চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া থানার রাজাখালী এলাকায় ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হক মানিককে গুলি করা বখাটে সন্ত্রাসী রমজানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। রোববার দিনগত রাতে নগরীর চান্দগাঁও খাজা রোড থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে রমজান ১৮ নং পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক মানিককে সরাসরি গুলি করেছেন বলে স্বীকারোক্তি দেন।
বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রণব চৌধুরী আজ সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের এমন তথ্য দেন।
ওসি প্রণব চৌধুরী জানান, পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক মানিক আওয়ামী লীগ দলীয় কাউন্সিলর হাজী হারুনুর রশিদের বিশ্বস্ত অনুসারী। এলাকায় তিনি বেশ জনপ্রিয়ও। আর ওই ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করতে ইচ্ছুক আওয়ামী লীগ নেতা ও বালু ব্যবসায়ী মো. সোলায়মান। এজন্য ছাত্রলীগ নেতা মানিককে পথের কাঁটা ভেবে ব্যবসায়ী সোলায়মান অর্থসংকটে ভোগা সন্ত্রাসী রমজানকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে খুন করার জন্য পাঠান। মানিককে গুলি করার পর রমজান চাক্তাই খালে ঝাঁপ দিয়ে কুমিল্লায় পালিয়ে যান। কয়েকদিন আত্মগোপনে থেকে রমজান রোববার বিকেলে চট্টগ্রামে ফেরেন। এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোলায়মানকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি প্রণব চৌধুরী।
প্রসঙ্গত, গত ৬ই ডিসেম্বর ভোরের দিকে নগরীর বাকলিয়ার রাজাখালী এলাকায় সন্ত্রাসী রমজান পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ স¤পাদক এনামুল হক মানিককে গুলি করেন। মুমূর্ষু অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় পরে ঢাকার একটি হাসপাতালে তাকে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় মানিকের ছোট ভাই জাহেদুল হক আরজু বাদি হয়ে রমজান, সোলায়মান, তাজুল ইসলাম ও ঈসা খান নামে চারজনের বিরুদ্ধে বাকলিয়া থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় আজ সোমবার রমজানকে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।
সূত্র: মানবজমিন
Discussion about this post