেন, ‘১৪-১৫ দিন হয়েছে, আমরা মামলা করেছি। পুলিশ এখনো কাউকে ধরে নাই।’
নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘আমার মেয়েকে বলেছে যদি কারো কাছে কিছু বলে তাহলে আমাদের সবাইকে মেরে ফেলবে, আমার মেয়েকে জবাই করবে।’
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) জহিরুল আনোয়ার বলেন, ‘ভিকটিম যাদের যাদের নাম বলেছে তাদের সবাইকেই আইনের আওতায় আসতে হবে।’
তথ্যসূত্র: সময় টিভি