অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
দীর্ঘদিন ধরে ঝিমিয়ে পড়া বিএনপি দেশবাসীকে আরেকটি চমক দেখাতে সক্ষম হয়েছে। রোববার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে নেতাকর্মীর ঢল নামিয়ে দলটি প্রমাণ করেছে যে বিএনপি এখনো জেগে আছে। দীর্ঘদিন ধরে সরকারের হয়রানি-নিপীড়নের মুখে ঝিমিয়ে পড়লেও একেবারে মরে যায়নি। এর আগে গত ২২ অক্টোবর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছিল।
সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের দেখতে খালেদা জিয়া কক্সবাজার যাওয়ার সময় পথে পথে বিএনপি নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের ব্যাপক সংবর্ধনা ছিল চোখে পড়ার মতো। ক্ষমতাসীনদের হামলা-ভাঙচুর উপেক্ষা করেই খালেদা জিয়াকে একনজর দেখার জন্য নেতাকর্মীরা পঙ্গপালের মতো ছুটে এসেছিল মহাসড়কের পাশে।
৭ নভেম্বর বিএনপিসহ ডানপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। কিন্তু, কয়েক বছর ধরে এই দিবসে বিএনপি কোনো সমাবেশ করতে পারেনি। গত বছরও এই দিবসে বিএনপি সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিল, কিন্তু সরকার তাদেরকে সমাবেশ করতে দেয়নি।
এদিকে, এবারও জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপিকে অনুমতি দিতে সরকার অনেক গড়িমসি করেছে। অবশেষে সমাবেশের আগের দিন অর্থাৎ শনিবার দুপুরে ২৩টি শর্তের বিনিময়ে বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দেয় পুলিশ প্রশাসন। প্রশাসনের এসব শর্ত মেনেই বিএনপি রোববার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের আয়োজন করে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনের দেয়া শর্তের ৬ নম্বরে ছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও পার্শ্ববর্তী ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। ১৪ নং শর্তে ছিল অনুমোদিত স্থানের বাইরে লোক সমেবত হওয়া যাবে না। ১৭ নং শর্তে ছিল সমাবেশ শুরুর ২ ঘণ্টা পূর্বে লোকজন সমাবেশস্থলে আসতে হবে। আর ২১ নং শর্তে ছিল কোনো মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসা যাবে না।
কিন্তু, এসব শর্ত ও যানবাহন বন্ধ করে দিয়েও আজ সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল থামাতে পারেনি। বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীর ঢলে পুলিশের সব শর্তই উধাও হয়ে গেছে। দেখা গেছে, পুলিশও নেতাকর্মীদের ঢল দেখে সব শর্ত ভুলে গিয়ে নীরব দর্শকের মতো দাঁড়িয়ে ছিল।
Discussion about this post