জামায়াত নেতা সেলিম উদ্দিনকে নিয়ে দেওয়া এক পোস্টে লাইক দেওয়ার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতন করেছে বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার মোহাম্মদ মুরাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি সাহিত্য বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তাঁকে হলের নিজ কক্ষ থেকে উঠিয়ে নেওয়া হয়। ছয় ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ৪টায় রক্তাক্ত অবস্থায় বিজয় একাত্তর হলের নিজ কক্ষ থেকে তাঁকে নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা এসে নিয়ে যান।
আহত শিক্ষার্থী মুরাদ গণমাধ্যমকে বলেন, ভুল করে লাইক পড়ে গেছে, তিনি কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত নন। তাঁর শরীরে মোটা রডের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
হল সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শিবির সন্দেহে মুরাদকে হলের ৯০০৮ নম্বর কক্ষ থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফকির রাসেলের ৩০০২ নম্বর রুমে আটক রেখে তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট চেক করা হয়। ফেসবুক অ্যাকাউন্টের অ্যাক্টিভিটি লগ চেক করলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জামায়াতের সম্ভাব্য মেয়র পদপ্রার্থী সেলিম উদ্দিনকে নিয়ে দেওয়া পোস্টে মুরাদের লাইক পাওয়া যায়।
নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আসাদ বলেন, তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বুধবার সন্ধ্যায় ওই শিক্ষার্থীকে তাঁর পরিবারের সদস্যরা এসে নিয়ে যান।
হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফকির রাসেল আহমেদ বলেন, ‘শিবিরের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া না গেলেও সে জামায়াত নেতার পক্ষে লাইক দিয়ে উদ্বুদ্ধ করার কাজে জড়িত। আমি তাঁর মোবাইল ও ল্যাপটপ আমার কাছে রেখেছি। এগুলো প্রক্টর স্যারের কাছে জমা দিয়ে আসব।’
প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী গণমাধ্যমকে বলেন, এ ঘটনার খবর পাওয়ার পর পুলিশ পাঠিয়ে ওই ছাত্রকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁকে নিরাপত্তার জন্যই পুলিশের কাছে নেওয়া হয়।
সূত্র: শীর্ষনিউজ