জামায়াতের আমির ও সেক্রেটারি জেনারেলসহ দলের শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ এবং নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে দলটির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচিতে সমর্থন জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদীদল বিএনপি।
বৃহস্পতিবার সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই সমর্থনের কথা জানান।
রিজভী বলেন, ভোটারবিহীন সরকার অবৈধ ক্ষমতার শেষপ্রান্তে এসে এখন দিশেহারা। চারদিকে বিদায়ের বাঁশী বাজতে শুরু করেছে। তাই এখন দ্বিগবিদিক জ্ঞানশুন্য হয়ে শেখ হাসিনার সরকার আরো বেশী উন্মত্ত ওঠেছে। মানুষের সকল অধিকার কেড়ে নিয়ে এখন সর্বোচ্চ আদালতকে কব্জায় নিতে সরকারী এজেন্সির লোকেরা যে সন্ত্রাসী তান্ডব চালিয়েছে, তা দেখে দেশবাসী শুধু হতবাক নয় রীতিমত শঙ্কিত। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করে ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতাক্ষুধা সর্বগ্রাসিরুপ নিয়ে গোটা রাষ্ট্রব্যবস্থাকে গিলে খেতে উদ্যত হয়েছে।
রিজভী আরো বলেন, মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল বিচার বিভাগের ওপর ক্ষমতাসীনদের থাবা বিস্তার লাভ করেছে। সর্বোচ্চ আদালত আজ নজিরবিহীন সন্ত্রাসে ক্ষতবিক্ষত । সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতিও আজ অনিরাপদ। ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের পর ক্ষমতাসীনরা প্রধান বিচারপতিকে অসুস্থ গালিগালাজ ও হুমকি প্রদর্শন করেছে। তারা প্রধান বিচারপতিকে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। তাদের মন্ত্রীরা প্রধান বিচারপতিকে তুই তোকারি করে বলেছে তাকে শুধু চাকুরি ছাড়লে হবেনা দেশও ছাড়তে হবে।
রিজভী বলেন, আওয়ামী সরকারের কাছে সর্বোচ্চ আদালতে মর্যাদার কোন মূল্য নেই। প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার আগেই তার বিরুদ্ধে অশোভন সমালোচনা ও মিডিয়া ট্রায়ালের এক সর্বনাশা খেলায় মেতেছে ভোটারবিহীন সরকার। মিডিয়ার দায়িত্ব সত্য তুলে ধরা। বস্তুনিষ্ঠু তথ্যের মাধ্যমে কারো বিরুদ্ধে দূর্নীতিও জনসন্মুখে তুলে ধরতে পারে, কিন্তু অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার আগেই কারো বিরুদ্ধে মিডিয়া ‘হাইপার প্রপাগান্ডা ’চালাতে পারে না। এখন প্রধান বিচারপতির ওপর যা করা হচ্ছে তা সরকার প্রধানের ব্যক্তিগত আক্রোশ। রায়ে কিছু পর্যবেক্ষণ ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে যাওয়াতে প্রধান বিচারপতির ওপর চলছে এখন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের প্রবল ঝাপটা।
সূত্র: আরটিএনএন
Discussion about this post