অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
মিয়ানমার বাহিনীর হত্যা-নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পুঁজি করে বিশাল বাণিজ্য গড়ে তুলেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে অসহায় রোহিঙ্গাদের সাথে করে আনা স্বর্ণলঙ্কারগুলো একেবারেই পানির দামে বিক্রি করতে বাধ্য করছে তারা। স্বর্ণালঙ্কার কেনার জন্যও উখিয়া-টেকনাফে বড় একটি সিন্ডিকেট চক্র গড়ে উঠেছে। আর সিন্ডিকেট চক্রের নেতৃত্বে রয়েছেন ইয়াবা গডফাদার হিসেবে পরিচিত স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি।
টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন এলাকা ও রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে গিয়ে দেখা গেছে, পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে অনেক উচ্চবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন রয়েছেন। রাখাইনে যাদের বাড়ি-গাড়ি, জায়গা-জমি রয়েছে। ব্যাংকে টাকাও রয়েছে। কিন্তু, মিয়ানমার বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে সব কিছু ফেলেই পালিয়ে আসতে হয়েছে। এসময় ঘরে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণলঙ্কারগুলো সঙ্গে নিয়ে এসেছে।
বাংলাদেশে এসে বেঁচে থাকার প্রয়োজনে তারা এখন সঙ্গে থাকা স্বর্ণলঙ্কারগুলো বিক্রি করে দিচ্ছেন। তাও আবার একেবারেই পানির দামে। যা তারা কল্পনাও করেনি। কিন্তু কিছুই করার নেই তাদের। নিরুপায় হয়েই কম দামে এসব স্বর্ণ বিক্রি করতে হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে অ্যানালাইসিস বিডি জানতে পেরেছে, টেকনাফ-কক্সবাজার এলাকা পুরোটাই স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির নিয়ন্ত্রণে। দুই উপজেলায় যতগুলো স্বর্ণের দোকান আছে সবগুলোতে রোহিঙ্গাদের স্বর্ণ কেনার জন্য নির্ধারিত রেট করে দেয়া হয়েছে। এমনকি অনেক স্বর্ণের দোকানে বদির লোকজন সারাদিনই বসা থাকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক দোকানি বলেন, ‘ভাই আমাদের কিছুই করার নেই। রোহিঙ্গারা এসে আমাদের দোকানে স্বর্ণ বিক্রি করছে। এমপি বদির নির্দেশেই আমাদেরকে সব কিছু করতে হচ্ছে। আমাদের কোনো ব্যবসা নেই। সারা দিন যা স্বর্ণ কেনা হয় রাতে বদির লোকজন এসে সব নিয়ে যায়।’
এনিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে না পারলেও প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, জান বাঁচাতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অসহায়ত্বকে পুঁজি করে ক্ষমতাসীনরা লুটপাট-বাণিজ্যে নেমেছে। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলে তারা রোহিঙ্গাদের সম্পদ লুটে নিচ্ছে। আর এসবের পেছনে নেতৃত্বে দিচ্ছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ এমপি ইয়াবা গডফাদার আব্দুর রহমান বদি।
Discussion about this post