রংপুরের ঠাকুরপাড়ায় হামলার ঘটনা সম্পর্কে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে সাধারণ নির্বাচন ঘনিয়ে আসতে থাকায় একটি স্বার্থন্বেষী মহল রাজনৈতিক অঙ্গণকে অস্থিতিশীল করার জন্য হামলা চালিয়ে থাকতে পারে।
রোববার রংপুরের ঠাকুরপাড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার আগে সকালে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমান বন্দরে তিনি এই মন্তব্য করেন।
সড়ক ও সেতু মন্ত্রী বলেন, সেখানকার হামলা, অগ্নিসংযোগের ঘটনা প্রশাসনিকভাবে এবং দলীয় ভাবে আমরা সার্বক্ষণিকভাবে বিষয়টি মনিটরিং করছি। এছাড়াও তদন্ত চলছে, তদন্তের পর সঠিক তথ্য জানা যাবে। ঘটনার পর থেকেই আমাদের দলের নেতাকর্মীরা সেখানে আছেন এবং খোঁজখবর রাখছেন। আজ আমি সশরীরে সেখানে পরিদর্শনে যাচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গতকাল রাতে শুনলাম বিএনপির মহসচিব নাকি আজ সেখানে পরিদর্শনে যাবেন। এবং এটাও খবর পেলাম একই বিমানে আসছি। ভালো কথা; মনে করলাম দু’জনে দেখা হবে এবং মুখোমুখি হবো, দু’টি কথা ও কুশল বিনিময় হবে দু’জনের। ভাবলাম এটা রাজনীতির জন্য ভালো লক্ষণ, তারা যে ভাবে নেতিবাচক রাজনীতি করছেন একটা ইতিবাচক ধারা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ফিরিয়ে আনবে। আজকে একই বিমানে দুই দলের মহাসচিব আগমন কুশল বিনিময় রাজনীতিতে শুভ বার্তা বয়ে আনতে পারতো। কিন্তু সকাল বেলা বিমানবন্দরে এসে শুনলাম তিনি প্রোগ্রাম বাতিল করেছেন। ভাবলাম কী অপরাধ করলাম, একসাথে দু’জনে আসলে কী অসুবিধা হবে তার। আমি কিন্তু ঠিকই এসেছি, প্রোগ্রাম বাতিল করিনি।
আমি মনে প্রাণে চেয়েছিলাম দু’জনে এক সাথে বিমানে থাকলে দু’টি কথা হবে। তারা সংলাপ সংলাপ করে সেই সংলাপ করার সূযোগ এখানেও ছিল। আকাশে অন্তত সংলাপের সুযোগ ছিল। কিন্তু শুনলাম নিরাপত্তার অজুহাতে তিনি আমার সাথে আসননি। কে তার নিরাপত্তা বিঘ্নিত করছে তা কি কেউ বলতে পারেন? তিনি তো অন্য বিমানে সৈয়দপুরে এলেন এবং তার গন্তব্যে চলে গেলেন।
বিমান বন্দরে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় নির্বচান অনুষ্ঠিত হতে আর কয়েক মাস দেরি আছে। এরই মধ্যে রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন এটি আমাদের জন্য সেমিফাইনাল। আপনারা সকলেই ঐক্যবদ্ধভাবে থাকেন। আগামী বছরের ডিসেম্বরে ফাইনাল ম্যাচ হবে আপনারা প্রস্তুত থাকেন। নৌকার জয় নিশ্চিত করতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করুন।
এসময় তার সফর সঙ্গী ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা মোজ্জামেল হক, বিপ্লব বড়ুয়া, সুজিত রায়, নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক।
সূত্র: নয়াদিগন্ত
Discussion about this post