অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার একটি দুর্নীতি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে দেশের রাজনীতিতে উত্তেজনা এখন চরম আকার ধারণ করেছে। বৃহস্পতিবার কী হবে এনিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যেও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আর আতঙ্ক বিরাজ করছে। অপরদিকে আন্দোলন ঠেকাতে রাজধানীসহ সারাদেশে চলছে গণগ্রেফতার। জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে সারাদেশে বিএনপি-জামায়াতের প্রায় দেড় হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
ইতিমধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত রাজধানীতে সকল প্রকার সভা-সমাবেশ ও জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। খুলনা মহানগরীতেও আগামীকাল থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল প্রকার সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিএনপিকে শক্ত হাতে প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশও। ঢাকাতে প্রবেশের রাস্তাগুলোতেও শুরু হয়েছে ব্যাপক তল্লাশি। আর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও ঘোষণা দিয়েছেন ৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য আওয়ামী লীগ-যুবলীগ ও ছাত্রলীগ মাঠে থাকবে।
খালেদা জিয়ার রায়কে ঘিরে টান টান উত্তেজনার মধ্যে আজ ওবায়দুল কাদেরের এ ঘোষণা মানুষের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বিএনপির আন্দোলন ঠেকাতে পুলিশ-আওয়ামী লীগের এ রণপ্রস্তুতি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কঠোর সমালোচনা হচ্ছে।
আর এই সমালোচনার কারণ হলো-বিগত কয়েক বছর ধরেই ওবায়দুল কাদের বলে আসছেন বিএনপির মরা গাঙ্গে আর জোয়ার আসবে না। আন্দোলন করার মুরোদ বিএনপির নেই। বিএনপি এখন প্রেস রিলিজ নির্ভর পার্টি। ৫০০ লোক নিয়ে মাঠে নামার ক্ষমতা বিএনপির নেই।
টিভি টকশোর আলোচনায় বিশিষ্টজনেরাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ বলছেন, বিএনপির যদি কোনো আন্দোলন করার মুরোদ না-ই থাকে তাহলে বিএনপির আন্দোলন ঠেকাতে পুলিশ-আওয়ামী লীগ মিলে এত রণপ্রস্তুতি নিচ্ছে কেন? মুরোদহীন বিএনপিকে ওবায়দুল কাদের এত ভয় পাচ্ছে কেন?