অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আবারো ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। কী সেই ষড়যন্ত্র, সেটা অবশ্য তিনি উল্লেখ করেন নি।
বিগত এক বছর ধরেই বিভিন্ন সভা-সমাবেশে ওবায়দুল কাদের ষড়যন্ত্রের কথা বলে আসছেন। কখনো বলছেন, শেখ হাসিনার পেছনে একটি বুলেট ঘুরতেছে। আবার বলছেন, শেখ হাসিনার সরকারকে হঠানোর জন্য খালেদা জিয়া ষড়যন্ত্র করছেন। কখনো বলছেন, শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য বিএনপি ষড়যন্ত্র করছে। মাঝে মধ্যে বলছেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন মহল ষড়যন্ত্র করছে। আরেক দিন বলেছেন, আগামী নির্বাচনে বড় ধরণের নাশকতা হতে পারে। এভাবে তিনি একেক সময় একেক ধরণের ষড়যন্ত্রের কথা বলে যাচ্ছেন।
২০০৬ সালের দিকে তাকালে দেখা যায়, ওই নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র ওবায়দুল কাদেরই করেছিলেন। তার নেত্রী শেখ হাসিনা নিজেই দাবি করেছিলেন যে ওয়ান ইলেভেন তাদের আন্দোলনের ফসল। তবে, মানুষ মনে করে সেটা তাদের আন্দোলন নয়, ষড়যন্ত্রের ফসল ছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের আর্থিক খাত থেকে সীমাহীন লুটপাট, কথিত যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা, বিরোধীদলের জনপ্রিয় নেতাদের খুন, গুম, অপহরণের পর আওয়ামী লীগ নেতারা এখন ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত। তাদের আশঙ্কা বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসলে এসবের বদলা নেবে। এজন্য তারা এখন নিরাপদ আশ্রয়স্থল খুঁজছে। আর আগামীতে সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যেহেতু দেশি বিদেশি চাপ আছে তাই ক্ষমতা তৃতীয় পক্ষের কারো হাতে দেয়াকে তারা নিরাপদ মনে করছে। এজন্য তারা বিএনপি-জামায়াতকে বাদ দিয়ে গণ্ডগোল বাধানোর জন্য একদলীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেবে।
বিশিষ্টজনেরা বলছেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ ডাক-ঢোল পেটালেও আসলে তারা দেশে নির্বাচন দেবে না। কারণ, এবার আর ৫ জানুয়ারির মতো বিএনপি-জামায়াতকে বাদ দিয়ে একদলীয় নির্বাচন করতে পারবে না। আর যে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারবে না সেই নির্বাচন তারা দেবে না। জান বাঁচাতে তাদের সামনে এখন একটিই পথ খোলা আছে। আর সেটা হলো একদলীয় নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে পরিকল্পিতভাবে দেশে গন্ডগোল বাধানো। নিজেরাই এজেন্সির লোক দিয়ে গাড়িতে আগুন দিয়ে দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তুলবে। এরপর ক্ষমতা অন্য কারো হাতে দিয়ে তারা সেইফজোনে চলে যাবে।