মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার শীলপাড়া সার্বজনীন দুর্গা মন্দির ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। অবৈধভাবে মন্দিরের জায়গা দখলের উদ্দেশ্যে সোমবার ভোরে এ ভাংচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ভাংচুরে জড়িত থাকার সন্দেহে ৬জনকে আটক ও মন্দিরের মালামালসহ একটি পিকআপ জব্দ করেছে পুলিশ।
মন্দির কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা প্রমথ চন্দ্র শীল সূর্য জানান, শীলপাড়া মন্দিরে আমরা দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে পূজা-অর্চনা করে আসছি। জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম খাঁ, তার ভাগ্নে স্থানীয় মডেল ইউপি চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিনের সন্ত্রাসী বাহিনী সোমবার ভোরে মন্দির ভেঙ্গে মালামাল পিকআপে নেওয়ার চেষ্টা চালান। বিষয়টি টের পেয়ে মোবাইল ফোনে পুলিশে খবর দেওয়ায় তারা আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। পুলিশ এসে গেলে তারা দ্রুত পালিয়ে যান।
পুলিশ জানায়, মন্দির কমিটির সভাপতি বাদী হয়ে চিহ্নিত আটজনের নাম উল্লেখসহ ৬০/৭০জন অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ভাংচুরের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মোমিন নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহজনকমূলক আরো ৫জনকে আটক করেছে পুলিশ।
অভিযুক্ত আব্দুর রহিম খান জানান, একটি কুচক্র মহল আমার বিরুদ্ধে নানা কুৎসা রটাচ্ছে।তিনি উল্টো সূর্য্য শীলকে দায়ী করে বলেন, মন্দিরের নামে তারা আমার ক্রয়কৃত জায়গা দখলের পায়তারা করছে। বিষয়টি স্থানীয় এমপিসহ প্রশাসন অবগত রয়েছে।
শিবালয় থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান, ক্রয় সূত্রে আব্দুর রহিম খান ওই জমির মালিকানা দাবি করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার সমাধানের চেষ্টাও করা হয়েছে। কিন্তু ভোরে রহিম খানের লোকজন ওই মন্দিরের যাবতীয় মালামাল পিকআপভ্যানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে খবর পেয়ে পিকআপ ও মালামাল জব্দ করে পুলিশ। এ ঘটনায় সোমবার মামলা হয়েছে। আব্দুর রহিম খানসহ মামলার সকল আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
সূত্র: ইত্তেফাক
Discussion about this post