বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, আমার বিরুদ্ধে ৩৬ মামলার সবই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে করা। এসবের কোনোটিরই আইনি ভিত্তি নেই।
বৃহস্পতিবার আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের অসমাপ্ত বক্তব্য উপস্থাপনকালে তিনি এ দাবি করেন।
এ সময় খালেদা এ মামলায় দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে বলেন, আমি কোনো দুর্নীতি করিনি। জিয়াউর রহমানের নামে অনুদান দিয়েছিল কুয়েত।
ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে খালেদা জিয়া আদালতকে বলেন, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। রাজনৈতিক কারণে তাঁর বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলা করেছে সরকার। সরকারের বিরুদ্ধে রায় দেওয়ার কারণেই তাঁকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে।
রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে চতুর্থবারের মতো আত্মপক্ষ সমর্থন করে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন খালেদা জিয়া।
একই আদালতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় হাজিরা দেবেন এ সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে রওনা দিয়ে ১১টা ৪০ মিনিটে আদালতে পৌঁছেন তিনি।
আদালত সূত্র জানায়, দুর্নীতির এ দুই মামলায় চলতি বছরের ১২ অক্টোবর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আদালত। ১৯ অক্টোবর এ দুই মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। ওই দিন তিনি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজের বক্তব্য উপস্থাপন শুরু করেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় একটি মামলাটি দায়ের করে দুদক।
আর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রাজধানীর রমনা থানায় অপর মামলাটি করা হয়।
সূত্র: যুগান্তর ও প্রথম আলো
Discussion about this post